প্রধান মন্ত্রী কি শুধু মলিক শ্রেনীর ? নাকি মালিক শ্রমিক সকলের প্রধান মন্ত্রী ! শ্রমিকদের যেমন বলছেন কাজে যোগ দিতে তেমনি মালিকদের কেনো বলছেন না ন্যুনতম মজুরী আটহাজার তিনশো টাকা দিতে। প্রধান মন্ত্রীতো শুধু ধনী মালিক শ্রেনীর নন,গরীব শ্রমিক সকল মানুষের প্রধানমন্ত্রী। শুধু মালিকের স্বার্থ দেখলে হবে না,এও দেখতে হবে যে আমাদের মালিক শ্রেনী ভোগ বিলাসে,বউ ছেলে মেয়ের উচ্চ খরচে, নাইটক্লাবে ফুর্তিতে,অর্থপাচারে যে পরিমান ব্যয় করেন সে তুলনায় ন্যুনতম মজুরী আটহাজার তিনশো টাকা খুউব বেশী ! আপনারা যদি সকল মানুষের সরকার হয়ে থাকেন কেনো দুই রকম করছেন ! রাজনীতিক শিল্প মালিকদের কাছে সঞ্চিত গচ্ছিত যা ধন সম্পদ টাকা পয়সা আছে তা দিয়ে সকল দরিদ্রদের পাকা বাড়ীঘর,স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা ও আগামী ১০০ বছর মাসে ১০হাজার টাকা ভাতা দেওয়া যায় ! আমাদের মালিক শ্রেনী ভোগ বিলাসের অপচয় কমিয়ে শ্রমিকের প্রাপ্য সম্মান ও সঠিক মজুরী না দিতে পারলে কারখানা বন্ধের হুমকি না দিয়ে রাষ্ট্রকে দিয়ে দিতে পারেন। নির্বাচন কিভাকে হবে বিরোধী দল শুধু তাই নিয়ে জনগনের নাম ভাংগিয়ে নাটক করলো এবং করছে। নির্বাচন কিভাবে হবে জনগনের কাছে তা মোটেই জরুরী বিষয় নয়, রাজাকারের বিচার হেফাজতের ১৩ দফা ও জনগনের কাছে মোটেই জরুরী বিষয় নয় ,জনগনের কাছে জরুরী হচ্ছে জনগন গ্রামের জীর্ন শীর্ন ঘর আর শহরের বস্তি ফুটপাতে কম খেয়ে ভাংগা ঘরে শুয়ে ধৈর্য্যের পরীক্ষা দিতে চায় না।
আপনারা বড় রাজনৈতিক দলগুলির জন্য আমরা সাধারন জনগন দ্বিধান্বিত। কারন আপনারা বলেন আমরা জনগনের দল, সকল মানুষের সরকার আপনারা কিন্ত বাস্তবে আমরা দেখতে পাই আপনারা যা করেন তাতে ধনী মালিক বড়লোক শ্রেনীর খুউব ভালো হয় আর জনগন গ্রামের জীর্ন শীর্ন ঘর আর শহরের বস্তি ফুটপাতে কম খেয়ে ভাংগা ঘরে শুয়ে ধৈর্য্যের পরীক্ষা দিয়েই যায়। আপনারা বলেন দুদক স্বাধীন কিন্তু কর্মকর্তাদের দুর্নীতি দমনে তা করলেন পরাধীন। রাজনীতিক এবং কর্মকর্তা বড় দুর্নীতিতে যাদের সখ্যতা তারা কি দেশের বেশীরভাগ মানুষ ! তাদের রক্ষায় আইন হচ্ছে আর যাদের শ্রমে যাদের গায়ের ঘামে সচল সভতা তাদের মজুরী দেওয়ার বেলায় কৃপনতা। এখানে ২টি সমাধান আপনারা করতে পারেন ১- আপনারা জণগনের কাছে সরাসরি বলুন আমরা ধনী মালিক বড়লোক শ্রেনীর স্বার্থ রক্ষাকারী দল গরীবের ভালো করার ক্ষমতা আমাদের নেই কারন আমরা ক্ষমতায় থাকতে যা যা করি তার সুফল ধনী মালিক বড়লোকরাই পেয়ে থাকে এবং ক্ষমতার বাইরে থেকে যেসব ইস্যু নিয়ে আন্দোলন করি তা গরীব মানুষের ইস্যু নয়।
