আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গণতান্ত্রিক বাকশালের আমলনামা: মহাজোটের ক্ষমতা গ্রহন।

আগামী প্রজন্মের জন্যে স্বপ্নের বাংলাদেশ রেখে যেতে চাই।

আধুনিক রাষ্ট্র ব্যাবস্থায় সামরিক বাহীনি দিয়ে ক্যু করে ক্ষমতা গ্রহন একটা জংলীপন্থা যার কোন সমর্থন আধুনিক রাষ্ট্র বিজ্ঞান করে না। অথচ বাংলাদেশের প্রাচীন গণতান্ত্রিক (যদিও দলের মুলনীতির অন্যতম সমাজতন্ত্র) রাজনীতিক দল খ্যাত আওয়ামী লীগ শেষবার (২০০৮) ক্ষমতায় আসে তত্ত্বাবদায়কের মোড়কের উদ্দিনদের সামরিক সরকারের সাথে গোপন সমযোতার ভিত্তিতে। অর্থাৎ একটা অবৈধ সরকারের সাথে আতাত করে। যে সরকারের জন্ম হয়েছিল বন্দুকের জোড়ে একটা সাংবিধানিক সরকারকে হটিয়ে।

সম্ভবত ৯৬-২০০১ টার্মের দুর্নীতি, বৃটিশ চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের মত পুরো বাংলাদেশ কে গডফাদার ভিত্তিতে দেশকে ভাগ করে দেয়ার মত জগন্য কর্মকান্ডের পর স্বাভাবিক ও গনতান্ত্রিক পথে আসা সম্ভাবনা দেখছিলেন না আওয়ামী সভানেত্রী। আর তাই আওয়ামী লীগ বেছে নিয়েছিলেন আতাত, ষর‌যন্ত্র, জালাও পোড়াও রাজনীতি। দলীয় বিশ্বস্তদের দিয়ে নির্বাচন কমিশন সাজানো, প্রেসিডেন্ট দলীয় নেতার শশুর, প্রধান উপদেষ্টা দলীয় আদর্শের এর বাইরে গডফাদাররাতো আছেই। এত এত সুরক্ষা ব্যাবস্থার পরও হেরে যাবেন এমন চিন্তা হাসিনার ছিল না, থাকলে নির্বাচনই দিতেন না। কিন্তু বিধিবাম হাসিনার সব সুরক্ষা দেয়াল ভেদ করে জনজোয়ারে ক্ষমতায় আসে বিএনপি জোট।

শুরু হয় হারানো রাজত্ব (ক্ষমতা) ফিরে পাওয়ার নিরন্তন চেষ্টা। রাজনীতিক দলের ক্ষমতায় আসার চেষ্টা স্বাভাবিক ঘটনা, তবে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসতে যে পথ বা পদ্ধতিগুলি অনুসরন করেছে সেগুলি একটাও স্বাভাবিক বা গনতান্ত্রিক ছিল না। হাসিনার রাজত্ব পুনরুদ্ধারের শুরুতেই কাছে পেয়েছে মন্ত্রীত্ব না পাওয়া ক্ষুব্ধ সিনিয়র বিএনপি নেতা অলি আহমেদের, এরপর সময় যত দিন গড়িয়েছে দেনা পাওনার হিসেব মিলাতে ব্যার্থ বিএনপি নেতারা একে একে যোগ দেয় আওয়ামী লীগের ষরযন্ত্রে। এই দলে এক সময় যোগ দেন বাংলাদেশের জর্জ ওয়াশিংটন হওয়ার স্বপ্নে বিভোর বি চৌধুরী। ২০০৪ সালে অলী, চৌধুরী ও রাজশাহী বিএনপির সিনিয়র নেতা আবু হেনা মোস্তফা কামালের সহযোগিতায় টাকার বিনিময়ে বিএনপি দলীয় এম্পি কিনে সরকার পতনের দিন ৩০ এপ্রিল ঠিক করে দেয় গণতান্ত্রীক(?) আওয়ামী লীগ।

