ভারতে সত্তরের দশকে যুদ্ধবিমান ক্রয়সংক্রান্ত আলোচিত বোফোর্স কেলেঙ্কারি সম্পর্কে নতুন তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী রাজিব গান্ধী অস্ত্র সরবরাহকারীদের দেওয়া কমিশনের অর্থ দিয়ে দলের খরচ মেটাতে চেয়েছিলেন বলে একটি বইয়ে দাবি করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার টাইমস অব ইন্ডিয়া অনলাইনে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়, দেশটির কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার (সিবিআই) সাবেক প্রধান এ পি মুখার্জি তাঁর সদ্য-প্রকাশিত আত্মজীবনীমূলক ‘আননোন ফ্যাক্টস অব রাজিব গান্ধী, জ্যোতি বসু, ইন্দ্রজিত্ গুপ্ত’ শীর্ষক বইয়ে এ দাবি করেছেন।
১৯৮৯-৯০ সাল পর্যন্ত ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন এ পি মুখার্জি। ১৯৮৯ সালের জুনে রাজিব গান্ধীর সঙ্গে কথোপকথন সূত্রে এ পি মুখার্জি তাঁর বইয়ে উল্লেখ করা তথ্যটি জানতে পেরেছেন বলে দাবি করেছেন।
মুখার্জি দাবি করেন, ১৯৮৪ সালের শেষের দিকে রাজিব জানতে পারেন, সশস্ত্র বাহিনীর কিছু জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা অস্ত্র ক্রয়ের সময় অধিকাংশ ক্ষেত্রে গোপনে বিপুল পরিমাণ কমিশন গ্রহণ করেন। এর সঙ্গে কিছু মন্ত্রী, মধ্যস্থতাকারী ও সরকারি কর্মকর্তাদেরও সংশ্লিষ্টতা থাকে।
রাজিব বিষয়টি নিয়ে তাঁর কয়েকজন ঘনিষ্ঠ সহকর্মী ও উপদেষ্টার সঙ্গে আলাপ করেন। তাঁরা পরামর্শ দেন, মধ্যস্থতাকারীদের সব ধরনের কমিশন দেওয়া বন্ধ করতে হবে। তবে নিয়মিতভাবে অস্ত্র সরবরাহকারীদের দেওয়া এই কমিশন বেসরকারি পদধারীদের তত্ত্বাবধানে আসতে পারে।
আর তা কেবল দলের সভা-সমাবেশের ব্যয় মেটাতে ব্যবহার করা যেতে পারে।
১৯৮৪ সালে রাজিব গান্ধী ভারতের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। ১৯৮৭ সালের মধ্য নাগাদ সুইডেনের বোফোর্স নামের একটি কোম্পানির সঙ্গে সামরিক ক্রয়চুক্তি-সংক্রান্ত কেলেঙ্কারির জেরে ব্যাপকভাবে সমালোচিত হন রাজিব। ফলে ১৯৮৯ সালের সাধারণ নির্বাচনে কংগ্রেস ও রাজিব গান্ধী পরাজিত হন। ১৯৯১ সালে এক বোমা হামলায় নিহত হন তিনি।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।