ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম (ডিআরএস) নিয়ে বিতর্কের যেন শেষ নেই। আইসিসির পূর্ণ সদস্য প্রায় সব দেশই ডিআরএসের পক্ষে। তবে এ ব্যাপারে খুবই কঠোর মনোভাব ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের। বলতে গেলে ডিআরএস ব্যবহারের বিপক্ষে একা লড়ে চলেছে বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী এই ক্রিকেট বোর্ড। অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড অ্যাশেজ সিরিজের আগমুহূর্তে আবারও উঠে এসেছে ডিআরএস প্রসঙ্গ।
লড়াইয়ে ভারতীয় দল নেই বলে অ্যাশেজে ডিআরএসের ব্যবহার নিয়ে তাদের মাথাব্যথাও নেই। যাঁদের মাথাব্যথা আছে, তাঁদের একজনই তুলে আনলেন প্রসঙ্গটা। অ্যাশেজ সিরিজ শুরুর এক সপ্তাহ আগে অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্কের মন্তব্য, ‘ডিআরএসকে যদি সম্পূর্ণভাবে ত্রুটিমুক্ত করে না তোলা যায়, তবে বিতর্কিত এই প্রযুক্তি ব্যবহার না করাই ভালো। ’
ডিআরএসের আবেদন জানানোর সংখ্যার সীমাবদ্ধতা নিয়েও আপত্তি আছে ক্লার্কের। ‘অ্যাশেজ জার্নাল’-এ সেটাই লিখেছেন তিনি, ‘যদি কোনো ম্যাচে দুই দলেরই অধিনায়ক দুইবার করে ডিআরএসের আবেদন করেন এবং দুইবারই যদি তা খারিজ হয়ে যায়, তাহলে তো প্রযুক্তির সাহায্যে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার উদ্দেশ্যটাই ব্যর্থ হয়ে যাবে।
’
কতবার ডিআরএস ব্যবহার করা যাবে, এটা আগে থেকে জেনে যাওয়ার বিপক্ষেও মত দেন ক্লার্ক। তাঁর মতে, আবেদনের সংখ্যা জানা থাকায় অধিনায়কেরা ডিআরএস ব্যবহারের সিদ্ধান্ত বদলে ফেলতে পারেন। ডিআরএসকে ক্রিকেট থেকে ছেঁটে ফেলার দাবির সঙ্গে অবশ্য একমত নন ক্লার্ক; বরং কীভাবে একে আরও উন্নত করা যায়, ত্রুটিমুক্ত করা যায়, এসবের ওপরই জোর দিয়েছেন তিনি। অসি অধিনায়কের ভাষায়, ‘অধিনায়ক হিসেবে আমি ডিআরএস বাতিল করে দেওয়ার পক্ষে নই। আমি চাই, ডিআরএসকে আরও ত্রুটিমুক্ত করে তোলা হোক।
প্রযুক্তি ব্যবহারে সংখ্যার সীমাবদ্ধতা অবশ্য থাকা উচিত। তবে কতবার আবেদন করা যেতে পারে, সেটা ভেবে যেন সঠিক সিদ্ধান্তের আবেদন বন্ধ না হয়। ’ সূত্র: ওয়েবসাইট।
ক্রিকেট, ফুটবল, টেনিস, গলফসহ যেকোনো খেলার আপডেট ও খবর পেতে আপনার মোবাইল থেকে ঝ লিখে এসএমএস করুন ২২২১ নম্বরে।
।অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।