সাহিত্যের সাইটhttp://www.samowiki.net। বইয়ের সাইট http://www.boierdokan.com
এই এক ডিরেক্টর নিয়ে পোস্ট দিতে আমার ভয় লাগে। তারকোভস্কি পুরোটা দেখলেও পুরোটাই অদেখা থেকে যায়। বারবার দেখে মুখস্ত করলেও কিছু ব্যাপার অবসকিওরড, অনায়ত্ত লাগে। মিরর এর আগে আমি একবার দেখেছিলাম।
কিছু দৃশ্য বাদে সবটাই ভুলে গিয়েছিলাম। নতুন করে আবার দেখলাম কয়েকদিন আগে। কিছু নতুন অনুভূতি তৈরি হলো। হয়তো আবার দেখলে আরও কিছু নতুন অনুভূতি তৈরি হবে। ইঙ্গমার বার্গম্যান বলেছেন তারকোভস্কি আমাদের সময়ের সময়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ফিল্মমেকার আর মিরর নিঃসন্দেহে মাস্টারপিস, সিনেমার ইতিহাসের গ্রেটেস্ট সৃষ্টি।
মিররের বিষয় তারকোভস্কির ছেলেবেলা। টাইম বা স্পেসের ফ্রেমিং ছাড়াই তারকোভস্কি নিজের ছেলেবেলার বিবরণ দিয়েছেন। ফলে ছন্নছাড়া টুকরা ঘটনাগুলোকে কিংবা কখনও স্রেফ ইমেজগুলোকে ব্যবহার করেছেন। তারকোভস্কি অবশ্য নিজে বলেছেন যে, মিররে নিজের ছেলেবেলা বিষয়ে কথা বলার কোনো আগ্রহ আমার ছিল না। আমি আমি তাদের প্রতি আমার ফিলিং কী, তাদের সঙ্গে আমার রিলেশনশিপ কী.. এগুলোই আমি প্রকাশ করতে চেয়েছি।
তারকোভস্কির বাবার আর্সেনি তারকোভস্কি সিনেমাটা দেখার পর তার মাকে বলেছিলেন, দেখেছ ছেলে আমাদের জন্য কথা বলার কত কম জায়গা রেখেছে। তারকোভস্কি বলেন, আমি নিজের জন্যই বা কতটুকু জায়গা রেখেছি ওই সিনেমায়?
আমার কাছে এই সিনেমাকে মনে হয় একটা পোয়েটিক রিভিউ। বাবার কবিতার মধ্য দিয়ে তারকোভস্কি রিকল করতে চেয়েছেন তার ফেলে আসা সময়কে। সাবজেক্ট শৈশব হলেও তিনি টাইম-স্পেসের ফ্রেমে তার বাবার কবিতাগুলোর ব্যাখ্যাই দাঁড় করাতে চেয়েছেন। পরোক্ষভাবে এতে রাজনীতি আছে।
ফ্যামিলি আছে। শৈশবের নিঃসঙ্গতা আছে। মিরর হলো সুস্বপ্নের আয়নায় দুঃস্বপ্ন দেখার ছবি।
এটি বানানো হয়েছিল 1975 সালে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।