আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

একথালা ভাতে তিনশত মৃত চিংড়ি

যখন বিকাল হতে থাকে, হতে হতে সূর্যটা ঢলে পড়ে, পড়তে থাকে

8 মাস যাবত ব্লগিয়ে 300 পোস্ট প্রসব করলাম। তবে ব্লগে প্রকাশিত অন্যান্যদের পোস্টের মধ্যে কবিতা বেশী পড়ি। সুখাদ্য, কুখাদ্য, অখাদ্য সব কবিতাই পড়ি। শক্তি চট্টোপাধ্যায় ভাল বলেছেন তার শ্রেষ্ঠ কবিতার মুখবন্ধে, কবিতা হচ্ছে কবির জলজ প্রতিচ্ছবি। আমি তেমনি দেখি কবিতায় কবির সরূপ।

সুমন চৌধুরী, সাধক সঙ্কু, সুনীল সমুদ্র, পথিক, শেখ জলিল, রাগ ইমন, রূপা, ব্রাত্য রাইসু, ফখরুল ইসলাম দীপু, মোর্শেদ, জামাল ভাস্কর, কামউজা, ফজলে এলাহী, মৃন্ময় আহমেদ এর সহ অন্যান্যদের যত কবিতা প্রকাশিত হয় সবই নিয়মিত পড়ি। প্রিয় কবি শরৎ। ভবিষ্যতে বাংলাদেশের লিডিং কবি সেই হবে, ফোরকাস্ট করে রাখছি এখনই। তার সাথে শুভ্রার কবিতাও নতুন দিনের যুগলবন্দী হবে নিঃসন্দেহে। যেগুলো হৃদয় স্পর্শ করে সে কবিতা সংগ্রহে রাখতে চাই, তেমন একটা কবিতা পড়েছিলাম, বিশ্বব্যাংক নিয়ে কার যেন লেখা, ভুলে গেছি।

কেউ কি একটু লিংকটা দেবেন? অমি রহমান পিয়াল ও রাসেল কম কবিতা লেখেন - তবে পছন্দের তালিকায় শীর্ষে। পৃষ্ঠায় ঠকঠক টাইপ হচ্ছে সুতনী ফন্ট ব্যাকস্পেস চেপে কবিতার চলে কাঁটাকুটি কবির মনে থাকে না জীবন এমন কবিতা নয় যখন ইচ্ছে সাদা, মুছে দিলাম লেখার ফল্ট! এমন কিছু অমোচনীয় ফাইল জীবনের ফোল্ডারে স্থায়ী হিস্টরী হয়ে থাকে - প্রতিদিনের অপারেটিং সযত্নে এড়িয়ে চলে, আবডালে জিপ করে রাখে জীবন কবিতার মত বারবনিতা হচ্ছে না ইদানিং! আর শমিত! সে তো এখন হারিয়ে যাওয়া নক্ষত্র প্লুটো! আকর্ষণ ছিল দূর্দমনীয়। গদ্য রচনায় জীবন ঘনিষ্ঠ বিষয় পড়তে ভাল লাগে। অমি রহমান পিয়ালের এ জাতিয় লেখা কেন্টাকীর ফ্রেসেস্ট চিকেনের মত গোগ্রাসে গিলি। তারপরে সৃজন, আস্তমেয়ে, ধানসিড়ি, মাশীদ, স্বরহীন, শাহানা, হাসান, তেলাপোকা, নাহিদ, বদরুল আহমেদ, ঝড়ো হাওয়া, সারিয়া তাসনিম।

সিরিয়াস গদ্য লেখকদের মধ্যে রাসেলকে ভাল লাগে, ব্লগের সবচেয়ে শক্তিশালী গদ্য লেখক মানি তাকে। সুমন চৌধুরী, শোহেইল মতাহির চৌধুরী, সাদিক মোহাদ্মদ আলম, শুভ, আড্ডাবাজ, অপবাক, অরূপ, ধুসর গোধূলী, শরৎ, রাগ-ইমন, হিমু, উৎস, মাহবুব মোর্শেদ, দূরের কণ্ঠস্বর, ঝরাপাতা, এমএম মাহবুব মোর্শেদ, জিনের বাদশা, তীরন্দাজ, কনফুসিয়াস, হযবরল, ঝরাপাতা - এদের লেখায় মৌলিকতা দেখি। ভার্চুয়াল ক্যারেক্টর হিসাবে ভাল লাগে একটু পরে বলছি, আবু সালেহ, আপন তারিক, জানতে চাই, লাবনী, ত্রিভুজ, স্ফুলিংগ, হাবিবমহাজন, সিমরান শিকদার, আশার আলো, সাবি্বর, সাকিব আল মাহমুদ, আরাফাত, এ্যালন, রিনয়, এই আমি মীরা। আর অল টাইম ফেভারিট ইজ চোর। মুখফোড় আর গোপাল ভাড়ের লেখায় অনবদ্য হিউমার ফুঁেট উঠতে দেখি।

