তবুও জীবন যাচ্ছে কেটে জীবনের নিয়মে।
বদ্দার চাকরীর অবসহা শুনে মনটা খারাপ হয়ে গেল। আসলে এরকম অবসহা মোটামুটি সবারই । তারপর ও আমরা ভাল থাকি (দেশের মানুষ তাই ভাবে)।
সব দিন যেমন তেমন করে কেটে যায়।
ভাত না হোক ব্রেড, বাটার, জেলি, চিপস আর টেপের পানি তো আছেই। হয়ত সপ্তাহে একদিন ভাতের দেখা পাওয়া যায়। সারা দিন ক্লাস আর কাজের পর রান্না ঘরে যেতে কার মন চায়?
রমযান মাসটা আমাদের মোটামোটি ভালই কাটে। সারাদিন খাওয়ার ঝামেলা নেই। ইফতারের জন্য আগে থেকে মসজিদ সিলেক্ট করতে হয়।
প্রথম কয়েক রোযা বিভিন্ন মসজিদ ঘুরে এসে একটাতে মোটামোটি সিহর থাকি। সাধারনত মসজিদে ইফতারের বিরাট আয়োজন থাকে। নামাযের পর পোলাও/ভাত/রুটি, মাংস, সালাদ, সুপ ইত্যাদি।
ইফতার ভাল হলে রাতের খাবার নিয়ে আমাদের আর চিন্তা করতে হয় না। (টোকাই জীবন)
মাঝে মাঝে আমরা নিজেরা ও ইফতারের আয়োজন করে থাকি।
স্টুডেন্ট বেশি হলে অনেকগুলো আইটেম তৈরী করা যায়। মাথাপিছু কম ধার্য হয়।
একে একে দিন যায়। পড়াশোনার পাঠ চুকিয়ে অনেকেই চাকুরী পেয়েছেন আবার অনেকেই লাইনে খাড়া। একটা চাকরী অথবা phd মানে 1st class বেতন।
কিন্ত আমার ভুলে যাই না আমাদের অতিতের অবসহান কে। কেউ হয়ত প্রচন্ড ঠান্ডার মধ্যে পেপার বিক্রি করেছে, কেউ বা ধোয়া-মুছার কাজ করে ক্লাসে গেছে। আমাদের ঈদ চলে যায় পরীক্ষার খাতায়।
কেউ একজন চাকরী পেলে সবাই যে কি পরিমান খুশি(ক্লোজআপহাসি)।
দিন দিন পার্টির সংখ্যা বাড়ছে (চাকুরীজিবীর পরিমান বাড়ছে) আর আমাদের শরীরে ও একটু একটু করে মেদ জমছে।
অনেকেই এখন জিমে যাচ্ছেন।
অবশ্য এখন আর আগের মতো মসজিদে যাওয়া হয় না। সবাই ব্যস্ত হয়ে যাচ্ছে। এইটাই জীবন। কোন এক সপ্তাহান্তে বন্ধুদের নিয়ে হয়ে যায় মেগা পার্টি নিজেদের মধ্যে অনেকেই বিভিন্ন রকমের রান্নায় পারদর্শী।
দেশ থেকে মাঝে মাঝে বন্ধুরা ফোন করে জিঙ্গেস করে কেমন আছি। উত্তর একটাই-
এই তো জীবন যাচেছ কেটে জীবনের নিয়মে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।