আমি আমার লেখালেখির শুরুটা করেছিলাম কবিতা দিয়ে। ঈশ্বর সমীপে। কিছু কিছু কবিতা আছে- যে গুলো পড়লে মনে হয় আমি নই অন্য কেউ আমাকে দিয়ে লিখিয়ে নিয়েছে। দর্শনের একটা প্রভাব আছে সেখানে এবং এই ধারাটা আমি পরবর্তী লেখাগুলোতেও বজায় রাখতে চেষ্টা করি। এমনটা বলছি এজন্য সেসব লেখার সময় আমার শরীরটাই হয়তো পৃথিবীতে ছিলো যা আমি অনুভব করি।
এরপর লিখি একটা উপন্যাস। দ্রোহের মার্জিত রূপ। এতটুকুই বলবো- এটি আমার অদ্বিতীয় সৃষ্টি, আমার জীবনের শ্রেষ্ঠতম রচনা। অতীত বর্তমান ভবিষ্যত সব ভেবেই বলছি। তারপর আরেকটি উপন্যাস, রানীকুঠি।
বইটি প্রকাশে কয়েক বছর দেরী হয়। এই উপন্যাসের কাহিনিতে ভালোই টুইস্ট আছে। পাঠকের ভালো লাগবে। এখন এসে পাঠক বললাম কারণ এর আগের সৃষ্টিকর্ম গুলো আমি নিজে পড়েই কাটিয়ে দিতে পারবো সারাজীবন। চরম তৃপ্তি নিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিতে পারবো।
আর এবার গল্প (পৃথিবীর মোহ)। আবারও পাঠক। আশা করছি তাদের ভালো লাগবে। কারণ গল্পগুলোতে বৈচিত্র আছে।
গল্প, কবিতা, উপন্যাস এই তিন মাধ্যমে কবিতা লেখাই আমার কাছে কঠিন মনে হয়েছে- যে ধরনের, যে ঢংয়ের কবিতা আমি লিখেছি।
তার পর উপন্যাস। বড় উপন্যাস লেখা একটু কঠিনই বৈকি। গল্প লিখা তুলনামূলক ভাবে অনেক সোজা। ক্ষণস্থায়ী চিন্তা চেতনা, নিত্যদিনকার ঘটনা গল্পের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা যায়। সমসাময়িক বিষয়াবলী, অপ্রয়োজনীয় অনেককিছুও গল্পে তুলে আনা যায়।
গল্প সর্ম্পকে বলা যায় এটি অনেকটা পার্টটাইম লেখালেখি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।