শুদ্ধ হোক তোমার মন,ইতিবাচক হোক তোমার দৃষ্টিভঙ্গি,প্রকাশ হোক তোমার কর্মে,চেতনায় ও মননে ।
দেশের মুক্তির লড়াইয়ে যুদ্ধে নেমেছিলেন শমসের মবিন চৌধুরী। পাকিন্তানের বিরুদ্ধে অস্ত্র হাতে সম্মুখ সমরে যুদ্ধে আহতও হয়েছিলেন সে সময়ের তরুণ লেফট্যানেন্ট। দেশের জন্য আত্মত্যাগের পুরস্কারও পেয়েছিলেন তিনি, তাকে বীর বিক্রম খেতাব দেয়া হয় যুদ্ধের পর পর। কিন্তু তাঁর এই আত্মত্যাগ যেন ভুলে গেছে বাংলাদেশ।
সশস্ত্র বাহিনী দিবসে গত পাঁচ বছরে আমন্ত্রণ পাননি এই সাবেক সেনা কর্মকর্তা।
সেনাবাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা হিসেবে এ ঘটনায় মর্মাহত শমসের মবিন চৌধুরী। যুদ্ধের সময়কার পাকিস্তান সেনাবাহিনীর গুলির ক্ষত শুকিয়ে গেলেও তার দায় এখনও বয়ে চলছেন বিএনপির এই সহসভাপতি। চলাফেরায় স্ক্রেচ ব্যবহার করতে হয় তাকে। কিন্তু সশস্ত্র বাহিনী দিবসে আমন্ত্রণ না পাওয়া মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বড় কষ্টের।
ঢাকাটাইমস টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এই মুক্তিযোদ্ধা বলেন, ‘১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে চট্টগ্রামে যে সাতজন সেনা কর্মকর্তা পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেমেছিলেন আমিও তার মধ্যে একজন। অস্ত্র হাতে পাক হানাদার বাহিনীর সঙ্গে সম্মুখ সমরে যুদ্ধ করে আহত হয়েছি। অথচ আজকের এই দিনটিতে আমাকে দাওয়া দেওয়া হলো না। তবে ব্যক্তিগতভাবে আমি বিষয়টি নিয়ে ভাবছি না। একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে এটি মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি অবমাননাকর বলে আমি মনে করি।
’
শমসের মবিন চৌধুরী বলেন, ‘সেনাবাহিনীর প্রতি আমার অঘাত শ্রদ্ধা। এই সেনাবাহিনী দিয়েই আমার কর্মজীবন শুরু হয়েছিল। আমার জীবনের বড় একটি অংশ কেটেছে সেনাবাহিনীতে। তাই সেনাবাহিনীকে ঘিরে আমার আমার অনেক স্মৃতি। এই সুখের স্মৃতি নিয়েই আমি বাঁচতে চাই’।
সাবেক এই সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা বলেন, আমার নামে ঢাকার ধানমন্ডিতে একটি সড়কের নামকরণও করা হয়েছে। কিন্তু সরকার আমাকে উপযুক্ত মর্যাদা দিচ্ছে না। আমি মনে করি এটা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী ও মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি অবজ্ঞা।
উৎসঃ ঢাকাটাইমস২৪
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।