এই প্রশ্নকর্তাদেরই একজন যুক্তরাষ্ট্রের সিনিয়র সিনেটর আল ফ্রাংকেন। উদ্বিগ্ন এই আইন প্রণেতা মনে করেন, আইফোন ৫এস-এর নতুন ফিঙ্গারপ্রিন্ট প্রযুক্তির বেশকিছু বিষয় পরিষ্কার হওয়া উচিত। সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, তিনি অ্যাপলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা টিম কুককে এ বিষয়টি নিয়ে চিঠিও লিখেছেন।
টিম কুককে লেখা চিঠিতে সিনেটর বেশকিছু প্রশ্ন করেছেন। জুডিসিয়ারি সাবকমিটি অন প্রাইভেসির চেয়ারম্যান সিনেটর ফ্রাংকেন চিঠিতে লিখেছেন, কারও ফিঙ্গারপ্রিন্ট চুরি করার পর কোনো হ্যাকার সারা জীবন ওই ব্যক্তির ছদ্মবেশ ধারণ করতে পারবেন।
অ্যাপলের কাছে ফ্রাংকেন যেসব প্রশ্ন করেছেন সেগুলো হচ্ছে-
১. ফিঙ্গারপ্রিন্ট ডেটা যা এনক্রিপ্টেড অবস্থায় মোবাইল ফোনের চিপে সংরক্ষিত থাকে, তা চুরি করা সম্ভব কি না এবং সেটিকে ডিজিটাল কিংবা ভিজুয়াল ফর্মে রূপান্তরিত করে হ্যাকাররা ব্যবহার করতে পারবে কি না।
২. আইফোন ৫এস কোনো প্রকার বিশ্লেষণাত্মক তথ্য অ্যাপল বা কোনো তৃতীয় পক্ষের কাছে টাচ আইডি সিস্টেমে ট্রান্সমিট করে কি না।
৩. গ্রাহকদের ফিঙ্গারপ্রিন্ট ডেটা কতটুকু নিরাপদে রাখা হচ্ছে এবং রক্ষা করা হচ্ছে।
৪. ফিঙ্গারপ্রিন্ট ডেটা বিষয়ে অ্যাপলের আইনী অবস্থান কী।
সিনেটর অ্যাপলকে এক মাস সময় দিয়েছেন উত্তর দেওয়ার জন্য।
এর আগেও আইফোনের ফিংগারপ্রিন্ট স্ক্যানার নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল- ছিনতাইকারী ফোনটি ছিনিয়ে নেয়ার সময় ‘আনলক কি’ হিসেবে ফোন মালিকের আংগুলটিও কেটে নিতে পারে, এমন আশঙ্কা আছে কিনা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।