গত মৌসুমে বাংলাদেশ লিগে খেলেছিলেন মোহামেডান ক্লাবের পক্ষে। হয়েছিলেন সর্বোচ্চ গোলদাতা। এবার দলবদলে তাঁবু পাল্টিয়ে নাম লেখান প্রতিদ্বন্দ্বী আবাহনীতে। ঘানার ওসেই মরিসনকে নেওয়া যে ভুল হয়নি, মৌসুমের প্রথম আসরের প্রথম টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচেই সেটার প্রমাণ দিয়েছেন তিনি। মৌসুমের প্রথম টুর্নামেন্ট ওয়ালটন ফেডারেশন কাপে তার হ্যাটট্রিকে ৩-০ গোলে রহমতগঞ্জকে হারিয়েছে আবাহনী।
দিনের দ্বিতীয় খেলায় গত আসরের রানার্সআপ শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব ২-০ গোলে হারিয়েছে উত্তর বারিধারাকে।
বাংলাদেশ লিগের প্রথম তিন আসরের চ্যাম্পিয়নদের গত দুই মৌসুম ভালো যায়নি। তাই এবার শিরোপা পুনরুদ্ধারের জন্য লড়াকু দল গড়েছে ধানমন্ডি পাড়ার দলটি। দুই ব্রাজিলিয়ান, ঘানা, ক্যামেরুনের ফুটবলারদের নিয়ে গতকাল শুরু থেকেই আধিপত্য বিস্তার করে খেলতে থাকে আবাহনী। খেলার প্রথমার্ধে এগিয়েছিল ২-০ গোলে।
খেলার ১৭ মিনিটে এগিয়ে প্রথম গোল করেন ঘানার মরিসন। বাঁ প্রান্ত থেকে স্ট্রাইকার তৌহিদুল আলম সবুজের ক্রসে টোকা দিয়ে দলকে এগিয়ে নেন মরিসন(১-০)। ২৭ মিনিটে গোল শোধের সুযোগ পেয়েছিল পুরনো ঢাকার দল রহমতগঞ্জ। কিন্তু সাবি্বর আহমেদের ফ্রি কিকে পা লাগাতে ব্যর্থ হয় দলের স্ট্রাইকার। ফলে গোল শোধ করা হয়নি।
৪২ মিনিটে গোলসংখ্যা দ্বিগুণ করেন মরিসন। ক্যামেরুনের স্ট্রাইকার সামনিক ডি বঙ্রে বাইরে থেকে ক্রস করেন। ফাঁকায় দাঁড়ানো মরিসন বল ধরে প্লেসিং শটে প্রতিপক্ষের গোলরক্ষক আল-আমিনকে বোকা বানান (২-০)। দুই গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় আবাহনী। দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে হ্যাটট্রিকের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেন মরিসন।
সতীর্থরাও একের পর এক চেষ্টা চালিয়ে যেতে থাকেন তার মনোবাসনা পূরণ করতে। আক্রমণের পর আক্রমণ চালিয়ে গোলের দেখা পাচ্ছিল না আবাহনী। অবশেষে ৭২ মিনিটে অধরা গোলের দেখা পায় আবাহনী এবং হ্যাটট্রিক করেন মরিসন (৩-০)। ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার রুমোলো ডি ক্যাস্ট্রো শট ঠিকমতো ক্লিয়ার করতে পারেননি রহমতগঞ্জের গোলরক্ষক। ফিস্ট করলে বল চলে আসেন মরিসনের পায়ে।
মরিসন কালক্ষেপণ না করে ঠাণ্ডা মাথায় হ্যাটট্রিক করেন। গত আসরের রানার্সআপ জামালের পক্ষে গোল দুটি করেন হাইতির সনি নর্দে। খেলার ২৩ পেনাল্টিতে প্রথম ও ২৬ মিনিটে দ্বিতীয় গোল করেন হাইতিয়ান। ৭৪ মিনিটে লাল কার্ড দেখেন শেখ জামালের সোহেল রানা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।