৫০ টি অন্যতম সাফল্য ১. আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সপরিবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের বিচার সম্পন্ন ও হত্যাকারীদের ফাঁসির রায় কার্যকর এবং মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের বিচারের জন্য গঠিত দুটি ট্রাইব্যুনালে নয়টি মামলা বিচারাধীন। ২. সমুদ্র আইন বিষয়ক আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে ঐতিহাসিক জয়, বাংলাদেশ-মিয়ানমার সমুদ্রসীমা চূড়ান্তভাবে নির্ধারিত, এক লাখ ১১ হাজার ৬৩১ বর্গকিলোমিটার সম্প্রসারিত সমুদ্রসীমায় বাংলাদেশের ন্যায়সঙ্গত অধিকার প্রতিষ্ঠা। ৩. প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐতিহাসিক শান্তির মডেলসহ তাঁর কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের অটিজম সংক্রান্ত প্রস্তাব জাতিসংঘে গৃহীত। ৪. ভারতের সাথে সীমানা চিহ্নিতকরণ, ভারতের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার প্রাপ্তি এবং তিনবিঘা করিডোর উন্মুক্তকরণের মাধ্যমে ছিটমহলের সাথে মূল ভূখন্ডেরর সংযোগ স্থাপন। ৫. সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রায় ছয় হাজার নির্বাচন অনুষ্ঠান নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন।

৬. বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা সত্ত্বেও বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির উচ্চহার অব্যাহত, উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জনে বিশ্বে পঞ্চম স্থান অর্জন, চার বছরে গড় প্রবৃদ্ধি অর্জন ৬.৪ শতাংশ। ৭. রাজস্ব আহরণের পরিমাণ দ্বিগুণেরও অধিক, সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পূর্ববর্তী অর্থবছরের ৪৭ হাজার ৪৩৬ কোটি টাকার বিপরীতে ২০১১-১২ অর্থবছরে ৯৪ হাজার ৭৫৪ কোটি টাকা রাজস্ব আহরণ। ৮. বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সরকারের দায়িত্বগ্রহণ কালের ৫.৭৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের স্থলে ১২.৭৫ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত। ৯. রপ্তানি আয় ২৪.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত। ১০. মাথাপিছু জাতীয় আয় ২০০৮-০৯ অর্থবছরের ৬৭৬ মার্কিন ডলার থেকে বর্তমানে ১ হাজার ডলারে উন্নীত।

১১. সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে জুন ২০১২ পর্যন্ত সাড়ে তিন বছরে বৈদেশিক সাহায্য প্রাপ্তির প্রতিশ্রুতি হিসেবে ১৪,৮৯৪ দশমিক ৫৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের চুক্তি সম্পন্ন যা পূর্ববর্তী সাড়ে তিন বছরের তুলনায় ৮৩ দশমিক ৭৮ শতাংশ বেশি। ১২. বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে বরাদ্দ ২০০৮-০৯ এর ২৩ হাজার কোটি টাকার বিপরীতে ২০১২-১৩ অর্থবছরে ৫৫ হাজার কোটি টাকায় উন্নীত। ১৩. বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যাপক সাফল্য ও নির্বাচনি অঙ্গীকার পূরণ, ২০০৯ সালের ৩,২৬৮ মেগাওয়াটের স্থলে বর্তমানে উৎপাদন ৮,২৭৫ মেগাওয়াট, প্রাকৃতিক গ্যাসের দৈনিক উৎপাদন ১,৭৫০ মিলিয়ন ঘনফুট থেকে ২,২৫০ মিলিয়ন ঘনফুটে উন্নীত। ১৪. নন-ইউরিয়া সারের মূল্য তিনবারে ৭০% থেকে ৭৮% পর্যন্ত হ্রাস, ইউনিয়ন পর্যায়ে আট হাজার ৬৮ জন ডিলার ও গ্রাম পর্যায়ে ২৮ হাজার খুচরা বিক্রেতা নিয়োজিত। ১৫. খাদ্য উৎপাদন ২০০৭-০৮ অর্থবছরের তুলনায় ২০১১-১২ অর্থবছরে ১৯ লাখ ৩৯ হাজার মেট্রিক টন বৃদ্ধি, ২০১৩ সালে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের পথে।

