সাহিত্যের সাইটhttp://www.samowiki.net। বইয়ের সাইট http://www.boierdokan.com
বাজারে গড মাস্ট বি ক্রেজির এক থেকে পাঁচ নম্বর সিকোয়েল পর্যন্ত পাওয়া যায়। আমি সবগুলা দেখি নাই। শুধুএক দুই তিন দেখলাম। তিন ভাল লাগে নাই।
অতএব চার পাঁচ দেখার প্রশ্ন ওঠে না। আসলে তিন থেকে পাঁচ পর্যন্ত যে সিকোয়েল হয়েছে তা আনঅথোরাইজড। এগুলো লো বাজেটে তৈরি করেছেন হং কং-এর ফিল্ম মেকাররা।
আদি ও আসল গডস মাস্ট বি ক্রেজি মানে এর প্রথম দুটি সিকোয়েল ওয়ান ও টু তৈরি করেছিলেন জেমি ইউইস। এর কাহিনীর প্রেক্ষাপট আফ্রিকার বটসোয়ানা।
এবং ডিপ কালাহারি মরুভূমি। যেখানকার আদিম অধিবাসীরা ভূপৃষ্ঠের পানির উৎস ছাড়াই অদ্ভূত উপায়ে নিজেদের পানির চাহিদা মেটায়। এই বুশম্যানরা তথাকথিত সভ্যতার তেকে নিজেদের সুকৌশলে আলাদা রাখে। কিন্তু সভ্যতা কি আর সহজে ছাড়ে? ফলে সভ্যতার উপাদান গিয়ে পড়ে তাদের বাসস্থানে। যেমন একটি কোকের বোতল।
এটা তাদরে জীবনে নিযে আসে নানা দুর্ঘটনা। ফলে বুশম্যানদের নেতা কিকো এই কোকের বোতল ফিরিয়ে দিতে যায় সভ্য মানুষের কাছে। ফলে সভ্যতার সঙ্গে আদিমতার কমিকাল সব এনকাউন্টার ঘটে। ডিরেক্টর খুব কৌশলের সঙ্গে সভ্যতা বনাম বুশম্যান সংস্কৃতির তুলনা করেছেন। ফলে এই ফিল্ম হয়ে উঠেছে প্যারালাল সংস্কৃতির এনথ্রোপলজিকাল রিডিং।
কিকোর অভিজ্ঞতাকে মেলানো যায় আদিম সভ্যতার যে কোনো প্রতিনিধির অভিজ্ঞতার সঙ্গে। সিনেমাটা শৃরু হয়েছে ডকুমেন্টারির ভঙ্গিতে। তারপর জামাট কাহিনী। হাসি আর ড্রামা। 1980 সালে তৈরি এই চবি এত দিন যে কেন দেখিনি!
দ্্বিতীয় পর্বে কিকোর ছেলে আর মেয়ে হাতির দাঁত শিকারী চোরা কারবারিদের গাড়িতে উঠে পড়ে।
কিকো তাদের খুঁজতে বের হয়। অন্যদিকে একটা ছোট কপ্টারে এক আমেরিকান গবেষক ও তার সঙ্গী পথ হারিয়ে নেমে পড়ে ডিপ কালাহারিতে। দারুণ ছবি।
ত্রিনিদাদ ও টোবাগোতে এই ছবি নিষিদ্ধ। কেননা কিকো এক পর্যায়ে সাদা মানুষদের গড হিসাবে দেখে।
আর সেটা বিশ্বাস করতে থাকে। একে অবমাননা হিসাবে দেখে ছবিটা নিষিদ্ধ করা হয়। কিন্তু যেটাকে অবমননা হিসাবে দেখা হয়েছে সেটা আসলে সেটা স্যাটায়ার।
পরিচালক জেমির জন্ম 1921 সালে সাউথ আফ্রিকায়। মৃতু্য 29 জানুয়ারি 1996।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।