পিত্ত মানবদেহের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। এখানে বিভিন্ন কারণে অনেক ধরনের রোগে আক্রান্ত হতে পারে, তার মধ্যে পিত্তপাথুরী একটি জটিল রোগ। পিত্তে যখন পাথর জমা হয় তখন মানবদেহে বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দেয়। যেমন- বমি ও বমিভাব, নাভির কাছাকাছি প্রচণ্ড ব্যথা। এ ব্যথা কুক্ষিদেশ থেকে শুরু হয়ে কাঁধ ও পিঠ পর্যন্ত থাকে।
মুখে তিক্ত স্বাদসহ অনেক সময় জন্ডিসও থাকে। যে কোনো কারণে পিত্তকোষে বা পিত্তবাগী নালিতে পিত্তরস জমাট বেঁধে প্রস্তর কণা আকার ধারণ করে, এটাকে পিত্তপাথুরী বলে। যে কোনো কারণে পিত্তে পাথর সৃষ্টি হতে পারে। পিত্তনালির প্রদাহজনিত কারণে এই পিত্তপ্রবাহ বিঘি্নত হতে পারে। পিত্তপাথুরী খুব ছোট হলে বা বালু কণার মতো থাকলে অনেক সময় আপনা থেকেই বেরিয়ে যায়।
এ পাথুরী যতক্ষণ পিত্তকোষে থাকে ততক্ষণ বেদনা অনুভব হয় না; কিন্তু যখন পিত্তকোষ থেকে পিত্তনালিতে এসে পড়ে তখনই প্রচণ্ড ব্যথা হয় এবং রোগী অস্থির হয়ে পড়ে। এই রোগ প্রতিরোধে খাদ্যে ঘি, মাখন, চর্বিজাতীয় খাবার থেকে বিরত থাকতে হবে। বর্জন করতে হবে মাংস ও গুরুপাক খাদ্য থেকে। এছাড়া সব ধরনের নেশা থেকে দূরে থাকতে হবে। এ রোগে আক্রান্ত হলে দেরি না করে অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ শরণাপন্ন হতে হবে।
অ্যালোপ্যাথির মতো হোমিও ওষুধ সেবন করেও এসব থেকে মুক্ত থাকা যায়। উল্লেখযোগ্য ওষুধ : কার্ডুয়াস মেরী সিওনানথাস, কোলেস্টেরিনাম, চেলিডেনিয়াম এবং বার্বরিস ভালগা।
ডা. এম এস সিকদার
মেডিসিন বিশেষজ্ঞ
ফোন : ০১৭১১-০০৭৮৮৯
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।