এবার পুলিশ ব্যবহার করছে মানব দেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর 'পিপার স্প্রে'। মানবদেহের অত্যন্ত সংবেদনশীল ইন্দ্রিয় 'চোখ' টার্গেট করেই মূলত এই স্প্রে তৈরি করা হয়েছে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এই স্প্রে চোখের কর্নিয়ার জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। একাধিকবার এই স্প্রে চোখে লাগলে এক পর্যায়ে চোখ অন্ধ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। চোখের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর হওয়ায় বিশ্বের উন্নত দেশগুলো রায়ট কন্ট্রোলের ক্ষেত্রে এই স্প্রে থেকে বিরত থাকছে।
তবে আমাদের দেশে পুরোপুরি উল্টো। পুলিশ সদর দফতর সূত্রে জানা গেছে, জামায়াত-শিবিরকে মোকাবিলা করার জন্যই মূলত কিছু দিন আগে বিদেশ থেকে এই স্প্রে আমদানি করা হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন আন্দোলনে জামায়াত-শিবিরের ইন্ধন থাকার অভিযোগে ওই কর্মসূচিগুলোতেও এই পিপার স্প্রে ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এমপিওভুক্তির দাবিতে শিক্ষকদের আন্দোলনে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সদস্যরা এই স্প্রে ব্যবহার করে। এদিকে উইকিপিডিয়া থেকে জানা গেছে, 'পেনাসাইল ক্লোরাইড' নামক রাসায়নিক পদার্থ থেকেই তৈরি করা হয় এই 'পিপার স্প্রে'।
এই স্প্রে চোখে লাগলে মুহূর্তের মধ্যেই চোখ দিয়ে পানি ঝরবে, চোখে জ্বালাপোড়া এমনকি কিছু সময়ের জন্য চোখ অন্ধ হয়ে যেতে পারে। পিপার স্প্রে'র গায়ে নির্দেশিকা হিসেবে পাগলা কুকুর ও ভয়ঙ্কর জীবজন্তু থেকে আত্দরক্ষার জন্যই ব্যবহারের কথা উল্লেখ করা হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঔষধ ও প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক আ ব ম ফারুক বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, পিপার স্প্রে চোখের কর্নিয়ার টিস্যুগুলো নষ্ট করে ফেলে। এই স্প্রে'র দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি চোখে ঝাপসা দেখতে পারেন। মানবদেহের অন্যান্য অংশের কোনো টিস্যু ক্ষতিগ্রস্ত হলেও তা ঔষধের মাধ্যমে পুনরায় ঠিক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
তবে চোখের কর্নিয়ার ক্ষতি হলে তা কখনো ঠিক হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তিনি আরও বলেন, বিশ্বের উন্নত দেশগুলো রায়ট কন্ট্রোলের ক্ষেত্রে অনেক আগে এই পিপার স্প্রে ব্যবহার করত। তবে চোখের জন্য এটি অত্যন্ত ক্ষতিকর হওয়ায় ওই দেশগুলোতে আর পিপার স্প্রে ব্যবহার করা হয় না। এক্ষেত্রে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো অন্য কিছু ব্যবহার করতে পারে।
সূত্র:
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।