সংশোধনমূলক সমালোচনা গ্রহন করার ইচ্ছে
ব্যাংক জয়েন করার আগে জানতাম শুক্র-শনি বন্ধ। আমাদের সাথে জয়েন করেছে এইরকম অনেকেই শনিবার অফিস করে। আমি পড়লাম বিপদে। ক্ষমতার দিক দিয়ে ২ নং বসরে তো সরাসরি কয়তে পারি না আমি শনিবার অফিস করুমনা। তাই কয়লাম স্যার আমাদেরকে (আমাকে আর আতিউর নামে আ্মার এক কলিগ) যে ১৫ টা ব্রাঞ্চের দ্বায়িত্ব দেয়া হয়েছে এই ব্রাঞ্চ গুলা ব্যাংকের সেন্টার পয়েন্ট এইখান থেকে ব্যংক ৬৫% লাভ করে তাই এই ব্রাঞ্চগুলার জন্য স্পেশাল ব্যাক আপ আইটি টিম থাকে।
আমরা ২ জন আইটিম্যান শনিবার না আসলেও কোনো প্রবলেম নাই। ২ নং বস এই কথা শুইন্না কয় আমি কিছু জানি না ১ নং বস কিছু না বলা পর্যন্ত এই বিষয়ে চুপ থাকেন। বাকীটা নিজ দ্বায়িত্বে বুইজ্জা লন। আমরাও বুইজ্জা লইলাম যে শনিবার অফিস করতে হইব না। আড়াইমাস পর এক শনিবার ১ নং বস এর তলব যথারিতি আমরা আইটির ২ জন অনুপস্থতিত ।
স্যার তার পিএ কে ট্রান্সফার অর্ডারের জন্য নোট টাইপ করা ছাড়া আর কিছু করতে বললেন না । পরেরদিন যথারীতি অফিস করতে গিয়ে পরিবেশ প্রতিকুল দেখে সরাসরি চিটাগাং ট্রান্সফার চেয়ে বসলাম। ব্যস খেল খতম। বাকিটা ইতিহাস।
কপাল কারে কয় এই ১ নং বস এখন অন্য ডিভিশনে ট্রান্সফার হয়ে গেছে আর আইটি বলতে এখন মনে আমারেই চিনে।
উনি এখন ডিএমডি হওয়ার পথে সো এখন ট্রান্সফার এর হিড়িক পড়লে ঠেকানোর জন্য উনিই অস্ত্র। যিনি আমারে চাইল ট্রান্সফার করতে উনি এখন আমার ট্রান্সফার ঠেকায়। আর শনিবারে কথা কি কমু। অই দিন টেকা দেয়। এই টেকা নেয়ার জন্য হলেও মাসে ২/১ শনিবার যাইতে হয়।
ভাগ্যিস গত ৫/৬ শনিবার যায় নাই। গতকাল অফিস থেকে টেকা নেয়ার জন্য কল দিছিল,কিচ্ছু কয়তে পারি নাই কারন তখন ঘুমে ছিলাম।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।