ডেকো-পেপে-কস্তা। প্রত্যেকের জন্ম ব্রাজিলে। প্রথমজন পর্তুগালের হয়ে খেলে অবসর নিয়েছেন। দ্বিতীয়জন এখনো পর্তুগালের হয়ে খেলছেন। তৃতীয়জন অগ্রজদের অনুসরণ করতে চলেছেন।
অবশ্য পর্তুগাল নয়, ডিয়েগো কস্তা বেছে নিয়েছেন স্পেনকে। ডেকো, পেপে ও কস্তার মধ্যে তুলনা বা মিল খুঁজতেই পারেন যে কেউ।
লুইস ফেলিপে স্কলারির সামনে গতকাল এই সাধারণ ব্যাপারটাই টেনে এনেছিলেন সাংবাদিকেরা। কিন্তু ব্যাপারটা সহজভাবে নেননি, বরং রেগে ফুঁসে ওঠেন ব্রাজিল কোচ।
‘ডিয়েগো কস্তা আর ডেকোর মধ্যে পার্থক্য কী? এসব হাস্যকর প্রশ্ন করবেন না।
তাদের মধ্যে তুলনাটাই হাস্যকর। চার-পাঁচ বছর পর এর জবাবটা দেব। যদি মন চায়, তবেই দেব উত্তরটা’, ক্ষুব্ধ স্কলারির জবাব।
মুখে কস্তার নাম না আনলেও পরক্ষণেই অবশ্য জবাবটা দিয়ে দেন ব্রাজিলীয় কোচ, ‘ডেকো কখনোই ব্রাজিল দলে ডাক পায়নি বলেই পর্তুগাল তাকে নিয়েছিল। আপনারা হয়তো ভুলে গেছেন, পেপেও ব্রাজিল দলে ডাক পাওয়ার আগেই পর্তুগালের নাগরিকত্ব পেয়েছিল।
’ স্কলারির বক্তব্য থেকে স্পষ্ট, কস্তা এর আগে ব্রাজিলের হয়ে খেলেছেন বলেই তাঁকে স্পেনের হয়ে খেলতে দিতে রাজি নন তিনি।
কস্তার জন্ম ব্রাজিলে, বেড়ে ওঠাও সেখানে। হলুদ-নীল জার্সি গায়ে দুটি ম্যাচও খেলেছেন। কিন্তু স্পেনের নাগরিকত্ব পাওয়ার পরই কস্তা আভাস দেন, খেলতে চান লা রোজাদের হয়ে। সেটাই সত্যি হতে চলেছে।
কস্তা স্পেনের হয়ে এখনই খেলতে পারছেন না নিয়মতান্ত্রিক কিছু জটিলতার কারণে। তবে সুযোগটা যে শিগগিরই আসবে, সেটা নিশ্চিত। স্পেনের কোচ ভিসেন্তে দেল বস্ক তাঁকে সবুজ সংকেত দিয়ে রেখেছেন।
নাড়ির টান ভুলে ২৫ বছর বয়সী কস্তার স্পেনের হয়ে খেলার পরিকল্পনাকে সম্প্রতি ‘দেশের প্রতি অবজ্ঞা প্রকাশ’ বলে অভিহিত করেন স্কলারি। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ব্রাজিলের কোচ হিসেবে ব্রাজিলের যেকোনো খেলোয়াড়কে দলে নেওয়ার আইনগত অধিকার তাঁর আছে।
তাই কস্তার স্পেনের হয়ে খেলার আনুষ্ঠানিক আবেদন ফিফার কাছে পৌঁছানোর পরও গত সপ্তাহে তাঁকে দলে রাখেন স্কলারি।
ব্রাজিল ফুটবল ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট হোসে মারিও মারিনও জানিয়ে দিয়েছেন, কস্তা যেন স্পেনের হয়ে খেলতে না পারে, এ জন্য আইনগত সব ধরনের পদক্ষেপই নেবে ব্রাজিল। কস্তা স্পেনের হয়ে খেললে তাঁর ব্রাজিলের নাগরিকত্ব বাতিল করার উদ্যোগও নেওয়া হতে পারে।
কস্তা অবশ্য কোনো বাধাকেই বাধা হিসেবে দেখছেন না। এ সপ্তাহেই ব্রাজিল ফুটবল ফেডারেশনকে চিঠি লিখে জানিয়ে দিয়েছেন, ব্রাজিলের হয়ে খেলতে চান না তিনি।
খেলবেন স্পেনের হয়ে। এ পরিস্থিতিতে কস্তার ওপর স্কলারির ক্ষোভ থাকাটা অস্বাভাবিক নয়। গতকাল সাংবাদিকদের কাছে এ-সংক্রান্ত প্রশ্ন শুনে তাই খেপে ওঠেন স্কলারি, ‘আমি রাগান্বিত? আপনাদের কথা আমার মুখে বসিয়ে দেবেন না। ’
কস্তা ব্রাজিলকে ‘না’ করে দেওয়ার পর হন্ডুরাস ও চিলির বিপক্ষে পরবর্তী দুটো প্রীতি ম্যাচের দলে বাধ্য হয়ে পরিবর্তন আনতে হয়েছে স্কলারিকে। কস্তার বদলে রবিনহোকে দলে ডেকেছেন তিনি।
ক্যাপ: কস্তার গায়ে হলুদ জার্সি, তবে ব্রাজিলের নয়। হয়তো ব্রাজিলের হলুদ জার্সি আর গায়ে চড়ানোও হবে না তাঁর! ফাইল ছবি
।অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।