সৎ ভাবে চলা। দেশের জন্য কাজ করা। অপরের সাথে শেয়ার করা।
"খালেদা জিয়া ও জামায়াতের প্রতি ঝুঁকে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্র, সৌদি আরব ও পাকিস্তান। তারা এদের বিষয়ে একত্রিত হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বাস করে জামায়াতে ইসলামী একটি উদার ইসলামী পার্টি”। এই বক্তব্যটা ফেইস বুকে দিয়েছেন আমারি বন্ধু জনাব লতিফ । ছাত্র জীবন থেকেই একাধারে ছাত্রদল ও বিএনপির রাজনীতির সাথে সংপৃক্ত আছে । খুবই ভাল লোক । এবার বিএনপি থেকে মনোনয়নও চাচ্ছে ।
আমরাও চাই তিনি মনোনয়ন পাক । তবে তিনি অতিশয় জমাত দুর্বল লোক । তাই উপরের বক্তব্যটা আনন্দের সাথে দিয়েছেন । অন্য প্রসঙ্গে আমাকে আগেই একবার বলেছে যুদ্ধাপরাধীর বিষয় ভুলে যেতে । এটা কি করে সম্ভব ? যাক, আসল কথায় আসি ।
উপরের বিষয়ে তিনি আশা করতে পারেন । আশা করতে তো আর টাকা লাগে না। আমার কথা হল গত পাঁচটা বেগম জিয়ার বিভাগীয় জনসভায় শিবির জমাত প্রকাশে লাটি, বাঁশ, ইট দিয়ে ছাত্রদল - বিএনপিকে পিঠাল এবং মেরে জনসভা থেকে বের করে দিল । তারপর মঞ্চের চতুর্দিক দখল করল - শিবির জমাত এর লোকজন । টি ভি তে লাইভ দেখানো হল এবং জাতীয় পত্রিকায় স্থান পেল – এই জাতীয় নিউজ ।
তারপর বিএনপির হাই কমান্ড শিবিরের ছেলেদের কাছে হাত জোর করে এবং অনেকটা ক্ষমা চেয়েই দলের লোকদের সমাবেশে বসার অনুমতি নিল । জনসভা হল । বিএনপি নেত্রী বেগম জিয়া যুদ্ধাপরাধীদের রাজবন্ধি হিসাবে অভিহিত করে মুক্তি দাবি করল । এখানেই আমাদের আপত্তি । আমরা কোনভাবেই যুদ্ধাপরাধীদের ক্ষমা করতে পারি না।
এটার সাথে আমাদের স্বাধীনতার অবমাননার বিষয়ে জড়িত । যেমনটা সপ্তাহ দুইয়েক আগে ইতালির জনগণ ১৯৪৫ সালের দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের সময় সংগঠিত মানবতা বিরুধি অপরাধের কারনেই এক যুদ্ধাপরাধীর ইতালির মাটিতে কবর হয়নি । এখন প্রশ্ন হল – তাহলে ইতালির জনগণ কি ভুল করল ? নাকি এদেশের যারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিপক্ষে কথা বলতেছে – তারাই ভুল করতেছে ?