২নং অথবা নির্বচনী ইশতেহারে যুক্ত করুন আমরা যে দলই ক্ষমতায় যাই সেনাবাহিনী নৌবাহিনীর তত্বাবধানে ০-১৮ বছর বয়স পর্যন্ত সকল শিশুদের ফ্রি রেশন কার্ড দেওয়া হবে যে রেশন কার্ডের মাধ্যমে জন্ম থেকে ১৮ বছর বয়স অর্থাৎ উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত সকল শিশু সম খাবার,সম কাপড়,সমঘর,সম লেখাপড়া,সম চিকিৎসা খরচ পাবে এবং ৬০ উর্দ্ধো সকল বৃদ্ধ বৃদ্ধাদের ফ্রি রেশন কার্ড দেওয়া হবে যে রেশন কার্ডের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় তত্বাবধানে স্বয়ং রাষ্ট্র নিজে সকল বৃদ্ধ বৃদ্ধাদের সম খাবার,সম কাপড়,সমঘর,সম যতœ ,সম চিকিৎসা পরিচালনা করবে। এম পি বড় আমলাদের শপথ নিতে হবে যে,” আমি মন্ত্রী হবো কিন্তু টাকার মালিক হবো না,আমি এম পি হবো কিন্তু টাকার মালিক হবো না,আমি বড় আমলা হবো কিন্তু টাকার মালিক হবো না,আরো ও শপথ নিতে হবে রাজনীতিকে রোজগেরে পেশা বানাবো না,রাষ্ট্রীয় সম্পদ আইন করে সাদা বানিয়ে সম্পদের পাহাড় গড়বো না। রাজনীতিকে পেশা হিসেবে নিতে চান তারা কেউই ৩০ লক্ষ টাকার বেশী মালিক হবেন না। যারা সংসদ নির্বাচনে প্রাথী হবেন তারা ৩০ লক্ষ টাকার বেশী মালিক হবেন না । রাজনীতির মতো মানব সেবাকে যারা পেশা হিসেবে নিতে চান তারা পাবেন রাষ্ট্রীয় সম্মান,মর্যাদা কিন্তু তাদের অবশ্যই ব্যাক্তিগত সম্পদের মালিকানার সীমাবদ্ধতা থাকতে হবে।
একজন সংসদ প্রার্থী যদি ৩০লক্ষ টাকার বেশী মালিক না হন তাহলে নির্বাচনে নিশ্চয়ই কোটি টাকা খরচ করতে পারবেন না, একজন সংসদ প্রার্থী যদি ৩০লক্ষ টাকার বেশী মালিক না হন তাহলে রাষ্ট্রীয় সম্পদ আইন করে সাদা বানিয়ে নিজেদের ব্যাক্তিগত সম্পদের পরিমান বৃদ্ধি ও সুইচ ব্যাংকে জমা বৃদ্ধি করবেন না। ধনী গরীব যেমনএকই কাতারে নামায পড়ে.ধনী গরীব যেমনএকই কাতারে পূজা প্রার্থনা করে তেমনি সকল টাকা পয়সা দিয়ে সকল নাগরিকের জন্য একই মানের ঘর ,একই মানের খাবার ,একই মানের কাপড় একই মানের চিকিৎসার ব্যবস্থা করুন। শুধু এই অংগিকার ও তা বাস্তবায়নের মধ্য দিয়েই প্রমান হতে পারে আপনারা ধনী মালিক বড়লোক শ্রেনীর স্বার্থ রক্ষাকারী দল নাকি ধনী গরীব সকল জনগনের রাজনৈতিক দল।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।