আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মন্ত্রিসভায় অধ্যাদেশ, বিল প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত

ভারতের আদালতে দোষী সাব্যস্ত হওয়া আইনপ্রণেতাদের সম্পর্কে প্রণীত অধ্যাদেশ ও বিল প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। বার্তা সংস্থা আইএএনএস জানায়, অধ্যাদেশটি ছিল বহুবিতর্কিত এবং বিলটির লক্ষ্য ছিল সাজা পাওয়া আইনপ্রণেতাদের রক্ষা করা। সম্প্রতি মন্ত্রিসভা এসব অধ্যাদেশ ও বিল প্রণয়নের চেষ্টা করলে ক্ষমতাসীন কংগ্রেসের সহ-সভাপতি রাহুল গান্ধী সে চেষ্টার তীব্র বিরোধিতা করেন।

খবরে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মাত্র ২০ মিনিটের বৈঠকে মন্ত্রিসভা আজ এ সিদ্ধান্ত নেয়।

রাহুল আজ মনমোহনের সঙ্গে সাক্ষাত্ করেন।

এরপর কংগ্রেসের সভাপতি সোনিয়া গান্ধীর নেতৃত্বে দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী কমিটি এ নিয়ে বৈঠক করে। এরপরই মন্ত্রিসভা এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেয়।

ভারতের তথ্য ও প্রচারমন্ত্রী মানীশ তেওয়ারি সাংবাদিকদের বলেন, ‘মন্ত্রিপরিষদের সভায় সবার সম্মতির ভিত্তিতে জনপ্রতিনিধিত্ব আইন সম্পর্কে প্রণীত অধ্যাদেশ এবং একটি বিল (যা এখন পার্লামেন্টে উত্থাপিত হওয়ার জন্য অপেক্ষারত) প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত হয়েছে। ’

এ বছরের ১০ জুলাই সুপ্রিম কোর্ট আদেশ জারি করেছিল যে, আইনপ্রণেতারা দোষী সাব্যস্ত হলে সঙ্গে সঙ্গে তিনি ওই পদে অযোগ্য বিবেচিত হবেন। শুধু তা-ই নয়, ওই রাজনীতিক এরপর ১০ বছর কোনো পদে নির্বাচন করতে পারবেন না।

সুপ্রিম কোর্টের এ আদেশটিকে অকার্যকর করতে গত ২৪ সেপ্টেম্বরে মন্ত্রিসভা এক অধ্যাদেশ পাস করে।

কিন্তু রাহুল গান্ধী মন্ত্রিসভার এ সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেন। তিনি ওই অধ্যাদেশকে ‘কাণ্ডজ্ঞানবর্জিত’ বলে অভিহিত করেন এবং সেটিকে ছিঁড়ে ছুড়ে ফেলা দরকার বলেও মত দেন।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.