আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আত্মীয়-স্বজনদের অধিকার

আত্মার সঙ্গে যাদের সম্পর্ক তাদেরকে আত্দীয় বলা হয়। আত্মীয়তা সাধারণত রক্ত, বংশ ও বৈবাহিক দিক দিয়ে সম্পর্কিত সম্পর্ককে বুঝায়। অনেক সময় বন্ধুত্বকেও আত্মীয়তার পর্যায়ে মূল্যায়ন করা হয়। বরং তা আবার কখনো এর চেয়ে বেশি সম্পর্কে পরিণত হয়। যদি এ সম্পর্ক আল্লাহ ও তার রাসূলের রাজি-খুশির জন্য হয়।

যেমনটা তৈরি হয়েছিল মদিনায় আনসার ও মুহাজিরদের মধ্যে একটি অতুলনীয় গভীর আত্মার সম্পর্ক। মহান আল্লাহর একটি গুণবাচক নাম হলো- রাহমান। আর এ শব্দটি রিহমুন মূল ধাতু হতে উৎপত্তি। এর অর্থ হলো- আত্মীয়তা। সুতরাং যে আত্মীয়তার অধিকার আদায় করে সে যেন আল্লাহর অধিকার আদায় করে।

আত্মীয়তার অধিকার সম্পর্কে মহান আল্লাহতায়ালা পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেন- 'তোমরা তোমাদের আত্মীয়-স্বজনের অধিকার আদায় কর এবং অভাবী ও মুসাফিরদের হক আদায় কর। আর কিছুতেই অপব্যয় কর না। ' (সূরা ইসরাইল : ২৬)। অন্য এক আয়াতে বর্ণিত আছে, 'হে মানব সম্প্রদায়! তোমরা তোমাদের পালনকর্তাকে ভয় কর। যিনি তোমাদের এক আত্মা সৃষ্টি করেছেন এবং তার থেকে তার সঙ্গিনীকে সৃষ্টি করেছেন, আর বংশ বৃদ্ধি করেছেন।

তাদের দুজন থেকেই অগণিত পুরুষ ও নারী। আর সেই আল্লাহকে ভয় কর। যার দোহাই দিয়ে তোমরা পরস্পরের কাছে (স্বীয় হক) দাবি করে থাক এবং আত্দীয়তার হক বিনষ্ট করা থেকে ভয় কর; নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের সবারই খবরাখবর রাখেন। ' (সূরা নিসা : ১)। সূরা রুমের ভেতরে ৩৮ নং আয়াতে আল্লাহ বলেন- 'হে নবী! আত্মীয়-স্বজনকে তার প্রাপ্য হক দিয়ে দিন এবং মিসকিন ও মুসাফিরদেরও।

এটা তাদের জন্য উত্তম, যারা আল্লাহর সন্তুষ্টি কামনা করে। আর তারাই হলো সফলকাম। আত্দীয়তার অধিকার সম্পর্কে হাদিস শরিফে বর্ণনা করা হয়েছে হজরত আয়েশা (রা.) হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) থেকে বর্ণনা করেছেন; রাসূল (সা.) বলেন, রক্ত সম্পর্কিত আত্দীয়তা ঢালস্বরূপ। যে ব্যক্তি এর সঙ্গে সম্পর্ক জুড়ে রাখে আমি তার সঙ্গে সম্পর্ক জুড়ে রাখি। আর যে লোক তার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে আমি তার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করি।

(বুখারি শরিফ)

 

 

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।