অন্যভাবে বললে জনরায়কে টাকার বিনিময়ে কেনার পরিকল্পনা এটেছিল তথা কথিত আওয়ামী লীগ। কিন্তু সেই পরিকল্পনা আলোর মুখ দেখেনি গোয়েন্দাদের দক্ষতায়। তারপরও থেমে ছিল না ক্ষমতা দখলের অপতৎপরতা। অর্থের বিনিময়ে বিএনপি নেতাদের কিনে নিয়ে সরকারের মেয়াদ শেষ দু দিন (২৬অক্টোবর,২০০৬) আগে গঠিন করা হয় এলডিপি। আব্দুল জলিল ও আব্দুল আওয়াল মিন্টুর মুখে শুনুন ৩০ এপ্রিল চক্রান্তের কথা তৃতীয় বৃহৎ দল জাতীয় পার্টি, শুসিল (নাস্তিক) সমাজ, ডুপ্লিক্যাট বিএনপি, অলী আহমেদ ও বি চৌধুরীর মত সিনিয়র লিডারকে মাঠে পেয়েও আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় আসা নিশ্চিত ছিল না।

কারন অর্থনীতিক অগ্রগতি, বিপুল বৈদেশিক বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান, তথপ্র‌যুক্তির উন্নয়নসহ বিএনপি সরকারের নানা অগ্রগতি ছিল জনগনের চোখের সামনে। ফলে স্বাভাবিক সুষ্ঠ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা ছিল ক্ষীন। শুরু হয় একের পর এক চক্রান্ত আর রাজপথের সন্ত্রাস। বিচারপতি কেএম হাসানের দলীয় সম্পৃক্ততার অভিযোগে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হওয়ার নিয়ে আপত্তি ও আন্দোলন। আওয়ামী জালাও পোড়াও ধ্বংসযজ্ঞ থেকে মুক্তি দিতে শেষ পর্য়ন্ত বিচার পতি কেএম হাসান তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধান হতে অস্বীকৃতি জানায়।

যদিও রাজপথে সন্ত্রাসী কর্মসূচী পালনের সময় আওয়ামী লীগ বারবার দাবী করে আসছিল কেএম হাসানের জায়গায় সংবিধান অনু্যায়ী যে কাউকেই মেনে নিবে আওয়ামী লীগ কিন্তু বাস্তবে এমনটা ঘটেনি। শুধু মানি না মানব না স্লোগানে কেএম হাসানের জায়গায় কখনো এমএ আজিজ কখনোবা ইয়াজ উদ্দিনের নাম বসানো হয়েছিল এতটুকুই। অর্থাৎ আওয়ামী লীগে জ্বালাও পোড়াও কর্মসূচী লক্ষ্য ছিল একটাই ক্ষমতার গ্যারান্টি। বিচারপতি কেএম হাসান তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানের পদ থেকে সড়ে দাড়ালে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এম এ আজিজকে নিয়ে ও চলে আওয়ামী লীগের ধ্বংশযজ্ঞ। মনে রাখা ভালো ২০০১এর নির্বাচনে সিইসি আবু সাইদকে নিয়ে প্রবল আপত্তি থাকা সত্বেও বিএনপি নির্বাচনে গিয়েছিল একই আপত্তি ২০০৮ এ হুদা এন্ড গংদের ক্ষেত্রেও ছিল কিন্তু বিএনপি নির্বাচনে গিয়েছে (হয়ত এ কারনেই বর্তমান আওয়ামী সরকার নির্বাচন কমিশনার হিসেবে রাকীব উদ্দীন ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব মো:জাবেদ আলী মত দল দাসকে নিয়োগ দিয়েছে)।

একেরপর দাবী আর সেই দাবী আদায়ে আওয়ামী ধ্বংশযজ্ঞের মধ্য দিয়ে কাটে ৭৫ দিনের ইয়াজ উদ্দিনের তত্ত্ববধায়ক সরকার। সরকারী ও সাপ্তাহিক ছুটি বাদ দিয়ে ঐ সরকারের মেয়াদ ছিল ৪৪ দিন যার ১৬ দিন কটে আওয়ামী জালাও পোড়াও তান্ডবে। আঞ্চলিক হরতাল অবরোধ মিলিয়ে সেই সংখ্যা ২১। এসব কর্মসূচীতে নিহত হয় ৩২ জন যার মধ্যে বিএনপি নেতা কর্মী ২১ জন, জামাত ৬, আওয়ামী লীগ ৩ ওয়ার্কার্স পার্টি১। এদের বেশীর ভাগের মৃতু হয়েছিল লগিবৈঠার তান্ডবে।

