আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রুপকল্প ২০৩০ নাকি বিএনপি বাঁচান দেশ বাঁচানঃ ডেট লাইন ২৫শে অক্টোবার

বিক্ষিপ্ত ভাবনা

সরকার সাথে যোগাযোগ রক্ষাকারী টিভি টক শো তারকাদের কেউ কেউ এখনও নাটকীয় আশা দেখাচ্ছেন রাজনৈতিক সমাঝোতার। আসলে কি সে রকম কিছু হবে? বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনীতির গতি প্রকৃতি বলছে সমাঝোতার কোন সুযোগ নেই। অনেকেই মনে করছেন ২৫শে অক্টোবারের পর নাটকীয়তা আর থাকবেনা, রাজনীতির গতিপথ পরিস্কার হয়ে যাবে। আসলেকি তাই? কি হতে পারে ২৫শে অক্টোবারের পর? রাজনীতির এই সমীকরণকে আমরা যতই সহজ মনে করিনা কেন, বিষয়টি আমাদের ভাবনার থেকেও অনেক বেশী জটিল। প্রশ্ন, কেন এই সাসপেনস? আর এর গন্তব্যই বা কোথায়? আজকের লিখায় তাই বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করেছি।

মহান স্বাধীনতার পর থেকেই বাংলাদেশের রাজনীতির রাজনীতি কখনই একক নাটাইয়ের সুতোয় বাঁধা ছিলনা। যদিও অনেকেই মনে করেন বর্তমানে রাজনীতির সুতো ভারতে বাঁধা। বাস্তবতা কিন্তু ভিন্ন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিজয়ের পর বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সামনে একটিই বিকল্প ছিল তার আদর্শিক জার্নিটিকে মসৃন করা। এই পরিসরের যাবতীয় কাজ গুলো সবারই জানা।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তার আদর্শিক জার্নি অনেকটাই সহনীয় মাত্রায় নিয়ে এসেছেন। বাকী যে টুকু আছে তার জন্যে সময় প্রয়োজন কমপক্ষে ৩ বছর। সমাঝোতার মোয়া খাওয়া বিরোধী দলের সকল প্রত্যাশাকে ছাপিয়ে দিয়ে আওয়ামীলীগ আরও ৩ বছর ক্ষমতায় থাকবে - সেটা প্রতক্ষ্য ভাবে হোক আর পরোক্ষ ভাবে হোক। প্রশ্ন হচ্ছে বিএনপি কি ২৫ তারিখের পর কোন কার্যকর ভুমিকা রাখতে পারবে? উত্তরটি খুবই সহজ - না ২৫ তারিখ বা নিকট ভবিষ্যতে তেমন কিছুই হবার সম্ভাবনা নেই। কেন নেই - এর উত্তরও সহজ, নদীর পাড় যেমন একদিনে ভাংগেনা, রাজনীতির গতিও একদিনে পরিবর্তন হয়না, বিশেষ করে দিন তারিখ দিয়ে কখনই কোন কৌশল সফল হয়না।

এবার আসুন দেখি আওয়ামীলীগ কি করতে পারে। তারা মোটামুটি ভাবে একটি নির্বাচন করবে বছর শেষে যা ১৯৯৬ এর ১২ই ফেব্রুয়ারি থেকে ভাল মানের নির্বাচন হবে। এই নির্বাচন দিয়ে আওয়ামীলীগের টার্গেট হল তারা সর্বনিম্ন ৩ বছর ক্ষমতায় থাকবে। আওয়ামীলিগ যদি ২০১৬ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকতে পারে, তবে বিএনপির অস্তিত্ব নেতৃত্ব শুন্যতার কারণে হুমকীর মুখে পড়বে বা এটি একটি নাম সর্বস্ব অকার্যকর দলে পরিনত হবে। ফলে আওয়ামীলীগের পক্ষে পরবর্তী জাতীয় নির্বাচনে বিজয়ী হওয়া বা আগামী ১০ বছর দেশ চালানো কোন ব্যপারই হবেনা।

আর বিএনপি যদি এমন কোন কার্যকর আন্দোলন তৈরি করতে পারে তাতে এমন কোন পক্ষের কাছে সরকার ক্ষমতা দিবে যাতে নাটাই থাকবে প্রধানমন্ত্রী (সাবেক) শেখ হাসিনার হাতেই। তাদের মূল কাজই হবে বিএনপিকে মারজিনালাইজড করে ফেলা। এবং জামাতকে নেতৃত্ব শূন্য করা। এই সময়ে জামায়াত নামের দলটি নিষিদ্ধ হবে এবং জামায়াতের অধিকাংশ নেতার ফাঁসি হয়ে যেতে পারে। ফলে তাদের পক্ষে সরাসরি কোন ভূমিকার রাখা সম্ভব হবেনা।

এবার আসি শেষ কথায়, বাংলাদেশরে রাজনীতিতে আওয়ামীলিগ 'জামাত এবং সেনাবাহিনী' এই দুই শক্তিকে তাদের জন্য হুমকি মনে করত। এই দুই শক্তিকেই আওয়ামীলীগ তার পকেটে নিয়ে আসার ব্যবস্হা করেছে। জামাতের ব্যপারে আওয়ামীলীগের রিডিং হচ্ছে দলটির নেতৃত্ব সবসময় 'শক্তের ভক্ত নরমের যম' এবং এরা সরকারের সাথে সমাঝোতা করেই সামনে আগানোর চিন্তা করে। 'জামাত এবং সেনাবাহিনী' এই দুই শক্তিই আওয়ামীলীগ এবং ভারতের কমন শত্রু ছিল। বিগত ৫ বছরে বিডিআর বিদ্রোহ এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মাধ্যমে এই দুই শক্তিকেই আওয়ামীলীগ শক্তহাতে দমন করেছে, এবং আনেকটাই অনুগত করে ফেলেছে।

তাই বিএনপিকে দমন তেমন কোন ব্যপার হবেনা। আপনারা হয়ত ভাবছেন, নির্বাচন - জনমত এ সমস্ত বিষয় নিয়ে। ভূ-রাজনৈতিক কারণে ভবিষ্যতে এ সমস্ত ইস্যুগুলো খুব বেশী বড় বিষয় হবেনা। আগামী ৩ বছর পর ফেয়ার ইলেকশন হলে আওয়ামীলীগই ক্ষমতায় আসবে এবং তারা ২০৩০ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকতে পারবে বলে মনে করে। এখন শুধু আপেক্ষায় থাকুন................................


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।