১৬. জাতিসংঘ মিশনে বিশ্বের বৃহত্তম শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ হিসেবে বাংলাদেশের স্বীকৃতি লাভ, বর্তমানে সশস্ত্র বাহিনীর প্রায় ১২ হাজার জনবল বিশ্বের ১০টি দেশে কর্মরত। ১৭. কৃষিবান্ধব নীতির ফলে রেকর্ড পরিমাণ খাদ্য উৎপাদনসহ খাদ্য নিরাপত্তমূলক আরো নানা কর্মসূচি গ্রহণ ও খাদ্য মজুত বৃদ্ধি করার মাধ্যমে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ। ১৮. দেশের উত্তরাঞ্চলের মঙ্গা পরিসি’তি সম্পূর্ণ দূরীভূত, কৃষিবান্ধব নীতির ফলে সেখানে কৃষি জমির পরিমাণ বৃদ্ধি, ব্যাপক ফসল উৎপাদন। ১৯. মৎস্য উৎপাদন ২৫.৬৩ লাখ মেট্রিক টন থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৩২.৬২ লাখ মেট্রিক টনে উন্নীত। ২০. সামাজিক নিরাপত্তা বলয়কে সুসংহত রাখতে বয়স্কভাতা, বিধবা ও অসহায় নারী, অসচ্চল প্রসূতি মা, অসচ্চল ও পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারসহ বিভিন্ন ভাতা-উপবৃত্তির সুবিধাভোগীর সংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি ভাতার পরিমাণ বৃদ্ধি; ৮৪টি সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় আট কোটি ৮৪ লাখ মানুষের প্রত্যক্ষ উপকার ভোগ; ওএমএস, ভিজিডি, ভিজিএফ, টিআর, কাবিখা-সহ খাদ্য নিরাপত্তা খাতেই বছরে প্রায় চার হাজার কোটি টাকা ব্যয়।

২১. এক লাখ ১১ হাজার ৬৭৩টি ভূমিহীন পরিবারের মধ্যে ৫১ হাজার ৮৭১ একর কৃষি খাসজমি বন্দোবস্ত প্রদান গুচ্ছ গ্রাম প্রক্লপের মাধ্যমে ৭ হাজার ১৭২ টি ভূমিহীন পরিবারকে পুর্নবাসন। ২২. দারিদ্র্যের হার হ্রাসে ঐতিহাসিক অর্জন, ২০০৫ সালের ৪০.৪ এর স্থলে ১০ শতাংশ কমিয়ে ২০১০ সালে ৩১.৫ শতাংশ। ২৩. শিক্ষিত বেকার যুবকদের জন্য অস’ায়ী কর্মসংস্থানমূলক ‘ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচি চালু। ২৪. তিন লাখ ৬২ হাজার চারশ জন নারীকে মাতৃত্বকাল ভাতা, ২২ হাজার ৭০০ জন ল্যাকটেটিং মাকে ভাতা, ১৫ লাখ নারীকে ভিজিডি কর্মসূচির চাল/গম এবং এক লাখ ৬০ হাজার নারীকে খাদ্য নিরাপত্তা কার্যক্রমের আওতায় সাবসিসট্যান্স ভাতা প্রদান। ২৫. অর্থনৈতিক মূলধারায় নারীদের সম্পৃক্তি বৃদ্ধির জন্য নারী উদ্যোক্তাদের সহজ শর্তে আর্থিক সুবিধা প্রদানের বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ, বাংলাদেশ ব্যাংকের পুনঃঅর্থায়ন স্কিমের সমুদয় অর্থের ন্যূনতম ১৫ শতাংশ নারী উদ্যোক্তাদের জন্য বরাদ্দ।

২৬. অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ভাতা বৃদ্ধি, ভাতাভোগীর সংখ্যা এক লাখ থেকে দেড় লাখে উন্নীত, মুক্তিযোদ্ধা সরকারি চাকুরিজীবীদের অবসরের সয়সসীমা ৬০ বছরে উন্নীত। ২৭. নির্বাচনি ইশতেহার অনুযায়ী শতভাগ শিশুর বিদ্যালয়ে ভর্তি নিশ্চিত, সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা-২ অর্জনে সাফল্য, উপবৃত্তির আওতাভুক্ত ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ৪৮ লাখ থেকে ৭৮ লাখে উন্নীত, প্রতিবছর বছরের প্রথম দিনে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের সকল ছাত্রছাত্রীর হাতে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক প্রদান, ২০১৩ সালের ১ জানুয়ারি সম্পূর্ণ নতুন কারিকুলামের ২৭ কোটি বই বিতরণ। চার বছরে মোট ৯২ কোটি বই বিতরণ। ২৮. অষ্টম ও পঞ্চম শ্রেণির সমাপনী হিসেবে জেএসসি/জেডিসি ও পিএসসি পরীক্ষা চালু। ২৯. ১,৬২৪টি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমপিও-ভুক্তি।