ট্রু কনফেশন ইজ নতুনদের অনেকের লেখাই পড়া হয় না, প্রথম পৃষ্ঠায় থাকে না বলে। পরে আর খুঁজেও পাই না। তবে জাত চিনতে অসুবিধা হয়নি অন্ধকার, আজকাল, বকলম, ইপোম, রাকিব হাসনাত সুমন, বাকী বিল্লাহ দের। একাধিক আইডি নিয়ে কেউ লিখলেও আমার কিছু যায় আসে না। ফ্লাডিং এ সব ভেসে গেলেও ডায়মন্ড চিনতে অসুবিধে হয়নি এযাবতকাল।

যেকোন বিষয়, যেকোন অশ্লীলতা প্রথম পৃষ্ঠায় ইহজীবনের মত লটকে থাকলেও মাথা ব্যাথা নেই। তবে আমার লেখা পড়ে কেউ প্রশংসা করলে নিজেকে অপদার্থ মনে হয়। কারণ একমাত্র আমিই জানি কত হেলাফেলায় আমার এসব লেখাগুলো লেখা হয়। আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধু সৃজন কে জিজ্ঞেস করেছিলাম দোস্তএকটা লাইনের অর্থ বলো তো, তোমার করতলে জমানো জ্বালায় আমার নির্বান, দোস্তবলে, মাফ করো আমারে! তোমার কবিতার শব্দগুলো দেখে অর্থ বুঝি কিন্তু সব মিলে যখন লাইনটা দিয়ে কিছু অর্থ বের করতে যাই তখন বাল, একটুও কিছু বুঝি না। জীবনে সব মনযোগ দিয়ে একটা কবিতাই লিখেছিলাম একজনের জন্য যা কখনও আর দেয়া হয় নি, মনে হয় সেটাই আমার একমাত্র কবিতা মনের মধ্যে যেটুকু আশা ছিল সকালের আলো হাত পা মেলে বসায় তাও শেষ হয়ে গেল এক মুঠো রোদ বেশ তিকনো হয়ে জানিয়ে গেল আলোর মাঝে ধুলোর চলাচল শুরু হয়ে গেছে সতেজ মানুষগুলো কেমন তড়বড়িয়ে এগিয়ে যাচ্ছে সন্ধ্যায় তাদের কপালে জমবে অবিশ্রান্তঘাম নোনা স্বাদ পেঁচিয়ে কেউ কেউ হয়তো দীর্ঘ নিশ্বাস ফেলবে আবার সকাল হবার আগে পেতে চাইবে দীর্ঘ একটা অবসর! ঠিক সে কারণে কষ্ট ঘেটে এনেছিলাম পুরো দুইদিনের ছুটি রবিবার পর্যন্ত বাসরীয় অবকাশের টিকিট সাথে অনুরাগের ডায়েরীসিদ্ধ এক হাজার কবিতা।

শেষ পর্যন্ত কি নির্দয় বেকার পড়ে রইল আমার প্রস্তুতি একটা শব্দের উষ্ণতাও জমা পড়েনি প্রহরের পালায় কেবল ঠান্ডা অপেক্ষার নিখাঁদ একঘেয়েমী এক ব্যাগ হিম শীতল বরফ ফেরত দিয়েছে যতটুকু দাড়ানো ছিলাম ততটুকু ভেঙে লুটিয়ে পড়েছি শেষ বিকেলের খেয়াযানে! (এক ব্যাগ হিম শীতল বরফ, সেপ্টেম্বর 26, 2001) অনেক ড্রাইভ মেরেছিলাম ব্লগ থেকে রিয়েলিটিতে অবরোহনের। কিন্তু তাতে মনে হয়েছে একই সিরিয়ালের পুনপ্রচার। সেক্ষেত্রে অংশগ্রহনের আর ইচ্ছে নেই। কখনও অবশ্য ব্লগের উৎকট গন্ধ নাকে লাগে নি, যার জন্য ব্লগ ছেড়ে যাবার মত চিন্তা করতে পারি। সবসময় মনে হয়েছে কো এঙ্সিটেন্স অফ অল ডাইভারসিটিজ'র শিক্ষা অনেকে পাচ্ছে এখানে যা হয়তো সে নিজেই বুঝতে পারছে না, অনেকের সহনশীলতা বাড়ছে, দৃষ্টি প্রসারিত হচ্ছে - যা মুগ্ধ করে।

