এতে ১০ লাখেরও বেশি সরকারি কর্মজীবীর বেতন বন্ধ হওয়াসহ দেশের জাতীয় উদ্যানগুলো এবং মেডিকেল গবেষণার প্রকল্পগুলো বন্ধ হয়ে যাবে।
মঙ্গলবার দিনের শুরু থেকেই এই অচলাবস্থার মধ্যে পড়েছে দেশটির সরকার। গত ১৭ বছরের মধ্যে এই প্রথম এ ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হল।
শেষ পর্যায়ে চেষ্টা করেও এই পরিণতি এড়ানোর মতো কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেননি আইনপ্রতিনিধিরা। এতে রিপাবলিকান ও ডেমক্রেটদের মধ্যে বিভক্ত কংগ্রেস রাষ্ট্রের মূল দায়িত্বগুলো পালন করার সামর্থ্য রাখে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
ফেডারেল সরকারের বিভিন্ন বিভাগ ইতোমধ্যেই বিভিন্ন সেবা বন্ধ করে দিতে শুরু করেছে।
শেষ পর্যায়ে অচলাবস্থা ভাঙতে প্রতিনিধি পরিষদের রিপাবলিকান সদস্যদের পক্ষ থেকে একটি প্রস্তাব দেয়া হলেও সিনেটের সংখ্যাগরিষ্ঠ ডেমক্রেটদের নেতা হ্যারি রিড তা প্রত্যাখ্যান করেন।
সরকারের অচলাবস্থাকে “মাথায় বন্দুক ঠেকানোর” সঙ্গে তুলনা করে এই পরিস্থিতিতে আলোচনা সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।
অচলাবস্থা এড়ানোর সর্বশেষ সময় হওয়ার সময় মধ্যরাত্রি পেরিয়ে যাওয়ার পর প্রতিনিধি পরিষদের রিপাবলিকান ও ডেমক্রেট দলীয় সদস্যরা একে অপরকে দায়ী করার তিক্ত খেলা শুরু করেন। জনগণের সম্ভাব্য দুর্ভোগের জন্য এক পক্ষ অপর পক্ষের ওপর দায় চাপানোর চেষ্টা করে।
শিগগিরই নতুন একটি তহবিল সংক্রান্ত বিলের বিষয়ে কংগ্রেসের দুই পক্ষ একমত হলে এই অচলাবস্থা কয়েকদিনের মধ্যেই শেষ হবে, না হলে তা কয়েক সপ্তাহ ধরে চলবে। কিন্তু দুপক্ষকে এক জায়গায় আনবে এমন কোনো লক্ষণ এ পর্যন্ত দেখা যায়নি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।