সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এফবিআইয়ের তথ্য অনুযায়ী পেরেজ-মেলেরা একটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে গ্রাহকদের অভিবাদন কার্ডের ছদ্মবেশে স্পাইওয়্যার পাঠিয়ে প্রতারক প্রেমিকদের ধরার সুযোগ করে দিতেন। কিন্তু বিষয়টি এখানেই শেষ নয়। যাকে পাঠানো হয়েছে, তিনি কার্ডটি খুললেই তার কম্পিউটারে ম্যালওয়্যার ডাউনলোড হয়ে যেত।
এ ম্যালওয়্যারগুলো কম্পিউটারের কিস্ট্রোক এবং মেসেজ রেকর্ড করত। লাভার স্পাই এমনভাবে ডিজাইন করা যে, ৯৯.৯ শতাংশ ব্যবহারকারী বুঝতে পারবেন না এটি ম্যালওয়্যার।
পেরেজ-মেলেরাকে প্রথম চিহ্নিত করা হয় ২০০৫ সালে। তারপর থেকেই তিনি গ্রেপ্তার এড়িয়ে চলছেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রে স্টুডেন্ট ভিসায় এসেছিলেন। ২০০৩ সাল থেকে তার সমস্ত কর্মকাণ্ড স্যান ডিয়েগোর বাড়ি থেকে তিনি পরিচালনা করতেন।
এফবিআই জানিয়েছে, শেষবার তাকে দেখা গেছে স্যান সালভাদরে।
এ প্রসঙ্গে এফবিআইয়ের অপরাধ বিভাগের জন ব্রাউন বলেছেন, “এরা হচ্ছেন ধূর্ত ব্যক্তি, যারা জানে নিজেদের ইন্টারনেটে কীভাবে লুকিয়ে রাখা যায়। ”
এফবিআই পেরেজ-মেলেরার গ্রেপ্তারে তথ্য দিয়ে সাহায্য করলে ৫০ হাজার ডলার পুরস্কার ঘোষণা করেছে।
২০০৫ সালের অভিযোগ অনুযায়ী, পেরেজ-মেলেরা এক হাজার ব্যক্তির কাছে এ ম্যালওয়্যারটি বিক্রি করেছেন, যা পরবর্তীতে দুই হাজার কম্পিউটারের ক্ষতি করেছে। যেসব ব্যক্তি এ স্পাইওয়্যারটি কিনেছিলেন, তাদের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে ইলেকট্রনিক যোগাযোগ রোধ করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।