ব্লগে আমি সৃষ্টি হতে দেখতে চাই সম্পূর্ণ ভিন্ন একটা ট্রেন্ড লেখালেখিতে, নতুন একটা যুগের সূচনা। যা ছাপিয়ে যাবে মেইনস্ট্রীম লেখালেখির বিষয় ও আঙ্গিক। এক একজন পরিচিত ব্লগারকে যে বিষয়ে গন্ডীবদ্ধ দেখি তা থেকে তার উত্তরণ চাই। সমস্ত বিশ্বকে করতলে রেখে লিখতে হবে, যেন বৈশ্বিক যেকোন মাফকাঠিতে তা হয় প্রতিদ্বন্দ্বীতামূলক। নতুন কল্পনা প্রবনতা, নতুন ধারণা যা নিজেই তৈরী করতে সক্ষম একটা সতন্ত্র ইন্টারন্যাশনাল আইকন।

শুধু এমন হবে না যে, মানুষ কেন পোষাক পরে, এ নিয়ে চলছে ধুমধাম বিতর্ক। একজন বলছে শীতে না হয় বোঝা গেল, কিন্তু গরমের পরার মানে কি, শরমে! তবে সবচেয়ে খারাপ যে বিষয়টা হয়েছে তা হচ্ছে কিছু জানতে হবে, ব্লগের শরনাপন্ন হই। একজনকে জিজ্ঞাসা করি ভাই এইটা কেমনে হইলে, ওইটা কেমনে হবে। আগের চেয়ে গুগলের সার্চ অনেক কমেছে। এখানেই অসংখ্য লিংকের সন্ধান পাই।

অনেক নিউজ সাইড আর ব্রাউজ করি না। কাউকে দেখি এখানেই পোস্ট করছে। হালকা পাতলা পর্নোগ্রাফিক ইমেজ দেখার নিডটাও কেহ কেহ বুঝতে পেরে অবলীলায় পোস্ট করে যায়। আমার তো সকাল সাড়ে আটটা থেকে বিকেল অবধি সামহোয়াইনব্লগ পেইজ ওপেন করা থাকে। মিনিমাইজ করে অন্য কাজ সারি।

সব মিলে মিশে মনে হচ্ছে ব্লগ আমাকে পুরোটুকুই গলধঃকরণ করেছে। কালপুরুষ, জিনের বাদশা, ওয়ালী, সাইমুম ও সুনীল সমুদ্র, এদের অনুপস্থিতি দেখে তাদেরকে আবৃত্তি করে শোনাতে ইচ্ছে করে ভাবছি, ঘুরে দাঁড়ানোই ভালো এতো কালো মেখেছি দু হাতে এত কাল ধরে। কখনো তোমার কোরে, তোমাকে ভাবিনি, এখন খাদের পাশে রাত্তিরে দাঁড়ালে চাঁদ ডাকে আয়, আয়, আয়। এখন গঙ্গার তীরে ঘুমনত্দ দাঁড়ালে চিতা কাঠ ডাকে, আয়, আয়, আয়। যেতে পারি, যে কোন দিকেই আমি চলে যেতে পারি কিন্তু, কেন যাবো? সনত্দানের মুখ ধরে একটি চুমো খাবো যাবো কিন্তু, এখনই যাবো না তোমাদেরও সঙ্গে নিয়ে যাবো একাকী যাবো না অসময়ে।

। (যেতে পারি, কিন্তু কেন যাবো, শক্তি চট্টোপাধ্যায়) মন খারাপ ছিল মাঝে একদিন। ফোন করলাম প্রিয় বন্ধুকে। একটা কথা বলো যেন মন ভাল হয়ে যায়? সে বলে, ভরং করো! মন খারাপ থাকলে আর ফোন করতিস না! মেজাজ গরম করে ফোন রেখে দেই। ফোন করলাম আরেক জনকে, সে বললো, দীর্ঘক্ষণ মোবাইল কানেকশন ধরে রাখতে হবে।

