নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলায় গতকাল রোববার রাতে আক্তার হোসেন (২৫) নামের যুবলীগের এক নেতার হাত ও পায়ের রগ কেটে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। রাত ১০টার দিকে উপজেলার উত্তর কাদরা গ্রামের সেনবাগ-সোনাইমুড়ী সড়কে এ ঘটনা ঘটে।
গুরুতর আহত আক্তার হোসেনকে রাতেই নোয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছে স্থানীয় লোকজন।
ঘটনার সময় আক্তারের সঙ্গে থাকা দুজনকেও কুপিয়ে আহত করে দুর্বৃত্তরা। তাঁদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও স্থানীয়ভাবে চিকিত্সা দেওয়া হয়েছে।
আক্তার হোসেন উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য। তিনি সেনবাগ উপজেলার বাবুপুর-শ্রীপুর গ্রামের আলী নেওয়াজের ছেলে।
আজ সোমবার সকালে প্রথম আলো ডটকমকে দেওয়া চিকিত্সাধীন আক্তার হোসেনের ভাষ্য, গতকাল রাত ১০টার দিকে তিনি সিএনজিচালিত একটি অটোরিকশায় দুই সঙ্গীকে নিয়ে উপজেলা সদর থেকে গ্রামের বাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন। অটোরিকশাটি কাদরা এলাকার পৌঁছলে পাঁচ-ছয়জন অজ্ঞাত যুবক তাঁদের গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে গতিরোধ করে। ওই যুবকেরা তাঁকে টেনেহিঁচড়ে অটোরিকশা থেকে বের করে আনে।
দুর্বৃত্তরা তাঁর হাত-পায়ের রগ কেটে দেয় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। তাঁর সঙ্গে থাকা আরও দুজনকে কুপিয়ে আহত করে ওই যুবকেরা।
আক্তার হোসেন জানান, হামলাকারী যুবকেরা মুখোশ পরে থাকায় তিনি কাউকে চিনতে পারেননি। তবে ওই যুবকেরা জামায়াত-শিবিরের কর্মী বলে তাঁর সন্দেহ।
উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক জাকারিয়া আল-মামুন প্রথম আলো ডটকমের কাছে দাবি করেন, জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
সেনবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আকরাম হোসেন মজুমদার প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, রাতেই তাঁরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ঘটনার তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।