৩০. শিশুমৃত্যু হার হ্রাসে সাফল্যের জন্য জাতিসংঘ পুরস্কার ও গ্যাভি পদক এবং নারী ও শিশু স্বাস্থ্যর উন্নয়নে তথ্য প্রযুক্তির সফল ব্যবহারের স্বীকৃতি হিসেবে ‘সাউথ সাউথ পুরস্কার’ অর্জন। ৩১. সারাদেশে ১৩ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক চালুর মাধ্যমে তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণ। ৩২. নতুন আটটি হাসপাতাল, চারটি মেডিকেল কলেজ, সাতটি নার্সিং কলেজ ও ১২টি নার্সিং ইনস্টিটিউটের কার্যক্রম শুরু। ৩৩. আখচাষির পূর্জিকে ডিজিটাল করা থেকে শুরু করে কৃষিতথ্য, স্বাস্থ্যতথ্য, শিক্ষাতথ্য, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি ও পরীক্ষার ফলাফলসহ অন্যান্য সেবা ইউনিয়ন ও ব্যক্তি পর্যায় পর্যন্ত ২৫ ধরনের ই-সেবা সমপ্রসারণ। ৩৪. সকল জেলায় জেলা তথ্য বাতায়ন এবং জেলা ওয়ান-স্টপ সেবাকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা, এ কেন্দ্র থেকে কোনো ধরনের কালক্ষেপণ ও হয়রানি ছাড়া ভূমি সংক্রান্ত সেবা প্রদান।

৩৫. মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ, গ্যাস ও ফোন বিল প্রদান এবং রেলের টিকেট ক্রয়ের সুযোগ সৃষ্টি। ৩৬. দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠীর হাতে মোবাইল ফোন, ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় তিন কোটি। ৩৭. ডিজিটাল কর ব্যবস্থা প্রবর্তিত। ৩৮. স্বল্প ও মধ্যম আয়ের লোকদের জন্যে ঢাকাসহ অন্যান্য বিভাগীয় শহর, বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় ৪১,৫৮১টি প্লট উন্নয়ন ও ৩১,৫৩৩টি ফ্ল্যাট নির্মাণের জন্য ৪৯টি উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন। ৩৯. গার্মেন্টস সেক্টরে ন্যূনতম ৩০০০ টাকা বেতনসহ ৩৫টি বেসরকারি শিল্প সেক্টরে ন্যূনতম মজুরি পুনঃনির্ধারণ, শ্রমিকদের অবসর গ্রহণের সময়সীমা ৬০ বছরে উন্নীতকরণ।

৪০. সরকারি কর্মচারীদের জন্য যুগোপযোগী পে-স্কেল প্রদান। ৪১. সরকারি নারী চাকুরিজীবী ও নারী শ্রমিকদের মাতৃত্বকালীন ছুটি চার মাস থেকে ছয় মাসে উন্নীত। ৪২. গত চার বছরে ২০ লাখ ৪৩ হাজারের বেশি বাংলাদেশি কর্মীর বিদেশে কর্মসংস্থান লাভ, বিদেশ থেকে রেমিটেন্স প্রাপ্তি ৪৪ দশমিক ২২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ৪৩. প্রায় দুই লাখ ৬৮ হাজার বাংলাদেশি নাগরিকের মালয়েশিয়ায় অবস্থান বৈধ করার প্রক্রিয়া সম্পন্ন, আরো অধিক সংখ্যক কর্মী মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে প্রবেশের সুযোগ সৃষ্টি। ৪৪. হজযাত্রী রেকর্ড সংখ্যায় বৃদ্ধি, ২০০৯ সালের ৫৮ হাজার ২৬৯ এর স’লে ২০১২ সালে এক লাখ নয় হাজার ৬১১ জনে বৃদ্ধি।

৪৫. একুশটি বৃহৎ সেতু নির্মাণ। ৪৬. হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে যাত্রাবাড়ি পর্যন্ত ২৬ কিলোমিটার এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, মিরপুর-বিমানবন্দর সড়ক ফ্লাইওভার এবং যাত্রাবাড়ি-পলাশী ‘মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভার’ নির্মাণ কাজ অব্যাহত। ৪৭. ৪৫টি নতুন ট্রেন চালু, ২০টি ট্রেন সার্ভিস বর্ধিত। ৪৮. গণমাধ্যমের পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা, তথ্য অধিকার আইন প্রণয়ন ও তথ্য কমিশন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে অবাধ তথ্য প্রবাহ নিশ্চিতকরণের জন্য ১৩ হাজার ডেজিগনেটেড কর্মকর্তা নিয়োগ। ৪৯. চলচ্চিত্র সংক্রান্ত কর্মকাণ্ডকে শিল্প হিসেবে ঘোষণা।

৫০. ১৬টি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল, ১৪টি কমিউনিটি রেডিও সাতটি এফএম রেডিও’র অনুমোদন।
।