আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আলাদাই থাকছে প্রিন্স ও প্রিন্সেস

জানার জন্য ছুটছি-কিন্তু কিছুই জানতে পারলামনা! আলাদাই থাকছে প্রিন্স ও প্রিন্সেস আদালত প্রতিবেদক | তারিখ: ১০-০১-২০১৩ ম্যাকাও জুটি প্রিন্স ও প্রিন্সেস কার হেফাজতে থাকবে—এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেওয়ার এখতিয়ার নেই বলে জানান নির্বাহী হাকিম শাহে এলিদ মাইনুল আমিন। আদালতের নির্দেশে ৩ জানুয়ারি তাদের আলাদা করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে শুনানি চলাকালে আদালত বলেন, ‘বণ্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন-২০০২ অনুযায়ী নালিশি পাখিটি কোন পক্ষের হেফাজতে থাকবে, এই এখতিয়ার নির্বাহী হাকিম আদালতের নেই। কাজেই মামলা করার মতো কোনো উপাদান না থাকায় মামলাটি নথিজাত করা হলো। একই সঙ্গে আগ্রহী বা ক্ষুব্ধ ব্যক্তি তাঁর অধিকার আদায়ের জন্য উপযুক্ত আদালতে বিচার চাইতে পারেন।

’ প্রিন্সের মালিক বাদী মোহাম্মদ ইকরাম সেলিম বিদেশে থাকায় তিনি আজ আদালতে হাজির হতে পারেননি। এ কারণে প্রিন্সও আদালতে হাজির হতে পারেনি। ইকরাম সেলিমের পক্ষে সময় চেয়ে আবেদন করা হয়। পরে আদালত তাঁর আবেদন নামঞ্জুর করেন। সকালে প্রিন্সেসকে নিয়ে আদালতে হাজির হন বিবাদী মালিক ওয়াদুদ।

বিবাদীপক্ষের আইনজীবী বরুণ বিশ্বাস প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, ‘মামলাটি গ্রহণ করার পর আদালতের আদেশে প্রিন্স ও প্রিন্সেসকে আলাদা করা হয়। প্রিন্সকে তাঁর মালিকের জিম্মায় বুঝিয়ে দেওয়া হয়। একই আদালত বিচার করার এখতিয়ার নেই বলে মামলাটি খারিজ করে দিয়েছেন। এটা ন্যায়বিচারের পরিপন্থী এবং দ্বৈতনীতি। প্রিন্সেসের মালিক ওয়াদুদ বলেন, আদালতের সিদ্ধান্তহীনতার কারণেই প্রিন্স ও প্রিন্সেস আলাদা হয়েছে।

তিনি আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন বলে জানান। প্রিন্স ও প্রিন্সেস খুব দুর্লভ একজোড়া ব্লু-গোল্ড ম্যাকাও পাখি। দুটি পাখির মালিক দুজন। ঘটনাক্রমে মিলন ঘটেছিল প্রিন্স আর প্রিন্সেসের। তাদের তিন বছরের সংসারে বাচ্চাও এসেছে।

এখন গোল বেধেছে তাদের মালিকানার বিষয়টি নিয়ে। নির্বাহী হাকিমের নির্দেশে ৩ জানুয়ারি প্রিন্সকে নিয়ে যান তার মালিক। এই বিরহে খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে প্রিন্সেস। অবশেষে আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে তাদের সংসার রক্ষার বিষয়টি। বর্তমানে প্রিন্সের ঠিকানা বসুন্ধরায় আর প্রিন্সেস রয়েছে হাতিরপুলে।

পাখি দুটির মালিকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রায় এক বছর ধরে সমঝোতা ও আপসরফার চেষ্টা করে তাঁরা ব্যর্থ হয়েছেন। এরপর কলাবাগান থানায় গত বছরের ১২ আগস্ট ও ৫ সেপ্টেম্বর পাখিটির মালিকানা নিয়ে তাঁরা একে অপরের বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি করেছেন। পুলিশ এই বিরোধ নিষ্পত্তি করতে না পারায় দুই পক্ষই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে। ঢাকায় পাখি বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ব্লু-গোল্ড ম্যাকাও পাখি জোড় বাঁধলে সাধারণত মৃত্যুর আগ পর্যন্ত একসঙ্গে থাকে। এদের আয়ু ৫০ থেকে ৬০ বছর।

বাংলাদেশে কয়েক জোড়া পাখি আছে।  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১১ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।