দেশকে ভালবাসি
বাংলাদেশকে হানাদার পাক বাহিনীর হাত থেকে রক্ষা করা ছাড়াও স্বাধীনতার ঘোষনা, দিক নির্দেশনা, এমন কি মুজিব বাহিনীর মত এক দল নিবেদিত মুক্তি বাহিনী রনাঙ্গনে পাঠিয়েছিল এই ক্ষমতাশীন রাজনৈতিক দল আওয়ামীলীগ। তখন আওয়ামীলীগ ছিল বলেই আজ আমরা স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিক, নয়তো পরাধীন হিসেবেই থেকে যেতে হতো গত ৪৩টি বৎসর। আওয়ামীলীগ সরকারই একমাত্র সরকার যারা বুঝতে পেরেছিল যে, দূর্নীতি এদেশের জন্য কোন সমস্যা নয়। সমস্যা হচ্ছে জনসংখ্যা।
তাই প্রথম থেকেই তারা ঐ জনসংখ্যা সমস্যা দ্রুত সমাধানের লক্ষ্যে তৈরী করে রক্ষী বাহিনী।
তখন শিরাজ সিকদার সহ জাতীর হাজার হাজার অর্বাচিনদেরকে দ্রুত চির শান্তির আলমে বরজখে প্রেরণ করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। তাছাড়াও ১৯৭৪ সালে পরিকল্পিত দূর্ভিক্ষের মাধ্যমে এ দেশের ১০লক্ষ নিরীহ জনগণকেও চির শান্তির আলমে বরজখে প্রেরণ করা হয়। ঐ ১০লক্ষ ছিল সরকারী হিসাব, বেসরকারী হিসাবে ঐ সংখ্যাটি ছিল ৫০লক্ষের উপর।
এবার জনকের তনয়া চালু করেছেন জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রনে ডিজিটাল পদ্ধতি। এবার শিরাজ সিকদারের ভাগ্য বরণ করতে হয়েছে ইলিয়াছ আলীকে।
বেচারা ইলিয়াস, সিরাজ সিকদারের গুম থেকে শিক্ষা নিতে ব্যর্থ হয়েছে বলেই তার এই দুঃখজনক পরিণতি। দেশের প্রতিটা পরিবারের বেডরুম একা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক পাহাড়া দেয়া সম্ভব নয় বলেই সাগর/রুনী হত্যাকাণ্ড ঠেকানো সম্ভব হয়নি।
সেনাবাহিনীর ৫৭ জন অফিসারকে পরিকল্পিতভাবে হত্যাকাণ্ডের সময়ও অনেক প্রচেষ্টা করে তিনি তা বন্ধ করতে পারেননি। পাঞ্জাবের জালিয়ানাবাদে ততকালিন বৃটিশ সরকার দিনের আলোতে যে জনসমাবেশে নির্মম হত্যাকা- চালিয়েছিল, তারই পুনরাবৃত্তি ঘটিয়েছে এদেশের বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকার, তবে তা রাতের আধারে বাতি নিভিয়ে। বিশ্ববাসীর কাছে তারা প্রমাণ করেছে যে, গণতন্ত্রে গণহত্যা একান্ত স্বাভাবিক একটি রাজনৈতিক কর্মকা-।
বর্তমান সরকার এ দেশে গণহত্যার যে সুনামী চালু করেছে, পরবর্তী ৫ বৎসর ক্ষমতায় থাকতে পারলে দেশের জনসংখ্যা সমস্যার একটি স্থায়ী সমাধান সম্ভব, ততোদিনে জনবসতির ঘনত্ব সাইবেরিয়া কিংবা উত্তর/দক্ষিণ মেরুর পর্যায়ে পৌছাবে। থাকবে শুধু ৪ প্রজাতির মানুষ, নাস্তিক, হিন্দু, ইসলাম ধর্ম বিদ্বেষী ও আওয়ামীলীগ। তাই আগামী নির্বাচনে ১৮বৎসরের উর্দ্ধের প্রত্যেক বাংলাদেশীদের বেইমানী দায়িত্ব হবে, বর্তমানে সরকারী দল আওয়ামীলীগকে ভোট দানে বিজয়ী করা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।