যাদের শুধুমাত্র একজন নিহত হয় পুলিশের গুলিতে। স্বজনপ্রীতি দলীয়করনের দায়ে অভিযুক্ত বিএনপির সাজানো পুলিশ প্রশাসন সে সময় গনতন্ত্রের নামে আওয়ামী তান্ডব উপভোগ করছিল। সেই সময়ে বিএনপির বিরোদ্ধে স্বজনপ্রীতি দলীয়করনের শুসিল/নাগরিক/বিশিষ্ট ব্লা ব্লা আওয়ামী দালালদের প্রপাগন্ডা যে কতটা অসার ছিল তার উদাহরন ইয়াজ (ইয়েস) উদ্দিনের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়টা। ইয়াজ উদ্দিনের তত্ত্ববধায়ক সরকার প্রধান হওয়াটা ছিল তার জীবনের মস্ত বড় ভুল। ভুল এই অর্থে না যা সচরাচর শোনা যায়।

ভুল ছিল কারনে ঐ রকম রাজনৈতিক সংকট উত্তরনে সক্ষম ব্যাক্তিত্ব তার ছিল না। অপরদিকে রাজনৈতিক দল গুলোর সুপারিশে নিয়োগ পাওয়া উপদেষ্টারা নিজ নিজ দলের হয়ে কাজ করতে গিয়ে সংকট আরো জটিল করে তোলে। ইয়াজ উদ্দিনের তত্ত্বাবধায়ক থেকে পদত্যাগের পর সুলতানা কামাল পদত্যাগের কারন হিসেবে বলে ছিলেন, "নির্বাচনে কেন সেনা নামাতে হবে? তার মানে সিভিল প্রশাসন ব্যার্থ, আমি এই ব্যার্থতার দায় নিতে পারি না বলেই পদত্যাগ করেছি। " বলা বাহুল্য সেনাবাহিনী বিহীন নির্বাচন বাংলাদেশে নাম সর্বস্ব বাম দল গুলোই করে থাকে। তাছাড়া সর্বজন প্রশংসিত ৯১, ৯৬, ২০০১ এর নির্বাচনে সেনাবাহিনী বলন্টিয়ার হিসেবে কাজ করেছে তবে ২০০৬ এ কেন হাসান মাসউদ, সুলতানা কামাল, সফি সামি, আকবর আলী খান বিতর্ক তুললেন? উত্তর সহজ আওয়ামী লীগকে আরো একটা ইস্যু তোলে দিয়ে রাজপথে সন্ত্রাসের সুযোগ করে দেয়া।

স্রেফ দলী স্বার্থেই সেদিন তারা চার জন পদত্যাগ করেছিল। (এর আগে সফি সামী ও সুলতানা কামাল মধ্যরাতে পতাকা বিহীন গাড়ি নিয়ে সূধাসদন গিয়ে ধরা পড়ছিল)। বাতিল হওয়া ২২ জানুয়ারীর নির্বাচনের তফসিল ঘোষনার পর এক নাটকী প্যকেজ ঘোষনার মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ নির্বাচনে আসার সিদ্ধান্ত নেয়। কেএম হাসান, সিইসি আজিজের পর আওয়ামী লীগের হাতে তেমন কোন ইস্যু ছিল যাকে কেন্দ্র করে নৈরাজ্য করতে পারে আওয়ামী লীগ। ফলে অনেকটা বাধ্য হয়েই নির্বাচনে আসার সিদ্ধান্ত নেয় হাসিনা।

