সাহিত্যের সাইটhttp://www.samowiki.net। বইয়ের সাইট http://www.boierdokan.com
এক বছর আগে স্টকার দেখেছিলাম তৃতীয়বারের মতো। এই সিনেমাটা ভয়ংকর। চিন্তার সাধারণ রূপটাকে ধ্বসিয়ে দেয়ার জন্য এই রকম একটা সিনেমাই যথেষ্ট। কী এই স্টকার? কে এই স্টকার?
স্টকার নাকি সেই ব্যক্তি যার কাছে আছে মিরাকলের চাবিকাঠি।
চাবির সন্ধান সে জানে। কিন্তু মিরাকল তো ঘটতে বাধ্য নয়। হঠাৎ এক রাতে নেশাগ্রস্ত ব্যক্তির মতো ঘুম থেকে ওঠে স্টকার। বউ বুঝতে পারে আবারও অভিযানে যাচ্ছে সে। তাকে বাধা দেয়ার চেষ্টা করে।
কিন্তু তার সব চেষ্টাই বৃথা যায়। স্টকার বউ ও মেয়েকে রেখে ঠিকই বেরিয়ে পড়ে। এক রেস্টুরেন্টে মিলিত হয় তার নতুন মক্কেলদের সঙ্গে। একজন জনপ্রিয় লেখক আর একজন বিজ্ঞানী তার নতুন মক্কেল। তাদের নিয়ে রওয়ানা হয় সে।
রীতিমতো একটা শক্ত প্রাচীরঘেরা দেশ থেকে বের হন্ত হয় তাদের। যেন জেল পালানোর মতো ঘটনা। তারা রেলওয়ে ট্রলিতে করে সেই স্থানের কাছাকছি যার নাম জোন। ট্রলিটাকে ফেরত পাঠানো হয়।
জোন এক বিপন্ন, ধূসর, পরিত্যক্ত স্থান।
ধ্বংসের পরবর্তী পরিস্থিতি সেখানে। চারদিকে ইলেকট্রিতার, কানাগলি। ধ্বস্ত ঘরবাড়িতে ভরা। পদ পদে বিপদ। আর সেই পরিত্যক্ত স্থানে হঠাৎ করেই বেজে ওঠে টেলিফোন।
সেখানে শুতে হয় পানির প্রায় কাছাকছি। বেওয়ারিশ কুকুরের পাশে। এখানেই কি ঘটবে সেই মিরাকল? স্টকার বলে ঘটবে। অপেক্ষার পালা আর শেষ হয় না। ধীরে ধীরে অসহনীয় হয়ে ওঠে পরিস্থিতি।
কোনো ঘটনা না ঘটার এক রুদ্ধশ্বাস পরিস্থিতি।
স্টকার হলো কেয়ামতের পরের পৃথিবীর বোধ। ধ্বসস্তূপে দাঁড়িয়ে কিছু ঘটার জন্য অপেক্ষা। অনেকে বলেন জোফেস স্ট্যালিনের আমলের রাশিয়া এটা। এত সহজ প্রতীক স্টকার নয়।
আরও গভীর অনেক কিছুর সমাহার।
যখন কিছুই ঘটে না। যখন সব আশা তিরোহিত হয় তখন স্টকার ফিরে আসে। মেয়ে মার্থার সঙ্গে দেখা হয় তার। দেখা করে স্টকার বেরিয়ে যাচ্ছে।
মার্থা টেবিলের পাশে চেয়ারে বসা। টেবিলের ওপর একটা গ্লাস রাখা। হাতটা গ্লাসর দিকে তাক করে সে। হাতটা আপনা থেকে নড়তে থাকে মার্থার ডিরেকশন অনুসারে। এটাই কি সেই মিরাকল যা খুঁজতে জোনে যেতে হয়েছিল তাদের?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।