স্নো-ড্রপস অ্যান্ড ড্যাফোডিলস, বাটারফ্লাইস অ্যান্ড বী; সেইল বোটস অ্যান্ড ফিশারমেন, থিংস অভ দ্যা সী। উইশিং-ওয়েলস, ওয়েডিঙ বেলস, আর্লি মর্নিং ডিউ; অল কাইন্ডস অভ এভরিথিং রিমাইন্ডস মি অভ ইউ!
ঈশান কোনে মাউন্ট ডুমের চূড়ায় আগুনে লাভা ধিকিধিকি জ্বলছে। সেই আভায় আকাশের কৃষ্ণকালো বজ্রমেঘও লাল হয়ে উঠেছে। আকাশের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে বিজলী খেলে যাচ্ছে, ঘন ঘন বজ্রপাতে সুন্দরবনরাজি, লোকালয় কেঁপে কেঁপে উঠছে। মাউন্ট ডুমের পাদদেশের বিস্তীর্ণ বনভূমি কেটে ফেলেছে অর্কের দল, দিবারাত ব্যেপে কি যেন এক বিশাল বিপুল কারখানা বানাচ্ছে তারা।
কৃষ্ণ মিনারের চূড়ায় ঘুরছে 'সর্বদর্শী চোখ', মিনারের তলে গুপ্ত প্রকোষ্ঠে চলছে জাদুকর তান্ত্রিকদের শলা পরামর্শ। বনের মাঝের বিশাল কারখানায় তৈরি হচ্ছে শান্ত ঘুমন্ত অচেতন জনপদটি ধ্বংসের মারণাস্ত্র। জনপদ অচেতন কিন্তু অর্কের দল, জাদুকরের দল আর 'সর্বদর্শী চোখ', সদাই জাগ্রত। পথে পথে সতর্ক প্রহরা, সময় অতি সন্নিকট। এর মাঝেই সব বাধা ঠেলে এগুচ্ছে গুটিকয় শর্ট মানুষের লং মার্চ !
দেও দানোদের কবল থেকে এই ঘুমন্ত জনপদকে যে বাঁচাতেই হবে ! তাঁরা ছাড়া আর আর যে নেই কেউ ! বাকি সবাই হয় ঘুমন্ত, নয় মৃত ! অদূরেই বনভূমি।
সাহসে বুক বেঁধে, অর্কদের ব্যূহ ভেদ করে, এবার ঝাঁপিয়ে পড়ার পালা। কিন্তু অর্করা যে দেখে ফেলেছে, এবার এগিয়ে আসছে দল বেঁধে, ধীরে ধীরে ঘিরে ফেলছে এখন। কিন্তু শর্ট মানুষগুলো এখন আর ভয় পাচ্ছে না, ভয়কে জয় করে ভয়ের ঊর্ধ্বে উঠে গেছে তারা।
অধম সিরাজ সাঁই আজ সব গান, লালনকে দেয়ার মত আর কোনও জ্ঞান নেই তার কাছে। বিপর্যস্ত, বিচলিত, দীনহীন মানুষটি ভাবছে কি করবে সে, কি করার ছিল, কি করার আছে ! আত্মগ্লানির ভারে দুই হাঁটুর মাঝে মাথা দিয়ে সে আজ ত্রিকালদর্শী হয়েছে।
আর ভাবছে, আরও আরও আগেই তার এই ধরাধাম পরিত্যাগ করা উচিৎ ছিল।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।