প্যাকেজে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে হাসিনা বিভিন্ন দাবীতে জালাও পোড়াও করতে গিয়ে যে নির্বাচন প্রস্তুতির ৪৩ দিন তারা বরবাদ করেছে তার জন্যে নির্বাচন ৪৩ দিন পিছিয়ে দেয়ার আহবান জানায়। একই দাবী জানায় ১৪ ডিসেম্বর হারিয়ে যাওয়া ৪৬ দিন ফেরত চায় শেখ হাসিনা। ঠিক এই ঘটনার পর দিন উপদেষ্টাদের পদত্যাগের ঘটনা ছিল আওয়ামী লীগকে নতুন করে নৈরাজ্য করতে সুযোগ করে দেয়া মাত্র। এরই প্রেক্ষিতে ৩ জানুয়ারী ইয়াজ উদ্দিনের অধীনে নির্বাচন মানি, হতে দেব না স্লোগান দিয়ে নির্বাচন থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেয় আওয়ামী লীগ। একই সময় ৭,৮ ও ১৪ থেকে ২২ মোট ১১ দিনের অবরোধ কর্মসূচী ঘোষনা করে আওয়ামী লীগ।

এই ধ্বংসযজ্ঞের পুর্বাভাসকে কেন্দ্র করে সামরিক ক্যু'র মধ্যদিয়ে আসে উদ্দিন গং। উইং কমান্ডার (অব.) সালাউদ্দিন মইনউদ্দিনের ক্যু সমযোতার নির্বাচন প্রসঙ্গে। বর্তমান গনতান্ত্রিক বাকশালী সরকারের ক্ষমতায় আসার পিছনে তৃতীয় শক্তি ছিল আনোয়ার চৌধুরী ও বিউটেনিস, রেনেটা লক ত্রিশুল। যুক্তরাষ্ট্র যুক্তরাজ্য ও জাতি সংঘের এই তিন প্রতিনিধির নানামুখি তৎপরতা, বিবৃতি, সাহায্য সহযোগীতা বন্ধের হুমকি একদিকে সেনাবাহীনি ও রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে উত্তপ্ত করে তুলছিল অন্যদিকে আওয়ামী লীগকে ধ্বংসাত্মক কর্মসূচী পালনে উসকে দিচ্ছিল। পশ্চিমা মহাজনেরা বারবার হুশিয়ার করে দেয় আওয়ামী লীগ ছাড়া কোন নির্বাচন গ্রহনযোগ্য হবে না।

শেষ পর্যন্ত তাদের পরিকল্পনায় জাতিসংঘের ভুয়া চিঠি ও সামরিক ক্যু'র হুমকি দিয়ে ভেঙে দেয়া হয় ইয়াজ উদ্দিনের তত্ত্ববধায়ক সরকার। মুলত আওয়ামী লীগের পশ্চিমা প্রভুদের চিত্র নাট্যেই পরিবেশিত হয় ১/১১ জরুরী সরকার। জরুরী সরকারের সময় জিজ্ঞাসাবাদে শেখ সেলিম তদন্ত কর্মকর্তাদের জানায় ২ জানুয়ারীই হাসিনা জানত সেনা সমর্থিত একটা বিশেস সরকার আসছে। এরই ভিত্তি ৩ জানুয়ারী আওয়ামী লীগ নির্বাচন থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে প্রথমে ২ দিনের পরে একটানা ৯ দিনের অবরোধের ঘোষনা দেয়। এ নৈরাজ্য থামানোর চেষ্টা না করে মইনউদ্দিন সামরিক অভ্যুত্থানের হুমকি দিয়ে তত্ত্বাবধায়কের মোড়কে ক্ষমতা দখল করে।

বিতর্কিত ঐ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের শপথ অনুষ্ঠানে দলবলে হাসিনার উপস্থিত থেকে রাজনৈতিক স্বীকৃতি দেয়। অবৈধ সরকারের দ্বিতীয় দিনেই আওয়ামী লীগ নতুন সরকারের কাছে কোন দাবী দাওয়া ছাড়াই প্রত্যাহার করে নেয় ১৪ থেকে ২২ জানুয়ারী পর্যন্ত পুর্ব ঘোষিত অবরোধ। আড়াই মাসের লগি বৈঠার তান্ডবের সমাপ্তি ঘটে ১/১১ এর অবৈধ সরকারের ক্ষমতা গ্রহনের মধ্য দিয়ে। যেনতেন নির্বাচন দিয়ে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনার পাশাপাশি জিয়া পরিবারকেই ও দেশের জনগনের মুখোমুখি করে বিএনপি দখলে নেয়া উদ্দিন গংদের প্রধান এজেন্ডা যাতে আওয়ামী লীগের ক্ষমতা নিশ্চিত করা। এ এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে হাতিয়ার হিসেবে ব্যাবহার করেছে জরুরী আইনকে।

