আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ডেসটিনি লুটের নেশা এখনো কাটেনি মুখোশধারীদের-২

শ্বাস-প্রশ্বাসে আছে স্বাধীনতা, চিন্তায় মানবতা...
(পরবর্তী অংশ) হঠাৎ করে দুদকের উল্টো অবস্থান নেয়াটা স্বাভাবিকভাবেই ডেসটিনির ডিস্ট্রিবিউটর-বিনিয়োগকারীসহ সচেতন মহলে অদ্ভুত বলে বিবেচিত হলেও কোন বিশেষ কারনে মিডিয়ার এড়িয়ে যায় বিষয়টি। দুদকের পক্ষ থেকে মামলা দেয়ার পর গ্রুপ চেয়ারম্যান ডক্টর রফিকুল আমীন আইনি প্রক্রিয়ায় জয়লাভ করবেন বলে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে ডেসটিনি গ্রুপের লিগ্যাল অ্যাডভাইজর প্যানেল নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। অন্যদিকে ডেসটিনির সকল ডিস্ট্রিবিউটরদের ব্যবসায়িক সংগঠন ডিডিএফ এর পক্ষ থেকে সারাদেশে জেলায় জেলায় পুলিশ সুপার ও জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। ব্যাপক আইনি বিষয়ক তৎপরতার সকল খবরা-খবরই ষড়যন্ত্রকারীরা পেতে থাকে ভিতরের কিছু কালপ্রিটের মাধ্যমে। ডক্টর আমীন আইন ভালোই জানে তাই ডেসটিনি গ্রুপ থেকে তাকে মাইনাস করার পরামর্শ দেয় অভ্যন্তরীন কালপ্রিটরা।

মাস্টারপ্ল্যানের প্রথমসারির হোতা দুদকের আইনজীবী খুরশিদ সরকারি বিশেষ মহলের সহায়তায় আইন বহির্ভূতভাবে সকলকে কারাগারে নেয়ার আদেশ নিয়ে নেয়। সারাদেশে ডেসটিনির লাখ লাখ ডিস্ট্রিবিউটর-বিনিয়োগকারী চরম ক্ষোভে ফেটে পড়ে। আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে গ্রুপ প্রেসিডেন্ট লেফটেন্যান্ট জেনারেল হারুন (বীরপ্রতিক, সাবেক সেনাপ্রধান অবঃ), চেয়ারম্যান ডক্টর আমীন ও মোহাম্মদ হোসাইন দ্রুত আত্নসমর্পণ করে আত্মপক্ষ সমর্থনের সময় চেয়ে জামিনের আবেদন করলে ডেসটিনি ধ্বংস করতে গঠিত বিচারপতি জহিরুল হক ও তার সহযোগীরা তা নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। এতে আদালত প্রাঙ্গনে উপস্থিত ডেসটিনির ডিস্ট্রিবিউটর-বিনিয়োগকারীরা “রায় মানি না” বলে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকলে বিশৃঙ্খল পরিবেশের সৃষ্টি হয়। ডেসটিনি গ্রুপের কর্ণধারদের কারাগারে প্রেরনের জন্য গাড়িতে উঠানো হলে বেশ কয়েকজন গাড়ীর সামনে শুয়ে পড়ে বিক্ষোভ করতে থাকে।

পুলিশ ও ডেসটিনি গ্রুপের আইনজীবীরা তাদের টেনে তুলে সেখান থেকে সরিয়ে নিয়ে যান। এদিকে জেনারেল হারুনকে কারাগারে নেয়ায় সারাদেশে তুমুল আলোচনার ঝড় ওঠায় একসময় ষড়যন্ত্রকারীদের ইচ্ছেমতন শর্তসাপেক্ষে তাকে জামিনে মুক্তি দেয়া হয়। অন্যদিকে, গ্রুপ চেয়ারম্যান ডক্টর আমীন এবং মোহাম্মদ হোসাইনের মুক্তির দাবিতে সারাদেশে ডেসটিনির ডিস্ট্রিবিউটর-বিনিয়োগকারীরা একযোগে মানববন্ধন থেকে শুরু করে রমনায় গন-অনশন করে। লাখ লাখ মানুষের এসব মানববন্ধন এবং অনশনের খবর রহস্যজনক কারনে সকল মিডিয়াই এড়িয়ে যায়। এমনও দেখা গেছে যে, ডেসটিনি’র মুক্তির দাবিতে হওয়া বিশাল মানববন্ধনের পাশে পনের-বিশ জনের ছোট্ট মানববন্ধনের খবর ডিটেইল আকারে মিডিয়াতে আসলেও ডিস্ট্রিবিউটর-বিনিয়োগকারীদের মানববন্ধন ও অনশন কর্মসূচীর কোন খবরই প্রচারিত হয়নি।

