আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রিলিজিয়াস সিম্বলজি: কৈফিয়তমূলক ভূমিকা

যে ঘড়ি তৈয়ার করে - সে - লুকায় ঘড়ির ভিতরে

আমাদের চারপাশ ভরা সিম্বল বা প্রতীক। ধর্ম অনেকগুলো বিমূর্ত ধারনা বা ভাবনার সংমিশ্রন যেখানে প্রতীকের ব্যবহার অবশ্যম্ভাবী এবং তাই ধর্ম গ্রন্থ থেকে শুরু করে - ধর্মের ব্যাখ্যা, সর্বত্রই প্রচুর প্রতীকি বিষয় খুজে পাওয়া যায়। একজন কবি যেরকম তার ভিতরের অনুভুতিটাকে প্রকাশ করার জন্য শব্দ ও বাক্যে বিভিন্ন উপমা ব্যবহার করে থাকেন, যেটা কবিতা সম্পর্কে ধারনা একেবারেই না থাকলে সাধারনভাবে পড়লে বড় খাপছাড়া মনে হয়; ঠিক সেরকম রিলিজিয়াস সিম্বলজি বা ধর্ম গ্রন্থ অথবা ধর্মের অনেক বিষয়ের পেছনের প্রতীকটা না ধরতে পারলে সব কিছু বড় বুজরুকি মনে হয়। যাদের কাছে বুজরুকি মনে হয় তাদের এ কারনে ঢালাও দোষারোপ করাটা তাই ভুল। কারন কবিতার প্রতীক যেমন না বুঝলে কবিতা মানেই সময় অপচয়, ধর্মের ক্ষেত্রেও কথাটা সমানভাবেই খাটে।

ইনার মিনিং বা অনর্্তনিহিত তাৎপর্যটা না বোঝার ফল যেটা হয় সেটা হলো এক দিকে ধর্মকে পুজা করা অন্যদিকে পঁচা ডিম নিক্ষেপ করা। যেখানে সিম্বলিক মিনিং আছে সেখানে আক্ষরিক অর্থ নিয়ে বাড়াবাড়ি করাটা ধর্মান্ধতার অন্যতম সমস্যা। দা ভিঞ্চি কোড বইটা বা সিনেমার মূল নায়কও ছিলেন সিম্বল স্পেশালিস্ট বা সিম্বলজিস্ট। ওর পছন্দের বিষয়টাও ছিলো রিলিজিয়াস সিম্বলজি। কিভাবে কোন প্রতীক দিয়ে কি বোঝানো হয়।

আমি কোন নায়ক ফায়ক নই, স্পেশালিস্টও নই। বিভিন্ন সময়ে পড়া বিষয় থেকে যতটুকু সম্ভব জানতে পেরেছি, ব্যক্তিগত আগ্রহে তুলনামূলক ধর্মতত্ত্ব, ইসলামিক স্পিরিচুয়ালিটি নিয়ে যতখানি সামান্যপড়া হয়েছে তা থেকে রিলিজিয়াস সিম্বলজি নিয়ে নিযর্াসটা তুলে ধরার এটা একটা বোকা প্রয়াস।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।