কিছু নিজের লেখা আর কিছু নেট থেকে ঘষামাজ়া করা, কেউ অন্য কোথাও লিখতে চাইলে প্লিজ জানাবেন ©
এই ব্লগের একদম শুরু থেকেই আছি। কিন্তু এরকম ওথাল পাথাল আন্ডার খেলা আর কোনোদিন দেখি নাই। আন্ডা মানে বুঝেছেনতো, মানে ডিম। মানে বদা, মানে বজা।
প্রায় সাত বছরেরও কাছাকাছি ব্লগে আছি।
কিন্তু ব্লগে কারো সাথে বিশেষ সম্পর্ক তৈরী করি নাই। কারণ হলো-কারো সাথে সম্পর্ক হলেই সত্যি কথার মুখে তালা পড়ে যায়। তখন সত্যি কথা বের করার জন্য মুখে মাস্টার কী দিয়া খোঁচাখুচি করলেও তা আর বের হবেনা।
মুখে থেকে শুধু বের হবে তখন তেল আর তেল। এর প্রশংসা , ওর প্রশংসা।
অখাদ্য দু্র্গন্ধযুক্ত খাবারকেও তখব বিরানি পোলাও বলতে হবে। নিজের খেয়ে বদহজম হলেও। কারণ ঐ যে বললাম, ব্যক্তিগত সম্পর্ক। এই সত্য বলার ভালোবাসার খাতিরেই কারো সাথে সম্পর্ক ইচ্ছে করেই তৈরী করিনাই। ভূমিকা শেষ।
এইবার জায়গামতো আসি।
ও এর আগে একটা গল্প বলে নেই। তাইলে বুঝতে পারবেন। আকলমনকে লিয়ে ইশারাই কাফি।
একজন ডিম ব্যবসায়ী ন্যায্য মূল্যে বাজার ঘুরে ঘুরে আন্ডা মানে ডিম খরিদ করে।
এখবর পেয়েছে বলদ। এখন বলদ ডিম পাবে কই। নিজেতো ডিম পাড়তে পারেনা। কিন্তু নামে বলদ হলেও সে একটা বুদ্ধি বাহির করলো। খুঁজে খুঁজে টিকটিকির আন্ডা, কাউয়ার আন্ডা, জিমাইন্না মুরগীর বোল আন্ডা,নেউলের আন্ডা ইত্যাদি নানা কিসিমের আন্ডা সংগ্রহ করে বিক্রি করে দিলো।
ডিমওয়ালা ডিম সংগ্রহ করে সুন্দর করে সবার চোখে পড়ে মতো সাজিয়ে রাখলেন। কিছু চাটুকারের দল জুটলো বাজারে। এরা বললো, বাহ! মজাই মজা। সব আন্ডা দেখি একজায়গায় পাওয়া গেলো।
ভাজুম আর খামু, মামলেট করুম আর খামু।
বোনা করুম আর খামু। ঝোল দিয়ে রাঁধুম আর খামু। চাটুকারের তেলতো কড়াই ভর্তি আছে।
এক বলদের আন্ডা সংগ্রহের এই তরীকা দেখে অন্যান্য বলদেরাও শুরু করলো এই আন্ডা সংগ্রহের কাজ। এখন যে দেখি থাকাই দেখি শুধু আন্ডা আর আন্ডা।
কে কোন জায়গায় আন্ডা পারলো, কিভাবে পারলো, কার আন্ডার সাথে কার আন্ডা লেগে গিয়ে ফটাস করে ফেটে গেলো ইত্যাদি নিয়ে চলছে গবেষকদের বিশাল গবেষণা।
আর দলে দলে চাটুকারের দল ঘুরতেছে। চপচপ করে তেল পড়তেছে আর আন্ডা বোনা চলতাছে।
আবার এক আন্ডাকে বিভিন্ন তরীকায় ভাজা হচ্ছে। টিকটিকির আন্ডারে জোড়ে দেয়া হচ্ছে, কাউয়ার আন্ডার সাথে, কাউয়ার আন্ডারে আবার হাড়গিলার আন্ডার সাথে।
এক কড়াইতে আবার আন্ডা পড়তে পড়তে পুরাই কড়াই আন্ডার নীচে চাপা পড়ে আছে।
আপনি যদি নিজেকে বলদ আর চাটুকার মনে না করেন ,তবে এ গল্পখানা আশাকরি আপনার মনোপীড়ার কারণ হবেনা।
এই ব্লগের জৌলুস হারিয়েছে। এখানে একসময় অনেক মেধাবী, বিচক্ষণ,তেজী ,সৎ, মুক্তমনা, নির্ভীক ব্লগারদের দারুন সব লিখায় মুখরিত ছিলো । আর এখন কাচকি মাছের দল ঝাঁকে ঝাঁকে ঘুরতেছে।
এই ঝাঁক ঐ ঝাঁকের কাছে যায়। ঐ ঝাঁক এই ঝাঁকের কাছে দল বেঁধে আসে। বুঝতে সমস্যা হয়। কাঁচকি মাছের ফেসবুকের দল। আর কাঁচকি মাছের ব্লগের দল।
আর রাজহংসীর অতিমূল্যবান ডিমের দিকে কারো নজরও পড়ছেনা।
একসময় ব্লগারের সংখ্যা ছিলো কম। কিন্তু একেকটি গল্প,কবিতা, প্রবন্ধ, বৈচিত্রময় সব লিখা দারুন সুখ পাঠ্য ছিলো। আজ সত্যি দুঃখভারাক্রান্ত হয়ে দেখি সেই প্রতিভাবান, তেজী লেখকেরা নেই।
থাকবে কীভাবে, একান্তই চাটুকার না হলে এরকম দুর্গন্ধময় আন্ডার বাজারে কে টিকে থাকতে পারবে?
তবে আমি পারবো, কারণ আমার নিজের নাকেই সর্দির সফটওয়ার সবসময় আপগ্রেড করা থাকে।
দেখবো কিন্তু গন্ধ শুকবোনা।
পৃথিবীর সব জায়গায় যে যেকোনো মতবাদের হোন না কেন, সত্যিকারের মেধাবী মানুষের মূল্যায়ন হোক। তা না হলে, তা বড় শরম , বড় লজ্জার।
চামচামি করে, চাটুকারিতা করে, দলাদলি করে,স্বজনপ্রীতি করে, চোখ শরমের মাঝে পড়ে, মুখশরমকে প্রাধান্য দিয়ে,ফ্রেন্ডস এন্ড ফ্যামিলিকেই গুরুত্ব দিয়ে যাই চলে না কেন- তা থেকে ভালো কিছুই প্রত্যাশা করা যায়না।
অনেক ভালো লাগার এ ব্লগটি তার আপন মহীমায় উজ্জ্বলতর ,দীপ্তিমান হয়ে ওঠুক এই প্রত্যাশা করছি।
শুভ দূর্গাপূজা, শুভ ঈদমোবারক।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।