চীন বাজারভিত্তিক অর্থনীতি গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। চীনা কমিউনিস্ট পার্টির ১৮তম কেন্দ্রীয় কমিটির তৃতীয় পূর্ণাঙ্গ বৈঠকে আজ মঙ্গলবার সম্পদ বণ্টনে বাজারকে চূড়ান্ত চলক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে সিনহুয়া।
পার্টির চার দিনের বৈঠকের সমাপ্তি অধিবেশনে ‘সংস্কার বেগবান করতে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলো সমন্বিত করার’ সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়।
বৈঠক শেষে আজ বিকেলে কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষে পার্টির সাধারণ সম্পাদক শি জিনপিং সিদ্ধান্তগুলো জানিয়ে একটি লিখিত প্রতিবেদন পড়ে শোনান।
সিনহুয়া বলছে জিনপিংয়ের ঘোষণায় বলা হয়, পার্টির নতুন কর্মসূচির লক্ষ্য হবে চীনা ধারার সমাজতন্ত্রের বিকাশ ও বিস্তার ঘটানো।
একই সঙ্গে শাসনব্যবস্থার আধুনিকায়নও জারি রাখা হবে।
পার্টি জানায়, চীন এখনো সমাজতন্ত্রের প্রাথমিক অবস্থায় আছে এবং এ কারণে দেশটিতে সমন্বিত ও দূরদর্শী সংস্কার কাজের আবশ্যকতা আছে।
ঘোষণায় বলা হয়, পার্টির নেতৃত্বের ওপর আস্থা রাখাও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে বিবেচিত হবে।
জিনপিং বলেন, অর্থনৈতিক সংস্কারই হবে পার্টির মুখ্য কাজ। এজন্য সরকার ও বাজারের মধ্যে সঠিক সম্পর্ক নির্ধারণ, সম্পদ বণ্টনের দায়িত্ব বাজারের হাতে অর্পণ এবং সরকারের কার্যকর ভূমিকা পালনের মধ্য দিয়ে সংস্কারকাজ এগিয়ে নেওয়া হবে।
২০২০ সালের মধ্যে কতগুলো গুরুত্বপূর্ণ খাতে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জন করতে হবে এবং এর জন্য উন্নত, বিজ্ঞানসম্মত, পদ্ধতিগত ও কার্যকর কাঠামো দাঁড় করা হবে।
ঘোষণায় বলা হয়, চীন রাষ্ট্রীয় মালিকানার নীতি ও রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত অর্থনীতিতে অবিচল থাকবে। এর সঙ্গে ব্যক্তিগত মালিকানাকেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে উত্সাহ, সহযোগিতা ও পরামর্শ দেওয়া হবে।
একটি প্রতিযোগিতামূলক, সমন্বিত ও মুক্ত বাজারব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে, যাতে সম্পদের সুষম বণ্টনে বাজার ‘চূড়ান্ত’ ভূমিকা পালন করতে পারে।
সরকারকে আইনভিত্তিক ও সেবাদানের উপযুক্ত করে গড়ে তোলার সিদ্ধান্তও হয় কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে।
এ ছাড়া অর্থবছরের কার্যক্রম চালানোর জন্য একটি আধুনিক ব্যবস্থা চালুর উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানানো হয়।
ঘোষণায় বলা হয়, চীনে বিনিয়োগের সর্বনিম্ন সীমাকে আরও কমানো হবে যাতে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ে। এ জন্য মুক্ত বাণিজ্যাঞ্চল গড়ে তোলা হবে এবং ভূমি ও সীমান্ত এলাকাকে উন্মুক্ত করা হবে।
কেন্দ্রীয় কমিটির বিভিন্ন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য একটি কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটি তৈরি হবে।
পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির পূর্ণাঙ্গ বৈঠকে ২০৪ জন পূর্ণ সদস্য ও ১৬৯ জন বিকল্প সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
এ ছাড়া পার্টির শৃঙ্খলাবিষয়ক কমিটির সদস্যবৃন্দ, বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ, মাঠকর্মী ও বিশেষজ্ঞরা উপস্থিত ছিলেন। তবে তাঁদের ভোটাধিকার ছিল না।
।অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।