যে ঘড়ি তৈয়ার করে - সে - লুকায় ঘড়ির ভিতরে
চাঁদ তারাকে রিলিজিয়াস না বলে, নট সো রিলিজিয়াস বলাই ভালো হবে। কারন ইসলামের সাথে ওতোপ্রোতভাবে সিম্বল হিসেবে চাঁদ তারার যে ব্যবহার তার সাথে ধর্মের যতটা সম্পর্ক তার চেয়ে বেশি সম্পর্ক কালচারের।
একটা কৌতুক আছে এরকম। জানতে চাওয়া হলো, সূর্য বেশি গুরুত্বপূর্ণ নাকি চাঁদ। উত্তর আসলো, চাঁদ।
কারন ব্যাখ্যা করতে চাইতে বলা হলো, দিনের বেলাতো আলো থাকেই, সুতরাং সূর্যের কি দরকার? বরং রাতের অন্ধকারে চাঁদ যা আলো দেয় সেটা অনেক কাজের।
আরবরা মরুভুমির মানুষ। মরুভুমিতে দীর্ঘ পথচলার জন্য রাত খুব উপযোগী। আর মরুভুমির বালিময় ল্যান্ডস্কেপে পথের সন্ধানের জন্য নক্ষত্রের সাহায্য নেওয়া ছাড়া উপায় ছিলো না আরবদের। সুতরাং আরব কালচারে নক্ষত্র বা তারার ভূমিকাটা অনেক জীবন বাঁচানোর মতো ব্যাপার।
অন্যদিকে আরবদের ক্যালেন্ডার লুনার বা চাঁদ নির্ভর।
এই দুটো ব্যাপার মিলিয়ে আরবদের কাছে প্রতীক হিসেবে চাঁদ-তারা বেশ জনপ্রিয়। ইসলাম ধীরে ধীরে একটা শক্তিশালী ধর্ম, সভ্যতার প্রতীক হিসেবে উঠে আসার সাথে সাথে চাঁদ তারাও ইসলামের জনপ্রিয় প্রতীকে পরিনত হতে থাকে। যদিও (আউটার ডাইমেনশনে) ধর্মের সাথে প্রতীকটার সম্পর্ক নাই বললেই চলে (ইনার ডাইমেনশনে অন্য ধরনের সম্পর্ক আছে যা পরে আলোকপাত করা হবে)। সুতরাং চাঁদ তারাকে অতি পবিত্র, অলৌকিক প্রতীক মনে করলে সেটা বিভ্রান্তিকর।
চাঁদ তারা খচিত কোন কিছু মানেই ইসলামিক এমন কোন সরল সমীকরন নাই।
একইভাবে ইসলামে কালচারাল আরেকটা আইকন হলো মসজিদের গম্বুজ। পৃথিবীর যেকোন মসজিদে গম্বুজ একটা যেন অবশ্যম্ভাবী অংশ। অথচ এটিও কালচার থেকে এসেছে। গম্বুজের মতো স্ট্রাকচার খ্রিস্টান গীর্জাতেও ব্যবহার হয়েছে।
নবী মুহাম্মদ (সালাম) প্রথম যে মসজিদ নিজ হাতে এবং তদারকিতে তৈরী করেন তাতে কোন গম্ভুজ ছিলো না। খুব সাদামাটা, খেজুর পাতার চাল দিয়ে তৈরী, মাটির দেওয়ালের একটা মসজিদ যেখানে বৃষ্টি হলেও মাটিতে কাদা হয়ে যেতো। খুব সম্ভবত গম্বুজের প্রচলনটা শুরু হয় তুর্কিশ স্থাপত্য থেকে (ভেরিভাইড ইনফো না)। ইসলামী স্থাপত্যের মানুষজন ভালো বলতে পারবেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।