আরও রহস্যজনক কারনে এতকিছু হবার পরও সরকারি মহল দেখেও না দেখার ভান করে নিশ্চুপ থাকে। দেশের “জোর যার মুল্লুক তার” আইনের মারপ্যাচে গ্রুপের কর্ণধারদের কারাগারে নিতে সফল হওয়ার পর নানাভাবে হয়রানি, হুমকি-ধমকি এমনকি শারিরিক নির্যাতনের মাধ্যমে মাস্টারপ্ল্যানের হোতারা নিজেদের উপস্থিতিতে মিথ্যা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী নিয়ে তা প্রচার করে। কিন্তু, বিভিন্ন সুত্র জানিয়েছে যে তারা কোন জবানবন্দিই দেননি। মিডিয়াতে ফলাওভাবে এই সংবাদ প্রচার করার সময় একবারও ডেসটিনি গ্রুপের আইনজীবীদের বক্তব্য নেয়া হয়নি। কোন কোন মিডিয়া নিলেও তা সংবাদে প্রচার করেনি।

এমন নিউজের পর ডেসটিনির বিরুদ্ধে তার সকল ডিস্ট্রিবিউটর-বিনিয়োগকারীদের ক্ষোভে ফেটে পড়ে বিনিয়োগ ফেরতের দাবিতে রাজপথে নেমে আসার কথা থাকলেও, তারা করেছেন উল্টোটা। নিয়মিত মানববন্ধন করে গেছেন ডেসটিনির পক্ষে। এতকিছু করার পর ষড়যন্ত্রকারীদের বিনিয়োগে ঘাটতি দেখা দিলে মাস্টারপ্ল্যানে যুক্ত হয় ট্রান্সকম গ্রুপ, যমুনা গ্রুপ সহ, এসএ গ্রুপ, দরবেশ বাবা খ্যাত সালমান এফ রহমান থেকে শুরু করে দেশের কিছু গ্রুপ অব কম্পানিজ, বনমন্ত্রনালয় এবং অর্থমন্ত্রনালয়-সহ সরকারী উচ্চপর্যায়ের বেশকিছু প্রভাবশালী অসাধু কর্মকর্তা। দুদকের আইনজীবীসহ, বাংলাদেশ ব্যাংক ও সমবায় মন্ত্রনালয়ের বর্তমান ও সাবেক উচ্চপর্যায়ের কিছু প্রভাবশালী কর্মকর্তা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িয়েছেন সম্পদের লোভে। লাখ লাখ মানুষের রুজি-রুটি নিয়ে মেতে ওঠে পৈশাচিক খেলায়।

পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত সহ বন্ধু খোলসধারী কিছু রাষ্ট্রের অসাধু মহল ডেসটিনিকে ধূলিসাৎ করতে অর্থের যোগান দেয়া থেকে শুরু করে সরকারী বিভিন্ন মহলে উসকানি দেয়ার ক্ষেত্রে সহায়তা করে। আমজনতার মাঝে বিভ্রান্তি ছড়ায় ব্যাপক। সরকারি বিভিন্ন মহলে চাপ সৃষ্টি করে সম্পূর্ণ অবৈধ এবং বেআইনি প্রক্রিয়ায় অভিযোগ প্রমান হওয়ার আগেই ডেসটিনি গ্রুপের কর্ণধারদের সাথে সাথে শাস্তি দেয়া হয় ডেসটিনির সাথে সম্পৃক্ত কোটি মানুষকে। ষড়যন্ত্রকারী পিশাচদের সাথে তাদেরকে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে সাহায্যকারীরা পেয়ছে কোটি মানুষের অভিশাপ...যার ফল অনেকেই ভোগ করছে। এমন সকল ব্যক্তি ও তাদের প্রতিষ্ঠানের নাম আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

ছোট্ট উদাহরন সরূপ, তথ্য-সন্ত্রাসী মুন্নি সাহাকেই দেখা যাক। তৎকালীন জনপ্রিয়তা ও ক্ষমতার দাপটে ডেসটিনি নিয়ে নানা কুৎসা রটনার প্রয়াস চালিয়েছেন তিনি, আর এখন তিনিই সর্বক্ষেত্রে হাসি-ঠাট্টা, সমালোচনার পাত্রী। এখন কেউ কেউ গালি দেয় “মুন্নী সাহা” বলে... -পাপ বাপকেও ছাড়ে না....! সময়মত সকলকে জবাব দিতে হবে। এতগুলো মাস অন্যায়ভাবে কষ্ট দিয়ে পার পেয়ে যাবার চিন্তা করাটা বোকামীই হবে....আল্লাহ্‌র রহমতে একে একে সকলকে জবাব দিতে হবে!! ডেসটিনি সেভাবেই এগোচ্ছে.... [সময়মত আরো খোলামেলা লেখা দিব, তখন ব্লগে নয়.....অন্য কিছু জায়গায়! তখন কালপ্রীটরা বুঝবে লাখ লাখ মানুষের রুজি রুটি নিয়ে খেলার পরিনাম]
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।