দেশে দুই প্রধান রাজনৈতিক দলের প্রধানের প্রতি জরুরী আইনের প্রয়োগ তার প্রমান। কেউ মুক্ত বিহঙ্গের মত ঘুরে বেড়িয়েছে কেউ ঘর থেকেই বেরুতে পারে নি বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল টেলিফোন লাইনও। সংবাদ সম্মেলন নেতা কর্মীদের সাথে সাক্ষাত কোন ক্ষেত্রেই জরুরী আইন হাসিনার বাধা হয়ে দাড়ায় নি। বিপরীতে খালেদা জিয়া তারেক রহমানের আইনজীবিদের সাথেও দেখা করতে পারেন নি। একদিকে বিচার বিভাগ ও গনমাধ্যমের সহযোগিতায় জিয়ার উত্তোসূরীদের চরিত্র হরনের নিয়ন্ত্রন চেষ্টা পুরো দুই বছরই বন্ধী (কখনো গৃহবন্ধী, কখনো সাবজেলে) করে রাখা হয় খালেদা জিয়াকে।

অন্যদিকে নির্বাচন কমিশন ও আদালত এবং ডিজিএফআইকে দিয়েকে দিয়ে জিয়া পরিবার বিহীন বিএনপি গড়ার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা। সবই পরিকল্পিত গনতান্ত্রিক বাকশালকে ক্ষমতায় আনার নীলনক্সা। হাসিনার মুখে শুনুন পাতানো নির্বাচনের কথা। এই মুখেই হাসিনা নিজেকে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের ধারকবাহক বলে দাবী করে জরুরী সরকারের যে আওয়ামী বিছ্ছিন্ন কিছু ছিল না তার আরো কয়েকটা ছোট খাট উদাহরন ৭ নভেম্ভর সিপাহী জনতা দিবসের সরকারী ছুটি বাতিল। ১৫ আগষ্ট জাতীয় শোক দিবস ঘোষনা, প্রথম থেকে দশম পাঠ্য বই থেকে জিয়ার নাম নির্মুল।

গনতন্ত্রে ক্ষমতার পটপরিবর্তন হয় ব্যালটে এর বাইরে ব্রিটিশ রাজতন্ত্র (বর্তমানে বিলুপ্ত), সৌদি রাজতন্ত্র, চীন, রাশিয়া কিউবার সমাজতন্ত্রে ক্ষমতার পটপরিবর্তনের একমাত্র পথ সেনা ক্যু (সমাজতন্ত্রীদের ভাষায় বিপ্লব)। কিন্তু গণতন্ত্রের ডিকশনারীতে ক্যু, বিপ্লব বা অভ্যুত্থানের কোন ঠাই নেই। কিন্তু বাংলাদেশের বৃহৎ গণতান্ত্রিক দল দাবী করা আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে সামরিক সরকারের সাথে তাদের রাষ্ট্রদ্রোহী কর্মকান্ডের বিচার না করার চুক্তি করে। যার গনতন্ত্রিক আবরন দেয়া হয় ৩১ ডিসেম্বরের, ২০০৮ এর তামাসার নির্বাচনে মাধ্যমে। ইতিহাস সাক্ষী সামরিক বাহীনির মাধ্যমে ক্যু করে ক্ষমতায় আসার চেষ্টা আওয়ামী লীগ ২০০৮ সালে প্রথম করে নি, এর আগে ৮৬ তে সৈরাশাসক এরশাদের অধীনে বিতর্কিত নির্বাচনে গিয়েছিল আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার বাসনা থেকেই, এর পর ৯৫তে আওয়ামীপন্থি জেনারেল নাসিম দিয়ে ক্যুর চেষ্টা সবই ক্ষমতা লিপ্সু আওয়ামী লীগের কালো অধ্যায় যা নিরপেক্ষ মিডিয়ার অভাবে আলোর মুখ দেখে না।

তথ্যসুত্র সমকাল, আমার দেশ, প্রথম আলো, মানব জমিন

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.