দ্য লিল্যান্ড স্টানফোর্ড জুনিয়র ইউনিভার্সিটি পৃথিবীর সবার কাছে স্টানফোর্ড ইউনিভার্সিটি অথবা স্ট্যানফোর্ড নামে পরিচিত। যেটি কিনা আমেরিকার বিখ্যাত বেসরকারি গবেষণামূলক বিশ্ববিদ্যালয়। আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়ার অঙ্গরাজ্যের স্টানফোর্ডে ৮১৮০ একর সুবিশাল জায়গাজুড়ে ক্যাম্পাসটি অবস্থিত। এ ইউনিভার্সিটি শুধু আমেরিকায় নয়। বিশ্বে একটি মর্যাদাপূর্ণ উচ্চমানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বলে বিবেচিত।
লে-ল্যান্ড স্টানফোর্ড, গভর্নর এবং আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের সিনেটর তিনি এবং তার স্ত্রী জেনি ল্যার্থরপ স্ট্যানফোর্ড তার প্রয়াত সন্তান লোল্যান্ড স্টানফোর্ড জুনিয়রের স্মৃতি রক্ষার্থে ১৮৯১ সালে ইউনিভার্সিটিটি প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠাকালে ইউনিভার্সিটিতে ছাত্রছাত্রী উভয়কে শিক্ষা দেওয়া হতো। ১৯৩০ সালের পূর্ব পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটিতে পড়াশোনা করতে কোনো খরচ লাগত না কিন্তু ১৮৯৩ সালে জুনিয়র স্ট্যানফোর্ডের মৃত্যুর পর প্রতিষ্ঠানটি মারাত্দক অর্থনৈতিক সংকটে উপনীত হয়। ১৯৫২ সাল থেকে বর্তমান পর্যন্ত এই ইউনিভার্সিটি থেকে ৫৪ জন ফ্যাকালটি স্টাফ অ্যালামনি নোবেল পুরস্কার পেয়েছে। যাদের মধ্যে বর্তমান সময়ে ১৯ জন ফ্যাকালটি মেম্বার রয়েছেন।
তবে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো_ একক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে কম্পিউটার বিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার খ্যাত 'টিউরিং' অ্যাওয়ার্ড জিতেছে। প্রতিষ্ঠানটিতে বর্তমানে উপদেষ্টা হিসেবে রয়েছেন ৩০ জন ধনকুবের, ১৭ জন নভোচারি এবং একজন
মার্কিন কংগ্রেসের সদস্য। পৃথিবীতে বিখ্যাত গুগল, হেউলেট, প্যাকার্ড, নাইকি, সান-মাইক্রোসিস্টেম্ এবং ইয়াহোর মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে আছেন এই ইউনিভার্সিটিরই ফ্যাকালটি এবং অ্যালামনি। আর এই বিখ্যাত মানুষগুলোর হাত ধরে উপার্জিত হয় ২.৭ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার যা পৃথিবীর অর্থনীতির দিক দিয়ে দশম স্থানে। এ ছাড়া মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র নামক কাগজের উৎপত্তি হয়েছিল এই ইউনিভার্সিটিতে।
৭টি স্কুলের সমন্বয়ে প্রতিষ্ঠানটি পরিচালিত হয়েছিল। কলা এবং বিজ্ঞান অনুষদ, আর্থ-সায়েন্স, ব্যবসায়িক প্রশাসন, শিক্ষা, প্রকৌশল, আইন এবং মেডিসিন। প্রতিষ্ঠানটিতে বর্তমানে ৭ হাজার জন স্নাতক এবং ৮ হাজারর ৯০০ স্নাতকোত্তর পর্যায়ের ছাত্রছাত্রী রয়েছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়টি অ্যাসোসিয়েশন অব আমেরিকান ইউনিভার্সিটিসের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য। আর খেলাধুলার ক্ষেত্রেও প্রতিষ্ঠানটি পিছিয়ে নেই।
আন্তঃইউনিভার্সিটি প্রতিযোগিতায় ৩৪ ধরনের খেলায় অংশগ্রহণ করে। এর ছাত্ররা ১৯১২ সাল থেকে অলিম্পিক গেমসে অংশগ্রহণ করে আসছে। এখন পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটির মুখ উজ্জ্বল করা ক্রীড়াবিদরা ১২৯টি সোনাসহ ২৪৪টি অলিম্পিক পদক জিতেছে।
* ইন্টারনেট অবলম্বনে হাসানুর রহমান
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।