আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এক গরুর দাম ১৪ লাখ টাকা!

কমলাপুরের ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্লাব-সংলগ্ন বালুর মাঠ হাটে শংকর জাতের একটি গরুর ১৪ লাখ টাকা দাম হেঁকেছেন এটির মালিক। তাঁর দাবি, এটিই এই হাটের সবচেয়ে বড় গরু।
গরুটির মালিক জানিয়েছেন, ১৪ লাখ টাকা গরুটির কেনা দাম। বাজার মন্দা থাকায় কেনা দাম উঠলেই এটি বিক্রি করে দেবেন তিনি।
বালুর মাঠ হাট-সংলগ্ন ‘ড্যানির ফার্মে’ গিয়ে গরুটির দেখা মেলে।

ওই ফার্মে মোট ১০টি গরু দেখা যায়। এর মধ্যে একই দামের আরেকটি গরু রয়েছে সেখানে। বাকি আটটি গরুর দাম চাওয়া হচ্ছে ৭ থেকে ৮ লাখ টাকা করে।
ফার্মের দায়িত্বে থাকা মাসুদ রানা জানান, ঈদ উপলক্ষে বিভিন্ন স্থান থেকে প্রায় এক মাস আগেই তাঁরা গরুগুলো সংগ্রহ করে এখানে এনেছেন। এখন বিক্রির অপেক্ষায় আছেন।


মাসুদ রানা জানান, কুষ্টিয়া থেকে বড় ওই গরুটি কেনা হয়। ট্রাকে করে ঢাকায় আনা, এক মাস খাওয়ানো এবং আনুষঙ্গিকসহ গরুটির পেছনে প্রায় ১৪ লাখ টাকা খরচই পড়েছে। বাজার মন্দা থাকার কারণে কেনা দামই চাইছেন তাঁরা। এরই মধ্যে এই গরুটির দাম আট থেকে নয় লাখ টাকা উঠেছে। কেনা দাম উঠলেই ছেড়ে দেবেন এটি।


ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে প্রচুর গরু এসেছে। কিন্তু সেই তুলনায় ক্রেতা কম। তাই বাজার কিছুটা মন্দা। এমন অবস্থা চলতে থাকলে মানুষ এই ব্যবসা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে বলে মনে করছেন তাঁরা। এ ছাড়া প্রতিমাসে একটি বড় গরুর পেছনে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা খরচ হয় বলেও জানান তাঁরা।

চুয়াডাঙ্গা থেকে গতকাল শনিবার ওই হাটে একটি গরু নিয়ে এসেছেন মো. আলী হোসেন। তিন বছর আগে ৩০ হাজার টাকা দিয়ে গরুটি কিনেছিলেন তিনি। তিন বছর ধরে লালন-পালন করেছেন এটি। আজ দুপুরে তিনি এটির দাম হাঁকেন সাত লাখ টাকা। গরুটির দাম চার লাখ টাকা পর্যন্ত উঠেছে বলে জানান তিনি।


কুষ্টিয়ার পোড়াদহ এলাকা থেকে আসা বোরহান উদ্দিন তাঁর একটি গরুর দাম হেঁকেছেন আট লাখ টাকা। তিনি জানান, দিনমজুরের কাজ করলেও শখের বশে গরু পালন করেন তিনি। গতকাল এসেছেন এই হাটে। গরুটির দাম সাড়ে চার লাখ টাকা পর্যন্ত উঠেছে বলে জানান তিনি।
টাঙ্গাইল থেকে তিন দিন আগে একই বাজারে এসেছেন মো. রফিকুল ইসলাম।

তিনটি বড় ষাঁড় ও একটি বলদ এনেছেন তিনি। এর মধ্যে একটি ষাঁড়ের দাম আট লাখ, অন্য দুটির প্রতিটি ছয় লাখ করে এবং বলদটির দাম তিন লাখ টাকা চাচ্ছেন তিনি।
দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ব্যবসায়ী, ক্রেতা ও হাটসংশ্লিষ্টরা জানান, বাজারে মাঝারি ধরনের গরুর চাহিদা একটু বেশি। আজ দুপুর পর্যন্ত বিক্রি হওয়া গরুর মধ্যে মাঝারি ধরনের গরুই বেশি। এ ছাড়া ছোট গরুগুলোরও মোটামুটি চাহিদা রয়েছে।

তবে বড় গরুর চাহিদা একটু কম। এবার গরুর দাম তুলনামূলক কম বলেও জানান তাঁরা।

ওই হাটের হাসিল সংগ্রহের দায়িত্বে থাকা রেজাউল হক প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, হাটের শুরু থেকে আজ দুপুর পর্যন্ত বিক্রি হওয়া গরুর মধ্যে অধিকাংশই ছোট ও মাঝারি আকারের। তবে গতকাল রাতে এক লাখ ৯৭ হাজার টাকা দামের একটি গরু বিক্রি হতে দেখেছেন তিনি।



সোর্স: http://www.prothom-alo.com     দেখা হয়েছে ১৬ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।