ঢাকা-নিউইয়র্ক-ঢাকা রুটে বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট চালনা নিয়ে জোট সরকার একটি ধূর্ত নীতির আশ্রয় নিতে চাইছে। 3 জুন '06-এর পর ফ্লাইট এই রুটে বন্ধ হয়ে যাবে এই সংবাদ প্রচারিত হওয়ার পর নিউইয়র্কে গড়ে ওঠে 'সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদ'। এই পরিষদের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সভাপতির নেতৃত্বে 6 সদস্যের একটি টিম ঢাকা গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বিভিন্ন দপ্তরে দেখা করেন। যেহেতু এই টিমের সিংহভাগ বিএনপির সদস্য, তাই তারা বর্তমান জোট সরকারকে বোঝাতে সমর্থ হন নির্বাচন 2007 সামনে রেখে এই ফ্লাইট বন্ধ করা ঠিক হবে না। যে ধূম্রজাল এখন সৃষ্টি হয়েছে তা হচ্ছে বিমান কি আদৌ চালু থাকবে_ নাকি শুধুমাত্র সাময়িকভাবে প্রবাসীদের আন্দোলন প্রশমিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে?
বর্তমান সরকার কোনোমতে জোড়াতালি দিয়ে আগামী নির্বাচন পর্যন্ত এই রুটে বিমানের ফ্লাইটটি চালু রাখতে চায়।
অলিখিতভাবে হলেও ফ্লাইটটি চালু রাখার পক্ষে বিভিন্ন যুক্তি দেখানো হচ্ছে। কখনো গালফ এয়ারকে ব্যবসায়িক পার্টনার করে, কখনো কাতার এয়ারওয়েজকে লিজ দিয়ে এই রুট চালু রাখার কথা বলা হচ্ছে পত্রপত্রিকায়। সরকারের আসল উদ্দেশ্য কী, তা এখনো সম্পূর্ণ অস্পষ্ট।
কিন' প্রধান প্রশ্নটি হচ্ছে, 14 কোটি মানুষের দেশে আনত্দর্জাতিক আকাশ পরিবহন সংস্থা হিসেবে 'বিমান' একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিষ্ঠানে এখনো পর্যনত্দ দাঁড়াতে পারলো না কেন? কেন বিমানের এয়ারক্রাফট বহরের সংখ্যা কমপক্ষে 50টি হলো না এখনো? মাত্র 17টি জরাজীর্ণ এয়ারক্রাফট দিয়ে কেন চলবে এমন একটি সংস্থা?
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিমানবন্দরের বহির্নোঙরে এয়ারক্রাফটগুলো অনেকটা গাড়ির মতোই পার্কিং অবস্থায় দাঁড়িয়ে থাকে। প্রতিবেশী দেশ নেপাল, শ্রীলঙ্কা, ভুটানোরও এমন সমস্যা নেই।
আর ভারতের কথা তো বলার প্রয়োজনই পড়ে না। এমনকি পাকিসত্দান ইন্টারন্যাশনাল_ পিআইএ-এর বিমানবহরগুলোও আধুনিক, সমৃদ্ধ।
কেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনটি মাথা তুলে দাঁড়াতে পারছে না, সে প্রশ্ন আমাদের সাধারণ মানুষের?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।