হায় কবিতা!
আজ একি তোমার দুরাবস্থা!
উগ্র আধুনিকতা! নাকি মৃত প্রসূতির শবযাত্রা!
হতেও পারে নগ্ন বিলাসিতার অশুভ পদযাত্রা!
প্রকাশ্যে উদ্ধত চলাফেরা, নিয়ম ভাঙ্গার বেপরোয় খেলা।
শালীনতার খোলস ছেড়ে চিরতরে বের হয়ে আসা।
কার জন্য এই বেসাতিপনা?
কে খুঁজে পেতে চায়- কবিতার জন্মের উৎস?
আরও গভীরে? আরও গভীরে যেতে চাও?
কত গভীরে আছে সেই নিশ্চিত পোতাশ্রয়।
কবিতার দেহ কী ধরে সেই অসীম ক্ষমতা?
হায় কবিতা!
উগ্রতার স্যানিটারি ন্যাপকিনে
শুষে নিতে চাও কী দুষিত শব্দের শ্রাব?
নতুন শব্দকে ভূমিষ্ট করবে বলে কী
আঁকড়ে ধরতে চাও অশ্লীল বাক্যের কদর্য জড়ায়ূ?
নিত্য কী প্রসব বেদনা পেতে চাও ভাবনার তলপেটে?
ব্যথায় কি কুঁকড়ে ওঠে না কবিতার রমনীয় শরীর?
মমতাময়ী কবিতা আজ বিকলাঙ্গ ছন্দ প্রসবের
অব্যক্ত ব্যথা ভুলে যেতে চায়।
হায় কবিতা!
তুমি কী এখন টান বাজারে লুটিয়ে পড়া ঝাপসা বিকেল,
অন্ধকারে প্রেতের ছায়া, রথখোলার গলির ধারে দাঁড়িয়ে থাকা
শব্দ টোকানো বিগতযৌবনা নিষ্কাম পতিতা?
তোমার নিষ্প্রভ পর্ণকুটিরে আরতো সাজেনা "সোনালী কাবিন",
শব্দের হৈ হুল্লোরে আরতো ভাসে না "সোনার তরী",
বাক্যসূধায় ভেজেনা "ক্ষুধিত পাষাণ",
ভরে না হৃদয় পাত্র জীবনানন্দে।
শশ্মানে আজ পুড়ছে কবিতার শবদেহ,
কান পাতলেই শুনি "বিষের বাঁশী"। তবে কী আজ
কবিতা পুনর্জন্ম চাই।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।