শুনেই আমার মন ভাল হয়ে গেল, বিল বাড়লে মন আরো বেশী খারাপ হতো। রাত 9টায় সামুচা! হোটেলগুলোতে সকালে সিঙ্গারা, সামুচা বানানো হয় বলে জানি, কিন্তু রাত অবধি কি কিছু তার বাকী থাকে! প্রতুষ্যে কাকের আপ্যায়নের জন্য দুএকটা থাকতে পারে তলানীতে কিন্তু তাও তো বাসি, ঠান্ডা! কিন্তু ইচ্ছে করেছে বলে কথা! সখের তোলা লাখ টাকা। অগত্যা ঘুরে আসতে হয় বাসার পাশের হোটেলে, কাকের মুখের গ্রাস কেড়ে সিঙ্গারা নিয়ে ফিরি। এখন খাওয়ার পালা। সাথে টমেটোর সস, বিটলবন, আরো দুটো টকজাতীয় সসেস।

রাত 11 টা। খেতে ইচ্ছে করছে চিকেন গ্রীল। রাত দুটোতে টক। সকালে ঘুম থেকে উঠে মিস্টি। জীবনের এমন সাতকাহনে দক্ষ অভিনেতারাও কখনও ডায়লগ মিস করতে পারে, আর সেক্ষেত্রে আমি তো নভিস্।

চিনত্দার ডায়েরী লিখতে বসি, যা প্রতিদিনের কাজের পিঠে ভাবি, প্রতিদিনে দেখা হওয়া, কথা হওয়া মানুষকে নিয়ে, যা থেকে যায় অন্তরালে সেসব বিহাইন্ড দ্যা এ্যাক্ট ভাবনাগুলো লিখে চলি। পৃথিবীর সব পিউবিক রিজিওন পরিষ্কার করে শেষে নিজেকে বলি - তু্ই ব্যাটা একটা অশ্লীল লিংগ ছাড়া আর কিছুই নস! উপোস শরীরে নাসিকার অলিগলিতে ভেঙে দিস সংযম একথালা ভাত তার মধ্যে তিনশত মৃত চিংড়ি এ নিয়ে কি হইনু আমি - রান্না কি শুনছে সিদ্দিকাস রেসিপি! আচ্ছা একটা ছো্ট্ট প্রশ্ন, কে বেশী সুন্দর, রাজপুত্র না রাজকন্যা? সেদিন বিসত্দর কথা হচ্ছিল একজন নারীর সাথে। কিন্তু অকষ্যাৎ আমার চোখ গিয়ে স্থির হলো তার উন্নত বক্ষে। কারণ সেগুলির অবস্থিতি বিষ্ফোরন্মুখ। সচেতনভাবে না হলেও চোখ যাওয়াতে তিনি হয়তো বিব্রত হয়েছেন।

আমি কথা বলি ডেভলপেমন্ট সেক্টরে কাজের জারিজুরি নিয়ে। একটা প্রশ্নবোধক চিহ্ন চেহারাতে ঝুলিয়ে কথা বলতে থাকেন, মনে হচ্ছিল। বিনিময় শেষে ফিরতি পথে বড় অস্বসত্দিতে থাকি, লাফাঙ্গা ঠাওরেছে নির্ঘাত। অথচ ক'দিন আগে এক জনৈকা আমাকে বুকে চেপে বসেছিল, তারপরে হাতরাচ্ছিল আমার উত্তেজনা, আমি নিথর হয়ে ছিলাম একজনকে দেয়া বিশ্বাসের কাছে। তিনি আমাকে সাধু বলে এপ্রিসিয়েট করেছিলেন না গালি দিয়েছিলেন দেখার প্রয়োজন বোধ করিনি।

সেটা কিভাবে বুঝাই প্রথমাকে! যা বলি তা আসলেই করিনা। আপনারা বোধহয় কথা ও কাজে সমানত্দরাল। আমি তথৈবচ নই। আমি এটাকে বলি এসময়ের প্রতিনিধি। চারদিকে তো তাই দেখছি।

হয়তো আপনারা ভিন্ন, আপনারা হয়তো অন্যগ্রহের কেউ। তবে যারা এ লেখাটা পড়বেন তাদের কাছ আমার করজোর প্রার্থনা আমার কুৎসিত, নেগেটিভ দিকগুলো তুলে ধরুন, আমাকে জানতে দিন। আমাকে সাহায্য করুন, হয়তো কল্পনাও করতে পারবেন না, এটা জানা এ মুহূর্তে কত বেশী প্রয়োজন হয়ে পড়েছে আমার।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।