ইরান সম্পর্কে আন্তর্জাতিক মহলে ক্রিয়াশীল সন্দেহ দূর করতে প্রেসিডেন্ট হাসান রোহানি গত সপ্তাহে জাতিসংঘে যেসব তৎপরতা চালিয়েছেন, সেগুলোর প্রতি আজ বুধবার সমর্থন জানিয়েছে দেশটির পার্লামেন্ট।
ইরানের গণমাধ্যম বলছে, রোহানির তত্পরতার উল্লেখযোগ্য সাফল্য হলো যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নের সূচনা করা।
রয়টার্স বলছে, ইরানের পার্লামেন্টের অধিকাংশ সদস্যই এমন সব দল ও গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত, যাঁরা দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির অনুসারী। খামেনি এখনো রোহানির সফর নিয়ে প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য করেননি। তবে রোহানির প্রতি অধিকাংশ পার্লামেন্টারিয়ানের সমর্থনের অর্থ হলো, রোহানি যেসব কর্মপরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন, সেগুলোর প্রতি ইরানের প্রতিষ্ঠিত ও প্রভাবশালী অংশের সক্রিয় সমর্থন আছে।
তবে দেশটির কিছু কট্টরপন্থী দল এখনো প্রকাশ্যে রোহানির বিরোধিতা করছে।
ইরানিয়ান স্টুডেন্টস নিউজ এজেন্সি (আইএসএনএ) গতকাল মঙ্গলবার রাতের খবরে জানায়, জাতিসংঘ থেকে ফিরে হাসান রোহানি গতকাল পার্লামেন্টের সদস্যদের নিজের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে জানান। ইরানের পারমাণবিক গবেষণা নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনা, আঞ্চলিক রাজনীতি ইত্যাদি বিষয়ে তিনি সদস্যদের বিস্তারিত তথ্য দেন।
সংবাদ সংস্থা ফার্স বলছে, ইরানের পার্লামেন্টের মোট সদস্য ২৯০ জন। রোহানির দেওয়া তথ্যে সন্তুষ্ট হয়ে ২৩০ জন পার্লামেন্টারিয়ান তাঁর প্রতি সমর্থন জানিয়ে এক বিবৃতি দিয়েছেন।
কারণ জানিয়ে তাঁরা লিখেছেন, ‘রোহানি এমন এক শক্তিশালী ও শান্তিকামী ইরানকে উপস্থাপন করেছেন, যা সব আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ইস্যুর সমাধান করতে চায় আলোচনা ও পারস্পরিক মতবিনিময়ের মাধ্যমে। ’
রোহানির যুক্তরাষ্ট্র সফরে বিশ্বের আর সব দেশ যতই আশান্বিত হোক না কেন, ইরানের চিরশত্রু ইসরায়েল তাতে মোটেই খুশি হয়নি। গতকাল ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ইরান হলো ভেড়ার পোশাকের এক নেকড়ে। তাই সে শান্তির পথে হাঁটতেই পারে না।
যুুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল ও তাদের পশ্চিমা মিত্ররা দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করে আসছে, পারমাণবিক বোমা বানানোর জন্য ইরান গবেষণা চালাচ্ছে।
যদিও ইরান বলছে, তার পারমাণবিক গবেষণার লক্ষ্য বিদ্যুত্ ও ওষুধ উত্পাদনের মতো শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি।
নেতানিয়াহুর বক্তব্যের জের ধরে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভেদ জাফরি তাঁর ফেসবুক পেজে লিখেছেন, ইহুদিবাদী লবি ইরানের সঙ্গে যেকোনো দেশের সমঝোতা ঠেকাতে চায়। ‘আমরা আমাদের আলোচনার ভাগ্য নির্ধারণের কর্তৃত্ব নেতানিয়াহুর ওপরে ছেড়ে দেব না। ’
সপ্তাহ দুয়েক পর জেনেভায় ইরানের পারমাণবিক গবেষণা নিয়ে ছয় বিশ্বশক্তির সঙ্গে দেশটির আলোচনার কথা রয়েছে।
।অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।