ভবিষ্যতের পৃথিবী কেমন হবে তা বোঝাতে যন্ত্র মানব, রোবট, কথা শোনা মেশিন এই সমস্ত উপাদান বেশী ব্যবহৃত হয় । এই সমস্ত উপাদানগুলো নিজে নিজে যেভাবে চলবে তার মূল রহস্য একটা জায়গায় । তা হলো আটিফিসিয়াল ইনটিলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলিজেন্সি শব্দটির সম্ভব্য বাঙ্গলা হয় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কিন্তু তাতে নাম করনটি সার্থক হয় না । কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা শব্দটির মানে দাড়ায় আসল নয় এমন বুদ্ধিমত্তা ।
কিন্তু তার চেয়ে বানানো বুদ্ধিমত্তা শব্দটি অনেক বেশী গ্রহনযোগ্য। কিন্তু শব্দটা যতটা মানান সই শুনতে ততটা শ্রুতি মধুর নয়। বর্তমান বিশ্বে এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে চলছে নানা আলোচনা আর জোর গবেষনা। মূলত যন্ত্রকে আরো উন্নত করতেই চালানো হচ্ছে গবেষনা। সায়েন্স ফিকসনের কল্যানে অনেকেরে ধারনা ভবিষ্যতে যন্ত্রকে একটা মানবিক রুপ দেবার নামই বুঝি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ।
ধারনাটা একেবারে ভূল নয় । তবে পুরোটাই আবার ঠিক নয় । কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা শব্দটা মানুষ নিজের প্রয়োজনে নিজেই তৈরী করেছে। জীব বিঞ্জানের ইতিহাসে মানবের বির্বতন হয়েছে তার মস্তিস্কের বিকাশের সাথে। এই বিকাশের প্রক্রিয়াটা হয়েছে প্রকৃতির নিয়মে।
এই বিবর্তনে তার যে জায়গাটি সবচেয়ে বেশী কার্যকর ভুমিকা রেখেছে তা হল তার চিন্তা শক্তি। বাকী প্রানীকুল যেখানে প্রকৃতিক নিয়মকে মেনে চলেছে , সেখানে মানুষ চিন্তা শক্তি খাটিয়ে তার সংস্কৃতি ও প্রযুক্তিকে করেছে আর উন্নত। এখানেই মানুষ থেমে থাকছে না । সে তার প্রযুক্তি বা যন্ত্রকেও চিন্তা ভাবনা করার সুযোগ করে দিতে চায় । এই বিষয়টিই আসলে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ।
চিন্তা শক্তির সঙ্গে বুদ্ধি আসবে না । যার চিন্তা শক্তির অভাব তাকে আমরা বুদ্ধিমান বলি না । আমাদের পাশের বাসায় গোবরা । তাকে জিজ্ঞেস করা হল পৃথিবীর সবচেয়ে বড় প্রানী কি? জিরাফ , গোবরার উত্তর । এবার যদি তাকে বলা হয় বলতো এরচেয়েও বড় প্রানী কি পৃথিবীতে আছে ? সে বলবে, আছে ? তাহলে বল সেটা কি ? গোবরা বলবে হাতি।
এবার গোবরাকে যদি জিজ্ঞেস করি এবার বলতো পৃথিবীর সবচেয়ে বড় প্রানী কি? সে বলবে জিরাফ। গোবরার বুদ্ধিমত্তা পরখ করার আরেকটা উপায় হল তাকে জিজ্ঞেস করি, অংকে কত পেলি গোদা ? তিনটা শূন্য । এখন প্রশ্ন হচ্ছে গোবরা বুদ্ধি বলি কি কিছুই নেই ? অবশ্যই আছে । তার যেখানে সমস্যা সেটা হল তার চিন্তা শক্তি। তার চিন্তাশক্তিতে যুক্তির জায়গাটা গোলমেলে।
