বন্ধুত্বে চাওয়া-পাওয়ার একটা ব্যাপার থাকে,লেন-দেনের,বিনিময়ের আর সবচেয়ে বড় কথা আমি মনে করি স্বার্থের একটা ব্যাপার থাকে। কিন্তু এই সব ব্যাপার থাকে না ভ্রাতৃত্বে । আমার ভাইটাকে আমি শুধু দিতে চাই,ওর থেকে কোনকিছু নিতে আমি চাই না। এইটার নামই ভ্রাতৃত্ব।
ছোট্ট একটা উদাহরন দেই, রাসূল (সাঃ) পারস্পারিক সম্পর্কের ব্যাপারে কি বলছেন??
হাদিস হচ্ছে , তিনি বলছেন, 'মূ'মিন'রা (যারা আল্লাহর উপর ঈমান এনেছে) পরস্পর ভাই ভাই।
'
কই,আমার জানা মতে তিনি তো বলেন নাই, 'মূ'মিনরা পরস্পরের বন্ধু!'
মানে ইসলাম আমাদেরকে এইটাই শিখায় যে, সম্পর্কের ব্যাপারে কোন চাওয়া-পাওয়া,লেন-দেন,বিনিময়ের ব্যাপার না থাকাই কল্যানকর। আর তা বন্ধুত্বে সম্ভব না,তা সম্ভব কেবল মাত্র ভ্রাতৃত্বে। আর এজন্যই ইসলাম প্রাধান্য দিয়েছে ভ্রাতৃত্বকে।
আবার মজার জিনিস খেয়াল করুন, আল্লাহ তা’য়ালা মূ’মিনদেরকে তাঁর বন্ধু বলে সম্বোধন করছেন। দেখুন সূরা বাকারার ২৫৭ নাম্বার আয়াতে উনি কি চমৎকার কথাই না বলছেন!তিনি বলছেন,
‘আল্লাহতায়ালা ঈমানদারের বন্ধু এবং তিনি তাদেরকে অন্ধকার থেকে আলোর দিকে নিয়ে যান।
আর যারা কাফের তাদের বন্ধু হলো শয়তান। শয়তান তাদেরকে আলো থেকে অন্ধকারে নিয়ে যায়। ’
সুবহানাল্লাহ, আমাদের সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ গাফুরুর রাহীম যিনি আমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন,আমরা যাঁর গোলাম,তিনিই আমাদেরকে তাঁর বন্ধু বলে সম্বোধন করছেন!!
এইখানে লজিক দেখেন!
কেন মু’মিনরা পরস্পর ভাই ভাই আর কেন স্বয়ং আল্লাহ তা’য়ালা তাঁর মূ’মিন বান্দাহদের বন্ধু???
কারন আমাদের সকল চাওয়া পাওয়ার একমাত্র কেন্দ্রস্থল হচ্ছেন আল্লাহ রাব্বুল আ’লামীন। চাওয়া পাওয়ার কেন্দ্র কোন মানুষ না,কোন বন্ধু না!
আরো কিছু কথা বার্তা আছে, যেগুলা লিখে আমি বুঝালে হয়তো অনেককেই আমি আমার কথাটা বুঝাতে পারবো না তাই আর সেগুলা লেখলাম না।
সালাম।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।