54 ধারার সুযোগে নিরীহ লোককে পুলিশ হয়রানি করে। টাকা না দিলে চাঁদাবাজি কিংবা অন্য কোনো মিথ্যা মামলায় ঢুকিয়ে দেয়। এ ছাড়া নিরপরাধ লোককে নির্যাতন করে টাকার লোভে অথবা কারো ইশারায়। ফলে নিরপরাধ ব্যক্তিটি সমাজের চোখে দোষী সাব্যস্ত হয়। বিনা অপরাধে রিমান্ডসহ কারা নির্যাতন সহ্য করে।
অনেক সময় পরিবারের কাছ থেকেও তেমন সহযোগিতা পায় না। জীবনের ওপর এক ধরনের হতাশা থেকে তখন সন্ত্রাসী হয়ে যায়।
প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে চাঁদাবাজি, ডাকাতি, খুন ও চোরাচালানিসহ সব ধরনের অপরাধ করে। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করে। বাহিনী গঠন করা ও অস্ত্রের মালিক হওয়া কোনোটাই বাদ যায় না।
এভাবেই আধিপত্য বিস্তারের পরিধি বাড়তে বাড়তে শহর এবং এক পর্যায়ে সারাদেশে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে চায়। গড়ে তুলে টাকার পাহাড়।
বিশ্লেষণঃ
দেখা যায়, বস্তি থেকে ওঠে আসা ব্যক্তি গাড়ি-বাড়ির মালিক। মাদকব্যবসা অস্ত্র ব্যবসা ও চোরাকারবারি করে প্রশাসন এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সঙ্গে সমপর্ক তৈরি করে। বাংলাদেশে অপরাধ বিস্তারের ক্ষেত্রে বড় কারণ রাজনৈতিক আশ্রয় দেয়া।
সন্ত্রাসীকে নিজ দলে বাগিয়ে আনতে নেতারা আশ্রয় দেন। এরপর তারা নিজ স্বার্থে ইচ্ছেমতো তাদের ব্যবহার করে। সন্ত্রাসীরা ধনী হয়ে সুনাম কুড়াতে নেমে পড়ে রাজনীতির মাঠে। ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী টাকার বিনিময়ে কিনে ফেলে নমিনেশন। ওয়ার্ড কমিশনার ও চেয়ারম্যান নির্বাচন থেকে শুরু করে এমপি নির্বাচন সবই।
নামের পাশে 'আলহাজ' সমাজসেবক সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে তখন কথিত জনসেবায় ব্যস্ত। ক্ষমতায় গিয়ে করে পুকুরচুরি। দুর্নীতির প্রশিক্ষণ সেই আগেই রপ্ত করা।
পরিণতিঃ
করুণ পরিণতি বরণ করছে নিরীহ জনগণ। দেশ পাচ্ছে দুনর্ীতির চ্যামপিয়নশিপ বারবার।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।