আড়াল করে রাখা স্তূপপাপ দূর্গন্ধ ছড়াচ্ছে বেশ
সভ্য সমাজের শরীর থেকে খুলে পড়ছে অসভ্য পচা মাংস
তবু চুপ করে আছে কিশোরী, শঙ্কিত মা, সমস্ত নারী কুল-
যদি একঘরে করে রাখা হয় সামাজিক অন্দরে
যদি ফতোয়ার চাবুকে প্রকাশ্যে ধর্ষিতা হয় দ্বিতীয়বার
ডাক্তারের বিষাক্ত নখ যদি খুবলে খায় রক্তাক্ত শরীর
আদালতের হাকিম যদি চোখ মেরে বসে অশ্লীল ইঙ্গিতে
যদি মেয়েটা অবিক্রিত থেকে যায় যৌতুকের বিয়ের এই মন্দা বাজারে ?
সময় হয়েছে ঢের; সমস্ত “যদি”কে মাড়িয়ে দিয়ে এবার জেগে ওঠো
অবলা নারীর লেবাস খুলে প্রকাশ করে দাও সভ্যদের সব অসভ্যতা-
আমি তোমার নিরাপদ বেডরুম ত্রাস করে তোলা
কোন হায়েনা- কোন তুত ভাই নই ।
আমার কলম রেখাঙ্কিত করে না কোন তরুণীর স্নিগ্ধ তনু
শিক্ষকের শ্রদ্ধা ঝুলে থাকে না অশ্রদ্ধার নোটিশ বোর্ডে ।
অফিস বসের সভ্য কোর্টের আড়ালে লুকানো নেই
অশ্লীল কাপুরুষ কাম, চেপে ধরি না পর্দার আড়ালে ।
সিদ্ধ পুরুষ, ধর্মগুরুর মুখোশে আমার নেই একপাল রক্ষিতা
ওরা লাঞ্চিত হয় মন্দিরে; স্বর্গপথে, তীর্থযাত্রায় রথের কুটিরে ।
বিবেকের রক্ত টুপটুপ, অভিশপ্ত চোখ অপলক নির্লিপ্ত
যেন সমস্ত পুরুষের লজ্জা বয়ে বেড়াচ্ছে ছন্দহীন পা-
পুরুষ দেখলেই কেঁপে উঠছে- ওর দিকে দৃষ্টি দিতে ভয় হয়,
ওকে প্রেম নিবেদন করতে গিয়ে কেঁপে উঠি-
শরবিদ্ধ হরিণীর মায়াবী চোখে অশ্রুসিক্ত ঘৃণা ।
কথা দিচ্ছি বীরঙ্গনা নয়, ফতোয়া দোররা মেরে একঘরে করা নয়-
নব প্রজন্মের এ তরুণ আর একটা বদলে দেয়ার ডাক দেবে
প্রতিটা পুরুষ শুদ্ধ হতে গিয়ে তোমার প্রতিটা অপমান
যেন ঢেকে দেয় সিঁথির সিঁদুরে, পবিত্র কালেমার উচ্চারণে ।
ছবি কৃতজ্ঞতাঃ পিয়ালী ভুঁইয়া, ব্যঙ্গালোর, ভারত
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।