আমার বন্ধুকে আগেও বলেছি এবং আবারও বলছি – “রাজাকার” একটা শব্দ। যে শব্দ ডিকশনারী তে ভাল মত স্থান পেয়েছে । এটার একটা আবিধানিক অর্থ আছে ।
যা ভালভাবে বুঝলে – অন্তত আর যা হউক – জমাত শিবির বা যুদ্ধাপরাধীদের বিষয়ে ধরনাটা পরিষ্কার হতো । তাতো হচ্ছে না । তাওই আমাদেরকে বার বার যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিষয়ে বলতে হচ্ছে । একই ভাবে “মীরজাফর”এরও একটা আবিধানিক অর্থ আছে, যাও একই ভাবে ডিকশনারী তে স্থান পেয়েছে । সেই অর্থটার পেক্ষাপটও অনেকেই বুঝার চেষ্টা করেনি বলেই – তারা রাজাকারের অর্থ বুঝতে পারতেছে না।
এখানেই আমাদের জাতীয় সমস্যা । যেখান থেকে আমরা বের হতে পরতেছি না। ফলে দেশের একটা বড় অংশ যুদ্ধাপরাধী কারা এবং কেন তাদের বিচার হতে হবে – তা বুঝতে পারতেছে না। আর তাই কেউ কেউ “খালেদা জিয়া ও জামায়াতের প্রতি ঝুঁকে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্র, সৌদি আরব ও পাকিস্তান” এটা শুনে মহা খুশী । ভাব দেখে মনে হল – ক্ষমতায় চলেই গেল ।
তার মানে যুদ্ধাপরাধীদেরকে হাতে নিয়ে এবং যুক্তরাষ্ট্র, সৌদি আরব ও পাকিস্তানের সাথে আঁতাত করে এবং ১৯৯১ সাল ও ২০০১ সালের মত পাকিস্থানের আই এস আইয়ের আর্থিক ও জঙ্গি সহায়তার মাধ্যমেই বিএনপি তথা বেগম খালদা জিয়া ক্ষমতায় আসতে চায় । তা হলে যুদ্ধাপরাধীদের গাড়িতে আবারো জাতীয় পতাকা ? যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মামলার কি হবে ? এখানেই যুদ্ধাপরাধীদের ছেড়ে দিবো ? এটা কি করেই সম্ভব ? তাই দেশের আপামর জনগোষ্ঠীর কাছে – বুঝার বিষয়টা হল – যুদ্ধাপরাধীদের গারীতে আমরা আবার জাতীয় পতাকা দিতে পারি কিনা ? এই সিদ্ধান্তটাই দেশ বাসীর হাতে । ভোটাধিকারের মাধ্যমেই এর সুরাহা করতে হবে দেশবাসীকে ।
জমাতের সমর্থনে এবং পাকিস্থানের আই এস আইয়ের আর্থিক ও জঙ্গি সহায়তার মাধ্যমেই বিএনপি তথা বেগম খালদা জিয়া আবার ক্ষমতায় আসলে জঙ্গি তৎপরতা বৃদ্ধি পাবে, ভোমা হামলা বেড়ে যাবে (যা গত পাঁচ বছর সম্ভব হয়নি), পুলিশ, জর্জ বা সরকারী কর্মকর্তা থেকে ব্যবসায়ী, সাংবাদিক, আইনজীবী ও সাধারন জনগণ কেউ রেহায় পাবে না, সংখ্যা লঘু সহ এদেশের অতি সাধারন ও গরিব জনগোষ্ঠীর সাধারন মেয়ে থেকে কেউ ধর্ষণের হাত থেকে রক্ষা পাবে না – যা ২০০১ সালের নির্বাচনের পর সংগঠিত হয়েছে, আবার মুদ্রা পাচার হবে – যেমনটা ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত হয়েছে, দুর্নীতিতে আবার বিশ্বে চ্যাম্পিয়ন হবে, উন্নয়ন প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যাবে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সন্ত্রাস বৃদ্ধি পাবে ও বছরের বেশির ভাগ সময় কলেজ / বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকবে, কৃষি অর্থনীতিক কার্যাবলীর ব্যাঘাত হবে, গার্মেন্টস এর ক্ষতি হবে, “তেতুল তত্ত্বে”র বাস্তবায়ন শুরু হবে, মেয়েদের পড়াশুনা ৪/৫ ক্লাস এর পর বন্ধ হয়ে যাবে, “সমকামিতা” বৃদ্ধি পাবে, এইডস রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাবে এবং ফলে দেশের সর্বস্তরের জনগণের মধ্যেই মরণ ব্যাধি রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে, এবং সমাজে অস্থিরতা বেড়ে যাবে, বর্তমানে চলমান উন্নয়ন প্রক্রিয়া ব্যাহত হবে এবং দেশ পিছিয়ে পড়বে । এমতাবস্থায় দেশকে বাচাতে হলে এবং শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হলে – আগামি নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে হবে ।
তাই সবাইকে সঠিক জায়গায় ভোট প্রদানের জন্য উদাক্ত আহবান রইল । জয়বাংলা । জয় বঙ্গবন্ধু ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।