লিগে আট ম্যাচে ১০ গোল। লিওনেল মেসি, ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকেও ফিকে করে দিয়েছেন ডিয়েগো কস্তা। বিশ্বকাপের মৌসুমে এমন দুর্দান্ত ফর্মে থাকা স্ট্রাইকারকে কে না চায়! কিন্তু ডিয়েগো কস্তা ব্রাজিলকে শুনিয়েছেন দুঃসংবাদ। জন্মভূমির বদলে তিনি বেছে নিয়েছেন স্পেনকে। খেলতে চান বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের হয়েই।
কস্তার এই সিদ্ধান্তে কষ্ট পেয়েছেন আরেক ব্রাজিলিয়ান দানি আলভেজ। সিদ্ধান্তটি ‘ঠান্ডা মাথায়’ পুনর্বিবেচনা করতে কস্তাকে অনুরোধও জানিয়েছেন বার্সা ফুলব্যাক, ‘আমি কস্তাকে আরও ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করতে বলব। কারণ ও ব্রাজিলের গুরুত্বপূর্ণ একজন খেলোয়াড় হয়ে উঠতে পারে। এই সিদ্ধান্ত একান্তই ব্যক্তিগত। তবে সে যে সিদ্ধান্তই নিক, আমাদের উচিত হবে এর প্রতি সম্মান দেখানো।
এর পরও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আমি কস্তাকে আরেকবার ভাবতে বলব। ’
ব্রাজিল না স্পেন—এমন কঠিন সিদ্ধান্তের মুখোমুখি হয়েছিলেন আলভেজ নিজেও। সেটা ২০০৬ সালের কথা। তবে আলভেজ বেছে নিয়েছিলেন নিজ দেশকেই। চিরাচরিতভাবেই একের পর এক দুর্দান্ত ফুলব্যাকের জন্ম দেওয়া ব্রাজিল দলে জায়গা পাওয়াটা তাঁর জন্য কঠিনই ছিল।
মাইকনের কারণে প্রথম একাদশে সুযোগও পেয়েছেন কম। তার পরও নাড়ির টানেরই জয় হয়েছিল আলভেজের কাছে।
আলভেজ চান কস্তাও তাঁর পথেই হাঁটুন, ‘কস্তার সঙ্গে এখন পর্যন্ত আমি কথা বলিনি। কারণ, ওর সিদ্ধান্তে আমি হস্তক্ষেপ করতে চাই না। নিজের জন্য কোনটা ভালো, সেটা সে বেশ ভালো করেই জানে।
২০০৬ সালে আমারও একই অভিজ্ঞতা হয়েছিল। আমি তখন সেভিয়ার হয়ে খেলতাম। তবে ওই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়ে আমি বেছে নিয়েছিলাম জন্মভূমিকে। ’
কস্তার জন্ম ব্রাজিলে, বেড়ে উঠাও সেখানে। ব্রাজিলের হয়ে দুটি ম্যাচও খেলেছেন।
কিন্তু স্পেনের নাগরিকত্ব পাওয়ার পরই কস্তা আভাস দিয়েছিলেন, খেলতে চান লা রোজাদের হয়ে। শেষ পর্যন্ত সেটাই সত্যি হতে চলেছে। কস্তা স্পেনের হয়ে এখনই খেলতে পারছেন না নিয়মতান্ত্রিক কিছু জটিলতার কারণে। তবে সুযোগটা যে শিগগিরই আসবে, সেটা নিশ্চিত। সূত্র: এএস।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।