কিংবদন্তি ফুটবলার ডিয়েগো ম্যারাডোনার জন্মদিন আজ। ৫২ তে পা রাখলেন ফুটবল জাদুকর। কারো কাছে তিনি সাক্ষাৎ নরকের দূত, কারো কাছে ঈশ্বর। যেভাবেই দেখা হোক না কেনো, তাকে ছাড়া অপূর্নই থেকে যাবে ফুটবল। জন্ম বুয়েনস আইরেসের ভিয়া ফিয়োরিতোয়।
বহু মানবিক দোষে জর্জরিত এই মহাতারকা, সবুজ মাঠে নামলেই পাল্টে যেতেন। ত্রুটিপূর্ন এক সাধারণ যুবক থেকে হয়ে উঠতেন অমর শিল্পী। এখনো তার বাঁ-পায়ের ম্যাজিক টিকে আছে ভক্তদের মনে আর লাখো-কোটি ইউটিউব ভিডিওতে। সর্বকালের সেরার সম্মান, ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা তাকে দেয়নি বটে।
কিন্তু ফ্যানদের ভোটে ঠিকই জিতেছিলেন এই খেতাব।
১৯৮৬ সালে বিশ্বমঞ্চে আবির্ভূত হন ম্যারাডোনা। একই ম্যাচে করলেন বিশ্ব ফুটবলের সবচেয়ে বিখ্যাত দুই গোল। প্রথমটি করলেন হাত দিয়ে। পিটার শিলটনকে বোকা বানানো এই কীর্তির নাম নিজেই দিলেন হ্যান্ড অফ গড।
দ্বিতীয় গোলটি ফুটবল মাঠে না হয়ে হতে পারতো, পিকাসো কিংবা দালির ক্যানভাসে। প্রায় আধডজন ইংলিশম্যানকে হতভম্ব করে গড়া মারাদোনার গোলটি যেকোনো ফুটবল পন্ডিতের কাছেই সর্বসেরা।
সেখান থেকেই শুরু ডিয়েগোর অমরত্বের অভিযান। আর্জেন্টিনার হয়ে বিশ্বকাপ জয়ের পর, নাপোলির হয়ে মাতালেন ইউরোপ।
উত্থানের পাশাপাশি অতলটাও দেখলেন।
নব্বইয়ের বিশ্বকাপ ফাইনালে জার্মানির কাছে হার, ড্রাগ কেলেঙ্কারীতে ফুটবল থেকে নির্বাসন। ৯৪ বিশ্বকাপে ডোপ পাপের শাস্তি ঈশ্বরকে বানিয়ে দিলো মর্ত্যের মানুষ।
ফুটবল ছাড়ার পর ২০০৯ সালে নেন আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের দায়িত্ব। পরের বছর বিশ্বকাপে ভরাডুবির হলে চলে আসেন মধ্যপ্রাচ্যে। এখনও চলছে তার কোচিং অধ্যায়।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।