আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আস্তমেয়ের কাছে (অথবা আপনার কাছে) কয়েকটি জিজ্ঞাসা- সঙ্গে আমার দুটো কথা



ধর্ম ও সামাজিক ব্যবস্থাবলী নিয়ে আমার চিন্তা (3) এর মন্তব্যখাতায় আস্তমেয়ের লেখা বিষয়ে কয়েকটি কথা আমার বলা আছে - এর কিছু জিজ্ঞাস্য আর কিছু আমার চিন্তাটি আরো একটু পরিস্কার করবার জন্য। 1. স্রষ্টা শূন্য থেকে এই জগৎ এর যে ডিজাইন করলেন - যেখানে প্রকৃতিতে বেচে থাকার জন্য একটি প্রাণীর আর একটি প্রানীকে খাদ্য হিসেবে নিতে হবে .. এই চিন্তাটিই কি নিষ্ঠুর না যখন পৃথিবী এবং এর বাইরের সমস্ত কানুনই তার চিন্তাপ্রসূত এবং চাইলেই এই শর্তের বাইরেও তিনি সমস্তকিছু ডিজাইন করতে পারতেন না যেখানে প্রকৃতির ভারসাম্য রা হতো নিষ্ঠুরতা ব্যাতিরেকেই? 2. আল্লাহকে অস্বীকারকারী (হয়তো সবাই নয়.. কারন এ বিষয়ে তিনিই একমাত্র জ্ঞাত) এবং তার পথে বাধাপ্রদানকারী কারো কারো জন্য অনন্ত নরকভোগের কথা আছে। অথচ আপনি বলছেন যে শাস্তিগ্রহন শেষে সবাই একদিন বেহেশতে যাবে? সবাই একদিন বেহেশতে যাবে .. কেউ দোজখে থাকবে না এই ইয়াতটি আপনি কোথায় পেয়েছেন জানাবেন কি? 3. দাসত্ব এবং মালিকানা - এই ধারনাটি কি সমস্তকিছুকে বৈধ করে? আমি প্রান তৈরী করেছি তাই তাকে আমার খুশীমতো কষ্ট দিতে পারি - এটা বাস্তব হতে পারে হয়তো কিন্তু নৈতিক কি? আর কোরবানীর সয় কষ্ট পায় না এটি কোন গ্রহনযোগ্য ব্যাখ্যা হতে পারে কি- এই কারনে যে একমূহূর্তেও জন্য হলেও সে ব্যাথা পাবে আর মৃত্থ্যর মতো বড় আঘাত যে পাচ্ছে সেই তুলনায় শারীরিকভাবে কতটুকুু সে যন্ত্রনা পেল এই প্রশ্ন অবান্তর নয় কি? 4. আমি কোরআন অর্থ এবং তাফসীর দুটোই পড়েছি, যদিও বেশ কয়েকবছর আগে ু মাঝে মধ্যে এখনও খন্ড খন্ডভাবে পড়বার চেষ্টা করি যদি প্রয়োজন পড়ে - এইটুকু অভিজ্ঞতার আলোকে মনে হয় ু এক অসীম মতাসম্পন্ন সত্ত্বার কাছ থেকে পৃথিবী এবং জগতের অন্য ুদ্র বোধ সম্পন্ন জীবদের প্রতি যে নিয়মাবলী প্রেরিত হয়েছে তা বৈজ্ঞানিক বিচারে পরের কথা নৈতিক বিচারে খুব দয়ালু মনে হয় না। অন্য ব্যাখ্যা এবং অনুভূতি থাকতে পারে এবং অনেক গভীরও হতে পারে - আমি তা নতমস্তকে মেনে নিতে প্রস্তুত 5. কারন আমি একজন মানুষ ু এবং মানুষ মাত্রই অপূর্ণ , এই অপূর্ণতাকে পূর্ণতা দেবার চেষ্টা করা ছাড়া তার আর কি করার আছে? আমার এই পূর্ণতার চেষ্টায় আপনার কিংবা অন্যকারো একবিন্দু অংশগ্রহনের কামনায় এই লেখাটুকু লেখা- আর এই লেখাটি আমার ধারাবাহিক (বয়সের হিসেবে) চিন্তার প্রকাশ। এখনকার চিন্তা এর সাথে খানিকটা মিল আছে আর খানিকটা নেই ু এই কথাগুলো হয়তো সামনে লিখবো (যদি লেখা হয়) তার চাইতে আমার ষষ্ঠ শ্রেনী পড়ুয়া ভাগ্নীর সাথে আজ সকালের কথোপকথোনটি তুলে ধরতে ইচ্ছা হচ্ছে * (আমি) আচ্ছা বলতো আল্লাহ - (ভাগ্নী) ঐ নিয়ে তোর সাথে কথা বলার কোন ইচ্ছা নেই * কেন ? - তুই কি আমাকে তোর মত নাস্তিক বানাতে চাস। এই কথা নানার সাথে বল - সাহস থাকে * তার মানে তুই আস্তিক - ব্যাপারটা নিয়ে আমার ভাবতে ইচ্ছা কওে না। যে আমার সামনে নেই তাকে নিয়ে এত সময় নষ্ট করার কি আছে? * তার মানে তোর জীবনে এগুলো কোন গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার না? - হ্যা, সবে বরাত আমার কাছে আনন্দেও ব্যাপার ু হালুয়া, তারাবাতি মজার না? হয়তো সত্যিই তাই , উনি আছেন কিংবা নাই - শুদ্ধভাবে চলার জন্য এটা কি এত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এটাও আমার এইমূহূর্তের চিন্তা। ব্যাপারটা হলো এই বিষয়টি জগৎকে এবং আমাদের সমাজকে এতোটা জড়িয়ে আছে একে নিয়ে আমরা চিন্তা না করে পারি না।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।