ভারতীয় লোকসভার আগামী নির্বাচনের আগে কংগ্রেস ও বিজেপির বাইরের দলগুলোকে জোটবদ্ধ করার প্রচেষ্টা আবার শুরু হয়েছে। কিন্তু সেই উদ্যোগে এখন পর্যন্ত ব্রাত্য তৃণমূল কংগ্রেস ও বহুজন সমাজ পার্টি (বিএসপি)।
যে দুই দলে জোটবদ্ধ হওয়ার তাগিদ সবচেয়ে বেশি, তাদের মধ্যে মুলায়ম সিং যাদবের সমাজবাদী পার্টির সঙ্গে তৃণমূলের দহরম-মহরম কিছুদিন আগ পর্যন্তও ছিল। কিন্তু সিপিএমের সঙ্গে তৃণমূল নেত্রীর সম্পর্ক অহি-নকুলের। প্রধানত এ দুই দলের উদ্যোগেই ৩০ অক্টোবর নয়াদিল্লিতে সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী সম্মেলন হচ্ছে।
বিজেপি ও কংগ্রেস জোটের বাইরের দলগুলোকে কাছাকাছি এনে আলাদা একটা মঞ্চ গড়ে তোলার লক্ষ্যে এ সম্মেলনের আয়োজন করা হচ্ছে, যাতে আরও একবার ত্রিশঙ্কু সংসদে তারা কংগ্রেসকে বাইরে থেকে সমর্থন দিতে বাধ্য করতে পারে। সিপিএম ও সমাজবাদী পার্টির এ উদ্যোগে সিপিআইয়ের পাশাপাশি সংযুক্ত জনতা দলকেও ডাকা হয়েছে। লক্ষণীয়, এ উদ্যোগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও মায়াবতীকে একেবারেই আমল দেওয়া হচ্ছে না।
মায়াবতী কখনোই এ ধরনের জোট বা আঁতাতে খুব একটা উৎসাহী নন। কারণ, রাজনীতিতে নীতির বড়াই তিনি কখনো করেননি।
তাঁর কাছে বিজেপি বা কংগ্রেস অচ্ছুত নয়। একমাত্র শত্রু মুলায়ম সিং।
অন্যদিকে ‘রাজনৈতিক অবিশ্বাসের’ কারণে মমতাকে এ সম্মেলনে ডাকা হচ্ছে না। তিনিও একাধিকবার বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন। এখনো বিজেপির সঙ্গে তাঁর ‘গোপন আঁতাত’ রয়েছে বলে মনে করে সিপিএম।
বামপন্থী নেতারা মনে করছেন, সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী শক্তিগুলোকে একজোট করে এক শর বেশি আসনে জিতলে কংগ্রেসকে তাঁরা বাইরে থেকে সমর্থনে বাধ্য করাতে পারেন। এ পরিকল্পনায় এখনো মমতা নেই।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।