যশোরের চৌগাছা উপজেলার সিংহঝুলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমানকে (৪৫) গুলি করে হত্যার প্রতিবাদে আজ শুক্রবার থেকে উপজেলায় অনির্দিষ্টকালের হরতাল শুরু হয়েছে।
স্থানীয় আওয়ামী লীগের একাংশের উদ্যোগে খুনিদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে আজ দুপুরে চৌগাছা বাজারে বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটার দিকে সিংহঝুলি ইউনিয়ন পরিষদসংলগ্ন শহীদ মশিউর রহমান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে দুর্বৃত্তরা জিল্লুর রহমানের বুকে ও পেটে গুলি করে তাঁকে হত্যা করে। তিনি যশোর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্বও পালন করেছেন। এ ঘটনার প্রতিবাদে কাল উপজেলা আওয়ামী লীগ অনির্দিষ্টকালের হরতালের ডাক দেয়।
হরতালের ব্যাপারে জানতে চাইলে চৌগাছা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহজাহান কবির প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডের পর আসামি গ্রেপ্তারে পুলিশের তত্পরতায় আমরা সন্তুষ্ট না। এ কারণে হরতাল অব্যাহত আছে। কাল শনিবার সকাল ১০ টায় একটি বৈঠক রয়েছে। বৈঠকে পরবর্তী কর্মসূচি নির্ধারণ করা হবে। ’
এদিকে আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত হত্যাকাণ্ডের ২৭ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এখনো থানায় মামলা হয়নি।
ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে পুলিশ আটক করতে পারেনি পুলিশ। তবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে তিনজনকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। ওই তিনজন হলেন চৌগাছার জাহাঙ্গীরপুর গ্রামের বকুল, পান্নু ও দিঘলসিংহা গ্রামের রনি।
এ ব্যাপারে চৌগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম রহমান প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, মামলা করার জন্যে নিহতের পরিবারের লোকজনকে একাধিকবার অনুরোধ করা হয়েছে। দাফন ও জানাজার কারণে তাঁরা মামলা করতে পারেননি।
তবে মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নিজ গ্রাম পিতম্বরপুরে নিহত চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমানের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য সিংহঝুলী ইউনিয়ন পরিষদে মরদেহ রাখা হয়। জুম্মার নামাজের পর বেলা আড়াইটায় চৌগাছা শাহাদত্ পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে দ্বিতীয় জানাজা শেষে যশোর শহরের কারবালা কবরস্থানে তাঁকে সমাহিত করা হয়।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।