দাস ব্যবসার অমানবিকতা আর দাসদের মনোবৃত্তি নিয়ে লেখা বইগুলোর মধ্যে আঙ্কল টমস কেবিন বইটা অসাধারণ। বর্ণ বৈষম্য, দাসপ্রথা নিয়ে পৃথিবীর অনেক বিখ্যাত লেখকরাই লিখেছে। টনি মরিসন , আলেক্স হ্যালী, নাদিন গর্দিমার, ইত্যাদি। এ উপন্যাসের নায়ক বিশ্বস্ত ক্রীতদাস টম। আঙ্কল টম মৌলিক মানুষ।
তার হৃদয়টা অনেকটা যিশুর মত। প্রভূদের শত অত্যাচারকে সে মেনে নেয় ইশ্বরের আর্শিবাদ হিসাবে। ক্রীতদাসদের স্থায়ীত্ব, সংসার বলে কিছু নাই। মিষ্টার শেলবীর বাবার ক্রীতদাস ছিল এই টম। উত্তরাধিকার হিসাবে তার মনিব হয় শেলবি।
শেলবিকে কোলেপিটে করে মানুষ করেছে টম। শেলবির ক্রীতদাসদের মধ্যে আরো আছে সুন্দরী এলিজা তার ছেলে জিম। মিষ্টার শেলবি রীণের বোঝা হালকা করতে টম আর জিমকে গোপনে বেচে দেয় নিষ্টুর প্রভু হ্যালীর কাছে। টম মেনে নেয়। কিন্তু তার ছেলেকে তার কাছ থেকে কেড়ে নেবে এটা ভেবে রাতের আধারে পালিয়ে যায় এলিজা।
কেন্টাকি থেকে কানাডার উদ্দেশ্যে। হ্যালি শিকারী কুত্তা আর মাস্তান বাহিনী নিয়ে অনেক চেষ্টা করেও এলিজাকে ধরতে পারেনা। এদিকে ঘঠনা চক্রেটমকে হেলির কাছ থেকে কিনে নেয় আগাস্তিন ক্লেয়ার। তার মৃত্যুর পর তার নিষ্টুর স্ত্রী টমকে বেচে দেয় পাক্কা বদমাশ সাইমন লেগ্রির কাছে। সে ক্রীতদাসদের অত্যাচার করে আনন্দ পেত।
লেগ্রি চেয়েছিল টমকে তার সুযোগ্য প্রতিনিধী হিসাবে গড়ে তুলতে। কিন্তু জিম ইতিমধ্যে তার আত্মা বিক্রি করে দিয়েছিল ইশ্বর ও তার পুত্র যিশুর কাছে। এরপর শুরু হয় টমের ইশ্বর আর লেগ্রির যুদ্ধ। শেষ পর্যন্ত টমকে হত্যা করে সাইমন। কিন্তু মৃত্যুর সময় টম তাকে বলেঃ তোমাকে ধন্যবাদ লেগ্রি তুমি আমাকে স্বর্গের দ্্বার খুলে দিয়েছ।
টমের সহ্য ক্ষমতা সাইমনকে পরাজয়ের গ্লানি উপহার দেয়। একেই বোধয় বলেছিলেন কার্ল মার্কস যে, ধর্ম ছিল আফিমের মত শোষিত মানুষের কাছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।