বুদ্ধি, চিন্তা, ভাবনা এই সব বিষয় গুলো আসে একটা জায়গা থেকে তা হল মস্তিস্ক। কাজেই বুদ্ধিমত্তা বিষয়টি বুঝতে গেলে অবশ্যই মস্তিস্কের কার্য প্রনালী আগে বোঝা দরকার। মস্তিস্কে আছে অজস্ত্র স্মৃতি ধরে রাখে নিউরন। চোখ গ্রহন করে পাঠায় মস্তিস্কে। এই স্মৃতি থেকে পাওয়া ত্যথাদি মস্তিস্কে সনি্নবেশিত হয় ।
তার মধ্যে থেকে মানুষ তথ্য গ্রহন করে । কিছু তথ্য মস্তিস্কে রেখে দেয় । সেই তথ্যকে মানব মস্কিক বিশ্লেষন করে । এখন পয়নর্্ত জানা গেছে , অন্য প্রানীর মস্তিস্ক ঘটনাকে বিশ্লেষন করতে পারে না । তারা শুধু সিদ্ধান্ত টানে।
একটা উদহরন দিলে ব্যাপারটা পরিস্কার হবে। একজন মানুষ একটা রাস্তায় হারিয়ে গেছে। নতুন জায়গায় আবার অজস্ত্র রাস্তা তৈরী হয়েছে। সেগুলো থেকে কোন রাস্তাটা বেছে নিতে হবে তা মাুনষের জানা নেই । সে সম্ভব্য রাস্তা বেছে নেবার েেত্র প্রাথমেই যুক্তি এবং মস্তিস্ক খাটিয়ে সমস্ত রাস্তা গুলোকে কে যাচাই করে বের করার চেষ্ট করবে।
। তারপরে সে রওনা দেবে। সে আরেকটা কাজ করার তা হল পুরো রাস্তার নকশা করা প্লান লেখে রাখা। যাতে সে এবং থেকে যুক্তি দিয়ে বেছে নেবার চ্ােষ্টা করবে কোন রাস্তাটায় আগে কোন পায়ের ছাপ আছে কিনা, সেই রাস্তাটা এই কার্য প্রানলীর একটা ধারা তৈরী করছে। অন্য দিকে অন্য কোন প্রানী যদি তা করার চেষ্টা করে তবে সে ।
সে প্রাকুতিক শক্তি কাজে লাগিয়ে তার রাস্তা বের করার চেষ্টা করবে । এতে এমন হতে পারে সেটা খুজতে গিয়ে সে সম্ভ্ব্যব 20 টি রাস্তাই যাচাই করে দেখবে । যখন সে রাস্তা পেয়ে যাবে তখন সে আর সেই রাস্তাটা তার মাথায় একেবারে ছবির মতো বসে যাবে। এর পর যদি সে সেই রাস্তা আর কোনদিন না ব্যবহার করে তবু তার পরে তার ধারাবাহিক উত্তর পুরুষ যদি আবার সেই রাস্তা পারি দেয় তবে সেটা তার জিনের মধ্যে থেকে সেই রাস্তা খুজে বের করে সে ঠিকই রাস্তা পাড়ি দিতে পারবে। এখন একটা গাড়ীকে যদি রাস্তায় চলতে দেওয়া হয় ( অবশ্যই চালক ছাড়া) ।
তাহলে সে সোজা চলতে থাকবে এবং সামনে গিয়ে ধাক্কা খাবে। এমন যদি হয় গাড়ীটি কোন চালক ছাড়াই চলছে তাহলেই বলতে হবে গাড়িটির ভেতর রাস্তার দিক নির্দেশনার সফটওয়ার আছে । আর যদি একদিন গাড়িটি কোন সফটওয়ার ছাড়াই সঠিক ভাবে চলছে , বলা যেতে পারে সেই গাড়িটা বুদ্ধিমান। তবে সঠিক পথে চলতে গেলে সবচেয়ে বেশী জরুরী , লজিক ওরফে যুক্তি বিদ্যা। প্রত্যেক বাঙ্গালী কি লজিক মেনে চলে?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।