পুরান ঢাকার মিটফোর্ড এলাকার নয়টি মার্কেটে ভেজাল ও মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রির অভিযোগে আজ শনিবার ২০ জনকে এক বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় ২৮টি ওষুধের দোকান ও গুদাম সিলগালা করা হয়। এ নিয়ে ওষুধ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে র্যাবের হাতাহাতিও হয়।
র্যাব সূত্র জানায়, সকাল ১০টার দিকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শরীফ মোহাম্মদ ফরহাদ হোসেনের নেতৃত্বে মিটফোর্ড এলাকায় ভান্ডারি মার্কেট, খান মার্কেট, আমিন মার্কেট, আমির মার্কেট, আলিফ লাম মীম মার্কেট, নায়লা মার্কেট, নুরপুরী মার্কেট, বিসিবিএস ও আলী মার্কেটে র্যাবের ২০০ সদস্য অভিযান চালান। এতে অংশ নেন ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল জাহাঙ্গীর হোসেন মল্লিক, র্যাব-১০-এর পরিচালক লে. কর্নেল ইমরান ইবনে এ রউফ ও বিএসটিআইয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেলা ১১টার দিকে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত খান ও সর্দার মার্কেটে গেলে ওষুধ ব্যবসায়ীরা জোট বেঁধে র্যাবের ওপর হামলা চালান। এ নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও পরে সংঘর্ষ বেধে যায়। এতে র্যাবের সদস্য আমিনুর রহমানের (২৭) মাথা ফেটে যায়। তাঁকে মিটফোর্ড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে র্যাবের অতিরিক্ত সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
অভিযান চলাকালে বেশ কয়েকবার ব্যবসায়ীদের বাধার মুখেও পড়েন র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শরীফ মোহাম্মদ ফরহাদ হোসেন প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলা এ অভিযানে প্রচুর পরিমাণ মেয়াদোত্তীর্ণ, ভেজাল, অবৈধ ও নিম্নমানের ওষুধ, নানা রকম ফুড সম্পূরক, ব্যথানাশক ওষুধ পাওয়া যায়। এসবের সংরক্ষণপ্রক্রিয়া ও বিক্রিতে জড়িত অভিযোগে ১০৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ২০ জনকে এক বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয় এবং পরে তাঁদের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া জয়। বাকি ৮৩ জনকে এক কোটি সাড়ে ২৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
তিনি বলেন, আজ রাতের মধ্যে জরিমানার টাকা দিতে ব্যর্থ হলে তাদের প্রত্যেককে তিন মাস করে কারাভোগ করতে হবে। এসব ঘটনায় মোট ৮০টি মামলা হয়েছে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরও বলেন, র্যাবের সদস্যরা সাদা পোশাকে থাকায় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সামান্য ভুল-বোঝাবুঝি হয়। এতে র্যাবের একজন সদস্য আহত হয়েছেন। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।