অমানবিক নির্যাতনের শিকার গৃহকর্মী আদুরীকে (১১) পাঁচটি রিকশা দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। আজ সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান ডিএমপির কমিশনার বেনজীর আহমদ। ডিএমপির মিডিয়া শাখায় এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এ ছাড়া পুলিশের একজন কর্মকর্তার বোন আদুরীকে ৭৫ হাজার টাকা সহায়তা দিয়েছেন। অনুষ্ঠানে আদুরী ও তার মা সাফিয়া বেগম উপস্থিত ছিলেন।
গত ২৩ সেপ্টেম্বর পল্লবীর ডিওএইচএস এলাকার একটি ডাস্টবিন থেকে কঙ্কালসার মৃতপ্রায় আদুরীকে উদ্ধার করেন কয়েকজন নারী। পরে পুলিশের সহায়তায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাকে প্রথমে নিউরোসার্জারি বিভাগে চিকিত্সা দেওয়া হয়। ২৬ সেপ্টেম্বর নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি)। তার চিকিত্সার জন্য ২৮ সেপ্টেম্বর মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়।
এভাবেই তার চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়া হয়। প্রায় দেড় মাস তার চিকিৎসা চলে।
গত শনিবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আদুরীকে নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। চিকিৎসকেরা জানান, আদুরী এখন প্রায় সুস্থ। তবে তার শরীরে নির্যাতনের দাগগুলো আছে, তা বয়সের সঙ্গে সঙ্গে মুছে যাবে।
আদুরীকে ডাস্টবিন থেকে উদ্ধারের ঘটনা নিয়ে একাধিক দৈনিকে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরপর গত ২৬ সেপ্টেম্বর এ ঘটনায় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন বিভাগের কর্মকর্তারা পল্লবী থানার সহায়তায় পল্লবীর ১২ নম্বর সেকশনের বাসা থেকে আদুরীর গৃহকর্ত্রী নওরীন জাহান ওরফে নদীকে ও ৩ অক্টোবর তার মা ইশরাত জাহানকে আটক করেন।
২৭ সেপ্টেম্বর আদুরীর মামা নজরুল চৌধুরী বাদী হয়ে নওরীন, তাঁর স্বামী সাইফুল ইসলামসহ তিনজনকে আসামি করে পল্লবী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। এ মামলায় নওরীন ও তাঁর মা ইশরাতকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। মামলাটির তদন্ত করে উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন বিভাগ।
গত ১০ অক্টোবর নওরীন ও তাঁর মায়ের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে।
জনতা ব্যাংকের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল শাখায় আদুরীর সাহায্যার্থে তার মা সাফিয়া বেগমের নামে একটি সঞ্চয়ী হিসাব খোলা হয়েছে (নম্বর-২৫৬০৫)। সাহায্য করতে ইচ্ছুক যে কেউ ওই হিসাবে অর্থ সাহায্য পাঠাতে পারেন।
(ডিএমপি কমিশনার বেনজীর আহমদ-এর ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে সংগৃহীত)
।অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।